বঙ্গবন্ধুর মশাল নিয়েই চলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

পুরাতন বিমানবন্দরে প্রতীকী উপস্থাপনায় ক্ষণগণনার সূচনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলঅ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, যে বিজয়ের আলোকবর্তিতা তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, সে মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে চাই। গতকাল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে ৪৮ বছর আগে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে গতকাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীল ক্ষণগণনা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু যে আলোকবর্তিকা হয়ে সেদিন দেশে ফিরেছিলেন, তারই প্রতীকী উপস্থাপনা ছিল এ আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর প্রতীকী অবতরণ দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখে তাদের দুজনের মধ্যে আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের সেই দিনের ফিরে ঘটনাপ্রবাহে ফিরে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে দিনটি আমরা বিমানবন্দরে আসতে পারিনি, তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল। আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে পড়ে, মা সর্বক্ষণ একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন, ধারাবাহিক বিবরণ শুনছিলেন, আমরাও পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণী শুনেছিলাম। জনগণের প্রতি বাবার গভীর ভালোবাসার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে। আমার মনে পড়ে, তিনি (বঙ্গবন্ধু) কিন্তু বাংলার মাটিতে নেমে আমাদের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। তিনি চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্স ময়দানে তার প্রিয় জনগণের কাছে, তার প্রিয় মানুষগুলির কাছেই তিনি সর্বপ্রথম পৌঁছে যান। যারা যুদ্ধে সব হারিয়েছিলেন তারা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন প্রিয় নেতাকে পেয়ে। তারপর আমরা তাকে পাই।

এই প্রেক্ষাপটে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ’বঙ্গমাতা’ কবিতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি। তারই উত্তর (বঙ্গবন্ধু) দিয়েছিলেন এই ১০ই জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে। জাতির পিতা বলেছিলেন, কবিগুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি মানুষ আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হলে জাতি হিসেবে বাঙালি আত্মপরিচয় পেত না। তারই নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ দিয়ে গেছেন। তার জীবনের ২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি জাতিকে মুক্ত করেছিলেন। পাকিস্তানের শাসক কোনোদিনও চাইনি বাঙালি রাষ্ট্রক্ষমতায় যাক।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের শাসন এ দেশে মূলত অচল হয়ে পড়েছিল। তাদের কোনো নির্দেশনা কেউ মানতো না। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী কোনো কাজ হতো না। বাঙালি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানিরা। শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমরা বন্দিদশায় ছিলাম। ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পাই।

প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলার দুঃখী মানুষের কথা বলতে গিয়ে তিনি জীবনটা কারাগারে কাটিয়েছেন। এদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা পায় এটিই ছিল তার স্বপ্ন। পাকিস্তানের মিলানওয়ালি জেলখানায় তাকে আটকে রাখা হয়। সেই জেলখানায় গরমের সময় প্রচন্ড গরম, শীতের সময় প্রচন্ড শীত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দীর্ঘ ৯ মাস তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, তাকে জীবন দিতে হয়েছিল বাংলার মাটিতে। তিনি বলেন, মাঝখানে একটা কালো অধ্যায় আমার জীবন থেকে চলে গেছে, সেই কালো অধ্যায় যেন আর কোনো দিন আমাদের দেশের মানুষের উপর ছায়া ফেলতে না পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলার জনগণের প্রতি। নির্বাচনে জয়ী হয়ে জাতির পিতার প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনা শুরু করলাম। আজকে যে আয়োজন হয়েছে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের রেপ্লিকায় সেই দিনটি স্মরণ করা হলো। এই কাজের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে এই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, সেই কামনা করে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ঘোষণা করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলুন আজকের দিনে আমরা সেই প্রত্যয় নিই যে, এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করে না, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সেই সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ , ২৭ পৌষ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

বঙ্গবন্ধুর মশাল নিয়েই চলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

পুরাতন বিমানবন্দরে প্রতীকী উপস্থাপনায় ক্ষণগণনার সূচনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলঅ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, যে বিজয়ের আলোকবর্তিতা তিনি (বঙ্গবন্ধু) আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন, সে মশাল নিয়েই আমরা আগামী দিনে চলতে চাই। বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসাবে গড়তে চাই। গতকাল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার সূচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে ৪৮ বছর আগে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে গতকাল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীল ক্ষণগণনা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু যে আলোকবর্তিকা হয়ে সেদিন দেশে ফিরেছিলেন, তারই প্রতীকী উপস্থাপনা ছিল এ আয়োজন। বঙ্গবন্ধুর প্রতীকী অবতরণ দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখে তাদের দুজনের মধ্যে আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। আয়োজকদের ধন্যবাদ দিয়ে ১৯৭২ সালের সেই দিনের ফিরে ঘটনাপ্রবাহে ফিরে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সে দিনটি আমরা বিমানবন্দরে আসতে পারিনি, তখন আমার বাচ্চাটি ছোট ছিল। আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে পড়ে, মা সর্বক্ষণ একটি রেডিও নিয়ে বসেছিলেন, ধারাবাহিক বিবরণ শুনছিলেন, আমরাও পাশে বসে সারাক্ষণ ধারা বিবরণী শুনেছিলাম। জনগণের প্রতি বাবার গভীর ভালোবাসার কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবেসেছেন। চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবন পাবে। আমার মনে পড়ে, তিনি (বঙ্গবন্ধু) কিন্তু বাংলার মাটিতে নেমে আমাদের কথা ভাবেননি, পরিবারের কথা ভাবেননি। তিনি চলে গিয়েছিলেন রেসকোর্স ময়দানে তার প্রিয় জনগণের কাছে, তার প্রিয় মানুষগুলির কাছেই তিনি সর্বপ্রথম পৌঁছে যান। যারা যুদ্ধে সব হারিয়েছিলেন তারা যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন প্রিয় নেতাকে পেয়ে। তারপর আমরা তাকে পাই।

এই প্রেক্ষাপটে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ’বঙ্গমাতা’ কবিতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি। তারই উত্তর (বঙ্গবন্ধু) দিয়েছিলেন এই ১০ই জানুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে। জাতির পিতা বলেছিলেন, কবিগুরু দেখে যান আপনার সাত কোটি মানুষ আজ মানুষ হয়েছে, তারা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হলে জাতি হিসেবে বাঙালি আত্মপরিচয় পেত না। তারই নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম একটি দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ দিয়ে গেছেন। তার জীবনের ২৪ বছরের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি জাতিকে মুক্ত করেছিলেন। পাকিস্তানের শাসক কোনোদিনও চাইনি বাঙালি রাষ্ট্রক্ষমতায় যাক।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের শাসন এ দেশে মূলত অচল হয়ে পড়েছিল। তাদের কোনো নির্দেশনা কেউ মানতো না। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী কোনো কাজ হতো না। বাঙালি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানিরা। শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমরা বন্দিদশায় ছিলাম। ১৭ ডিসেম্বর মুক্তি পাই।

প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলার দুঃখী মানুষের কথা বলতে গিয়ে তিনি জীবনটা কারাগারে কাটিয়েছেন। এদেশের মানুষ যেন অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা পায় এটিই ছিল তার স্বপ্ন। পাকিস্তানের মিলানওয়ালি জেলখানায় তাকে আটকে রাখা হয়। সেই জেলখানায় গরমের সময় প্রচন্ড গরম, শীতের সময় প্রচন্ড শীত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দীর্ঘ ৯ মাস তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। আন্তর্জাতিক চাপের কারণেই পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুর্ভাগ্য যে, পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি, তাকে জীবন দিতে হয়েছিল বাংলার মাটিতে। তিনি বলেন, মাঝখানে একটা কালো অধ্যায় আমার জীবন থেকে চলে গেছে, সেই কালো অধ্যায় যেন আর কোনো দিন আমাদের দেশের মানুষের উপর ছায়া ফেলতে না পারে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলার জনগণের প্রতি। নির্বাচনে জয়ী হয়ে জাতির পিতার প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনা শুরু করলাম। আজকে যে আয়োজন হয়েছে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের রেপ্লিকায় সেই দিনটি স্মরণ করা হলো। এই কাজের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দেশের মানুষ যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে এই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে পারে, সেই কামনা করে ক্ষণগণনার শুভ সূচনা ঘোষণা করছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চলুন আজকের দিনে আমরা সেই প্রত্যয় নিই যে, এই বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করে না, বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতি মাথা উঁচু করে বিশ্বে চলবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন সেই সোনার বাংলা ইনশাআল্লাহ আমরা গড়ে তুলব।