পিয়াজ আবাদে ধুম

ছাত্ররাও নেমেছে চারা রোপণে

স্কুল-কলেজে ছাত্র উপস্থিতি কম। মাঠে মাঠে পিয়াজ আবাদের ধুম লেগেছে। কৃষক পরিবারের সন্তানেরা পিয়াজ আবাদে নেমে পড়েছে। তাতে তাদের নগদ টাকাও আয় হচ্ছে। নিজের জমিতে আবাদ কাজে সময় দিয়ে শ্রমের বিনিময়ে বাড়তি বেশ কিছু টাকা আয় করে নিচ্ছে ছাত্ররা। সাঁথিয়া, দুলাই, সুজানগর, সাতবাড়িয়া, কাশিনাথপুর, বনগ্রাম, আমিনপুর, নাজিরগঞ্জ, মালিফা, চিনাখোড়া, ধুলাউড়ি, জোরগাছা, আতাইকুলা কলেজ এবং অত্র এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়সমূহে ছাত্র উপস্থিতি একেবারেই কম। অনুসন্ধানে জানা গেল ছাত্র অনুপস্থিতির কারণ ছাত্ররা কৃষি কাজে ব্যস্ত। কৃষক পরিবারের সন্তানেরা মাঠে পিয়াজ রোপন কজ করছে। নিজ পরিবারের জমিতে কাজ করার পরে তারা টাকার বিনিময়ে শ্রম দিচ্ছেন অন্য কৃষকের জমিতে। ‘এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা’ বললেন কলেজ শিক্ষক কৃষ্ণ ভৌমিক। তিনি বললেন, একজন কৃষি শ্রমিকের দিনের মজুরি চার থেকে পাঁচশ টাকা। যেহেতু ছাত্ররা অদক্ষ ক্ষেত মজুর হিসেবে কাজ করছে অর্থাৎ পিয়াজ চারা রোপন করছে, তাই তাদের মজুরি চারশ’ টাকা। ১০ দিন পিয়াজ চারা রোপণ করে চার হাজার টাকা উপার্জন করবে একজন ছাত্র।

প্রতি একর পিয়াজের জমিতে আবাদ বাবদ খরচ হচ্ছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তাহলে প্রতি একরে উৎপাদন হবে প্রায় ১৮০ মণ পিয়াজ। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৯ লাখ টাকা। যদি তার অর্ধেকও হয় তা হবে সাড়ে চার লাখ টাকা। এ তৃতীয়াংশ হলে হবে ৩ লাখ টাকা। এ কারণেই কৃষকেরা ঝুঁকেছে পিয়াজ চাষে।

এদিকে বাজারে মুড়ি কাটা পিয়াজ (মূল কাটা) বাজারে ওঠেছে। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। গতকাল পাবনার বিভিন্ন হাট-বাজারে মূল কাটা পিয়াজ বিক্রি হয়েছে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দরে। সাঁথিয়া পৌর এলাকার বোয়াইলমারি হাটে প্রতি হাটবারে দশ থেকে বারো ট্রাক, কাশিনাথপুর হাটে পনেরো থেকে কুড়ি ট্রাক, সিএ- বি হাটে সমপরিমাণ পিয়াজ বিকিকিনি হয়েছে। এছাড়াও চিনাখোড়া, বনগ্রাম, দুলাই, ধুলাউড়ি, আতাইকুলা হাটে প্রচুর পিয়াজ কেনা-বেচা হয়। এসব পিয়াজ বোঝাই ট্রাক সরাসরি ঢাকা, চটট্টগ্রাম এবং সিলেটের মোকামে যাচ্ছে। পিয়াজ এর পাশাপাশি পিয়াজ ফুলের ফলন ভালো। প্রচুর পরিমাণ পিয়াজ ফুল বিক্রি হচ্ছে উল্লিখিত হটে এবং তা বিভিন্ন মোকামে চালান হচ্ছে।

অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে একাধিকবার বৃষ্টি হওয়ার কারণে এবার মূল কাটা পিয়াজ চাষ বিলম্বিত হয়। কৃষকেরা সাধরণত মূল কাটা পিয়াজ জমি থেকে উত্তোলনের পর নতুন করে একই জমিতে পিয়াজ চারা রোপন করে থাকে। এখানে উল্লেখ্য মুড়ি পিয়াজ বা মূল কাটা পিয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না। সংরক্ষণ করার মতো পিয়াজ উৎপন্ন হয় এপ্রিল মাসে, ডা. এখন রোপণ (চারা) করা হচেছ। অর্থাৎ এখন যে জমিতে চারা পিয়াজ রোপন করা হচ্ছে সেগুলো।

পাবনা জেলায় এবার পিয়াজ আবাদের পূর্ববর্তী সব রেকর্ড ভঙ্গ হবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারিরা জানালেন। গত বছর যেখানে পিয়াজ আবাদ হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪৮ হাজার হেক্টরে। এবার তা ৫৫ হাজার হেক্টরও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গম, বোরো ধান এবং চৈতালি অন্য ফসলের জমিতে এবার পিয়াজ আবাদ হচ্ছে। পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, ফরিদপুর, পাবনা সদর এবং চলনবিল এলাকায় বৃহত্তর রংপুর এলাকা (গাইাবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর) থেকে প্রচুর কৃষি শ্রমিক এসে পিয়াজের জমিতে শ্রম দিচ্ছে। আর এক সপ্তাহের মধ্যেই মুড়িকাটা বা চলমান সময়ের মূল কাটা পিয়াজ উত্তোলন শেষ হবে। কৃষকেরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে মাঠে টং ঘর তুলে পিয়াজ পাহারা দিচ্ছে।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী জানান, গত কয়েক মাস যাবৎ পিয়াজের অস্থিতিশীল বাজারের কারণে দেশীয় উৎপাদিত পিয়াজে দেশের চাহিদা পূরণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় তৎপর হয়েছে। সে কারণে দেশে পিয়াজের আবাদ বৃদ্ধির উপর জোর দেয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুসারে দেশে পিয়াজের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর বড় জোগান আসে পাবনা জেলা থেকে। এ কারণে পিয়াজ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান এলাকা হিসেবে পাবনাতে পিয়াজ আবাদ বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে পাবনা জেলাতে ৪৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে পিয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা অতিক্রম করে ৫৫ হাজার হেক্টরও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সুজানগর উপজেলাতেই আবাদ করা হবে ১৮ হাজারাহ ৪শ’ হেক্টরের স্থলে ১৯ হাজার পাঁচশ’ হেক্টর। সাঁথিয়া উপজেলাতে ১৭ হাজার ৬৭০ হেক্টর অতিক্রম করে আবাদ হচ্ছে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর। এছাড়া সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৪০০ হেক্টরে, আটঘড়িয়া উপজেলাতে ১ হাজার ৭৬০, ঈশ্বরদী উপজেলাতে ৬৩০ আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধার্য থাকলেও তা বেড়ে প্রায় এক হাজার হেক্টর হচ্ছে। চাটমোহর উপজেলাতে ১ হাজার একশ’ হেক্টরের পরিবর্তে দেড় হাজার হেক্টরে, ভাঙ্গুড়া উপজেলাতে ৩৮০, ফরিদপুর উপজেলাতে ১ হাজার ৩২০, বেড়া উপজেলাতে ৪ হাজার ৪৬০ হেক্টারে পিয়াজ চাষ করা শুরু হয়েছে। এ আবাদ থেকে প্রায় ৮ লাখ টন পেয়াজ উৎপন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের মাঠ কর্মী লিয়াকত আলী জানালেন, গত ক’দিন মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় মাটি নরম থাকার কারণে পিয়াজ চারা রোপণ করতে দেরি হয়েছে। তবে তিনি বলেন বৃষ্টির আগে যেসব জমিতে পিয়াজ চারা রোপণ সমাপ্ত হয়েছে সেসব জমিতে পিয়াজের ফলন ভাল হবে। তিনি আরও বললেন, এবার মাটিতে বৃষ্টির কারণে বেশ রস বা ‘জো’ আছে।

আগামীতে কৃষকেরা আরও উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল পিয়াজ আবাদে আগ্রহী। এ ব্যাপারে তারা কৃষি বিভাগ তথা সরকারের সহযোগিতা কামনা করে।

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ , ২৭ পৌষ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

পিয়াজ আবাদে ধুম

ছাত্ররাও নেমেছে চারা রোপণে

হাবিবুর রহমান স্বপন, পাবনা

image

পাবনা : ছাত্ররাও নেমেছে পিয়াজের চারা রোপণে -সংবাদ

স্কুল-কলেজে ছাত্র উপস্থিতি কম। মাঠে মাঠে পিয়াজ আবাদের ধুম লেগেছে। কৃষক পরিবারের সন্তানেরা পিয়াজ আবাদে নেমে পড়েছে। তাতে তাদের নগদ টাকাও আয় হচ্ছে। নিজের জমিতে আবাদ কাজে সময় দিয়ে শ্রমের বিনিময়ে বাড়তি বেশ কিছু টাকা আয় করে নিচ্ছে ছাত্ররা। সাঁথিয়া, দুলাই, সুজানগর, সাতবাড়িয়া, কাশিনাথপুর, বনগ্রাম, আমিনপুর, নাজিরগঞ্জ, মালিফা, চিনাখোড়া, ধুলাউড়ি, জোরগাছা, আতাইকুলা কলেজ এবং অত্র এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়সমূহে ছাত্র উপস্থিতি একেবারেই কম। অনুসন্ধানে জানা গেল ছাত্র অনুপস্থিতির কারণ ছাত্ররা কৃষি কাজে ব্যস্ত। কৃষক পরিবারের সন্তানেরা মাঠে পিয়াজ রোপন কজ করছে। নিজ পরিবারের জমিতে কাজ করার পরে তারা টাকার বিনিময়ে শ্রম দিচ্ছেন অন্য কৃষকের জমিতে। ‘এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা’ বললেন কলেজ শিক্ষক কৃষ্ণ ভৌমিক। তিনি বললেন, একজন কৃষি শ্রমিকের দিনের মজুরি চার থেকে পাঁচশ টাকা। যেহেতু ছাত্ররা অদক্ষ ক্ষেত মজুর হিসেবে কাজ করছে অর্থাৎ পিয়াজ চারা রোপন করছে, তাই তাদের মজুরি চারশ’ টাকা। ১০ দিন পিয়াজ চারা রোপণ করে চার হাজার টাকা উপার্জন করবে একজন ছাত্র।

প্রতি একর পিয়াজের জমিতে আবাদ বাবদ খরচ হচ্ছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে তাহলে প্রতি একরে উৎপাদন হবে প্রায় ১৮০ মণ পিয়াজ। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৯ লাখ টাকা। যদি তার অর্ধেকও হয় তা হবে সাড়ে চার লাখ টাকা। এ তৃতীয়াংশ হলে হবে ৩ লাখ টাকা। এ কারণেই কৃষকেরা ঝুঁকেছে পিয়াজ চাষে।

এদিকে বাজারে মুড়ি কাটা পিয়াজ (মূল কাটা) বাজারে ওঠেছে। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। গতকাল পাবনার বিভিন্ন হাট-বাজারে মূল কাটা পিয়াজ বিক্রি হয়েছে সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দরে। সাঁথিয়া পৌর এলাকার বোয়াইলমারি হাটে প্রতি হাটবারে দশ থেকে বারো ট্রাক, কাশিনাথপুর হাটে পনেরো থেকে কুড়ি ট্রাক, সিএ- বি হাটে সমপরিমাণ পিয়াজ বিকিকিনি হয়েছে। এছাড়াও চিনাখোড়া, বনগ্রাম, দুলাই, ধুলাউড়ি, আতাইকুলা হাটে প্রচুর পিয়াজ কেনা-বেচা হয়। এসব পিয়াজ বোঝাই ট্রাক সরাসরি ঢাকা, চটট্টগ্রাম এবং সিলেটের মোকামে যাচ্ছে। পিয়াজ এর পাশাপাশি পিয়াজ ফুলের ফলন ভালো। প্রচুর পরিমাণ পিয়াজ ফুল বিক্রি হচ্ছে উল্লিখিত হটে এবং তা বিভিন্ন মোকামে চালান হচ্ছে।

অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে একাধিকবার বৃষ্টি হওয়ার কারণে এবার মূল কাটা পিয়াজ চাষ বিলম্বিত হয়। কৃষকেরা সাধরণত মূল কাটা পিয়াজ জমি থেকে উত্তোলনের পর নতুন করে একই জমিতে পিয়াজ চারা রোপন করে থাকে। এখানে উল্লেখ্য মুড়ি পিয়াজ বা মূল কাটা পিয়াজ সংরক্ষণ করা যায় না। সংরক্ষণ করার মতো পিয়াজ উৎপন্ন হয় এপ্রিল মাসে, ডা. এখন রোপণ (চারা) করা হচেছ। অর্থাৎ এখন যে জমিতে চারা পিয়াজ রোপন করা হচ্ছে সেগুলো।

পাবনা জেলায় এবার পিয়াজ আবাদের পূর্ববর্তী সব রেকর্ড ভঙ্গ হবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারিরা জানালেন। গত বছর যেখানে পিয়াজ আবাদ হয়েছিল প্রায় সাড়ে ৪৮ হাজার হেক্টরে। এবার তা ৫৫ হাজার হেক্টরও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গম, বোরো ধান এবং চৈতালি অন্য ফসলের জমিতে এবার পিয়াজ আবাদ হচ্ছে। পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর, বেড়া, ফরিদপুর, পাবনা সদর এবং চলনবিল এলাকায় বৃহত্তর রংপুর এলাকা (গাইাবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর) থেকে প্রচুর কৃষি শ্রমিক এসে পিয়াজের জমিতে শ্রম দিচ্ছে। আর এক সপ্তাহের মধ্যেই মুড়িকাটা বা চলমান সময়ের মূল কাটা পিয়াজ উত্তোলন শেষ হবে। কৃষকেরা তীব্র শীত উপেক্ষা করে মাঠে টং ঘর তুলে পিয়াজ পাহারা দিচ্ছে।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী জানান, গত কয়েক মাস যাবৎ পিয়াজের অস্থিতিশীল বাজারের কারণে দেশীয় উৎপাদিত পিয়াজে দেশের চাহিদা পূরণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় তৎপর হয়েছে। সে কারণে দেশে পিয়াজের আবাদ বৃদ্ধির উপর জোর দেয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুসারে দেশে পিয়াজের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর বড় জোগান আসে পাবনা জেলা থেকে। এ কারণে পিয়াজ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান এলাকা হিসেবে পাবনাতে পিয়াজ আবাদ বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে পাবনা জেলাতে ৪৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে পিয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু এখন তা অতিক্রম করে ৫৫ হাজার হেক্টরও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সুজানগর উপজেলাতেই আবাদ করা হবে ১৮ হাজারাহ ৪শ’ হেক্টরের স্থলে ১৯ হাজার পাঁচশ’ হেক্টর। সাঁথিয়া উপজেলাতে ১৭ হাজার ৬৭০ হেক্টর অতিক্রম করে আবাদ হচ্ছে প্রায় ১৯ হাজার হেক্টর। এছাড়া সদর উপজেলায় ৪ হাজার ৪০০ হেক্টরে, আটঘড়িয়া উপজেলাতে ১ হাজার ৭৬০, ঈশ্বরদী উপজেলাতে ৬৩০ আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধার্য থাকলেও তা বেড়ে প্রায় এক হাজার হেক্টর হচ্ছে। চাটমোহর উপজেলাতে ১ হাজার একশ’ হেক্টরের পরিবর্তে দেড় হাজার হেক্টরে, ভাঙ্গুড়া উপজেলাতে ৩৮০, ফরিদপুর উপজেলাতে ১ হাজার ৩২০, বেড়া উপজেলাতে ৪ হাজার ৪৬০ হেক্টারে পিয়াজ চাষ করা শুরু হয়েছে। এ আবাদ থেকে প্রায় ৮ লাখ টন পেয়াজ উৎপন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ দফতরের মাঠ কর্মী লিয়াকত আলী জানালেন, গত ক’দিন মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় মাটি নরম থাকার কারণে পিয়াজ চারা রোপণ করতে দেরি হয়েছে। তবে তিনি বলেন বৃষ্টির আগে যেসব জমিতে পিয়াজ চারা রোপণ সমাপ্ত হয়েছে সেসব জমিতে পিয়াজের ফলন ভাল হবে। তিনি আরও বললেন, এবার মাটিতে বৃষ্টির কারণে বেশ রস বা ‘জো’ আছে।

আগামীতে কৃষকেরা আরও উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল পিয়াজ আবাদে আগ্রহী। এ ব্যাপারে তারা কৃষি বিভাগ তথা সরকারের সহযোগিতা কামনা করে।