দুপচাঁচিয়ায় বেতন-ভাতার দাবিতে পৌর কর্মীদের ধর্মঘট

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে পৌর কর্মকর্ত-কর্মচারী ও পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৯ মাসের বকেয়া বেতন এবং আনুতোষিক পি এফ ও গ্রাচুইটির কর্তনকৃত টাকা সর্বমোট প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার দাবিতে গত রবিবার সকালে পৌর চত্বরে পৌরকর্মকর্তা-কর্মচারীগণও পৌর স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।

সূত্র মতে, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকবৃন্দ বিগত নয় মাস ধরে বেতন ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এবং আনুতোষিক পি এফ ও গ্রাচুইটির কর্তনকৃত টাকা তাদের নিজস্ব ফান্ডে জমা না হওয়ায় মানসিকভাবে আতঙ্কের মধ্যে আছে। এ ব্যাপারে বর্তমান পৌর মেয়র জনাব বেলাল হোসেনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আবেদন নিবেদন করেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তারা মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে মেইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুপচাচিয়া থানা পুলিশ তাদের বাধার সৃষ্টি করলে ফিরে এসে আবার মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় বসে এবং আলোচনার সময় বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় মেয়র তাদের কে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে পৌর সাভিস এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহজাহান সিরাজ জানায়। তিনি আরও জানান, তাদের বেতন এবং আনুতোষিক পি এফ ও গ্রাচুইটির কর্তনকৃত টাকা মেয়র আত্মসাত করেছেন। তাদের ন্যয়সঙ্গত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলবে এবং এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র বেলাল হোসেন বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন পাওয়ার দাবিদার। রাজস্ব ফান্ডে টাকা এলেই চলতি মাসের মধ্যেই কয়েক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করব। তরে তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও আনুতোষিক ফান্ডের কর্তনকৃত টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২০ , ২৪ পৌষ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

দুপচাঁচিয়ায় বেতন-ভাতার দাবিতে পৌর কর্মীদের ধর্মঘট

প্রতিনিধি, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া)

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে পৌর কর্মকর্ত-কর্মচারী ও পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৯ মাসের বকেয়া বেতন এবং আনুতোষিক পি এফ ও গ্রাচুইটির কর্তনকৃত টাকা সর্বমোট প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তাদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার দাবিতে গত রবিবার সকালে পৌর চত্বরে পৌরকর্মকর্তা-কর্মচারীগণও পৌর স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।

সূত্র মতে, পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকবৃন্দ বিগত নয় মাস ধরে বেতন ভাতাদি না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এবং আনুতোষিক পি এফ ও গ্রাচুইটির কর্তনকৃত টাকা তাদের নিজস্ব ফান্ডে জমা না হওয়ায় মানসিকভাবে আতঙ্কের মধ্যে আছে। এ ব্যাপারে বর্তমান পৌর মেয়র জনাব বেলাল হোসেনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আবেদন নিবেদন করেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তারা মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিতে যাওয়ার পথে মেইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুপচাচিয়া থানা পুলিশ তাদের বাধার সৃষ্টি করলে ফিরে এসে আবার মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় বসে এবং আলোচনার সময় বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় মেয়র তাদের কে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে বলে পৌর সাভিস এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. শাহজাহান সিরাজ জানায়। তিনি আরও জানান, তাদের বেতন এবং আনুতোষিক পি এফ ও গ্রাচুইটির কর্তনকৃত টাকা মেয়র আত্মসাত করেছেন। তাদের ন্যয়সঙ্গত দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট চলবে এবং এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র বেলাল হোসেন বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন পাওয়ার দাবিদার। রাজস্ব ফান্ডে টাকা এলেই চলতি মাসের মধ্যেই কয়েক মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করব। তরে তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও আনুতোষিক ফান্ডের কর্তনকৃত টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন।