মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতারণার করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনা ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে পুলিশকে জাননো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রতারক চক্রের কোন সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

উপজেলার মহেড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী কাশেম জানান, গত মাসের শেষ দিকে প্রথমে ০১৮৯০১৫১২৭৩ নম্বর থেকে ইউএনও পরিচয়ে ফোন দিয়ে জানানো হয়, আপনার নামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুদান এসেছে। এরপর পরই ০১৮৯০৫০৯৫০৪ নম্বর থেকে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে বলা হয় ২৮ হাজার ৫শ’ টাকা বিকেল ৫টার আগে বিকাশ করুন এবং আপনার নামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা অনুদানের ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেকটি আগামীকাল ব্যাংকে এসে দয়া করে নিয়ে যাবেন। তিনি ঘটনাটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাসকে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি সন্দেহজনক। তিনি ঘটনাটি ইউএনওকে অবহিত করতে বলেন। পরে ইউএনওকে জানালে ঘটনাটি প্রতারণা চেষ্টা বলে প্রমানিত হয়। একই দিন একই কায়দায় ওই দুই নম্বর থেকে মহেড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহিরুল ইসলামকে ফোন করা হয়। তবে অনুদানের টাকা এক লাখ ৭০ হাজার এবং এজন্য ফেরত যোগ্য ১৮ হাজার ৫শ টাকা বিকাশ করতে বলা হয়। এছাড়া একই ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ময়নায় হক, আলাল উদ্দিন, আদিবর রহমান, হিলড়া গ্রামের আব্দুল রহমান, একই গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নয়নের ছেলে ছোবহানের কাছেও একই নম্বর থেকে মোবাইল করে অনুদানের টাকা পেতে বিভিন্ন অংকের টাকা ফেরতযোগ্য বলে বিকাশ করতে বলা হয়।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গোড়াই লালবাড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রুপচাঁদ ম-লের কাছে ০১৮৯০১৫১২৭৩ নম্বর থেকে ইউএনও পরিচয়ে এবং পরে ০১৮৭৭৬২০০৯৭ নম্বর থেকে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুদান এসেছে বলে জানানো হয়। এজন্য তাকে ফেরতযোগ্য ২৯ হাজার ৫শ’ টাকা বিকাশ করতে বলা হয়। তবে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে কেউ প্রতারিত হয়নি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করার জোর দাবি জানান। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমানের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২০ , ২৩ পৌষ ১৪২৬, ৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতারণার করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনা ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে পুলিশকে জাননো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রতারক চক্রের কোন সদস্যকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

উপজেলার মহেড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী কাশেম জানান, গত মাসের শেষ দিকে প্রথমে ০১৮৯০১৫১২৭৩ নম্বর থেকে ইউএনও পরিচয়ে ফোন দিয়ে জানানো হয়, আপনার নামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুদান এসেছে। এরপর পরই ০১৮৯০৫০৯৫০৪ নম্বর থেকে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পরিচয় দিয়ে বলা হয় ২৮ হাজার ৫শ’ টাকা বিকেল ৫টার আগে বিকাশ করুন এবং আপনার নামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা অনুদানের ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেকটি আগামীকাল ব্যাংকে এসে দয়া করে নিয়ে যাবেন। তিনি ঘটনাটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাসকে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি সন্দেহজনক। তিনি ঘটনাটি ইউএনওকে অবহিত করতে বলেন। পরে ইউএনওকে জানালে ঘটনাটি প্রতারণা চেষ্টা বলে প্রমানিত হয়। একই দিন একই কায়দায় ওই দুই নম্বর থেকে মহেড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহিরুল ইসলামকে ফোন করা হয়। তবে অনুদানের টাকা এক লাখ ৭০ হাজার এবং এজন্য ফেরত যোগ্য ১৮ হাজার ৫শ টাকা বিকাশ করতে বলা হয়। এছাড়া একই ইউনিয়নের স্বল্প মহেড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ময়নায় হক, আলাল উদ্দিন, আদিবর রহমান, হিলড়া গ্রামের আব্দুল রহমান, একই গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নয়নের ছেলে ছোবহানের কাছেও একই নম্বর থেকে মোবাইল করে অনুদানের টাকা পেতে বিভিন্ন অংকের টাকা ফেরতযোগ্য বলে বিকাশ করতে বলা হয়।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গোড়াই লালবাড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রুপচাঁদ ম-লের কাছে ০১৮৯০১৫১২৭৩ নম্বর থেকে ইউএনও পরিচয়ে এবং পরে ০১৮৭৭৬২০০৯৭ নম্বর থেকে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক পরিচয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুদান এসেছে বলে জানানো হয়। এজন্য তাকে ফেরতযোগ্য ২৯ হাজার ৫শ’ টাকা বিকাশ করতে বলা হয়। তবে প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে কেউ প্রতারিত হয়নি বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই প্রতারক চক্রকে চিহ্নিত করার জোর দাবি জানান। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সায়েদুর রহমানের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত চলছে। দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।