কিশোরী গণধর্ষণ গ্রেফতার ৫

নোয়াখালীতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বান্ধবীর সহযোগিতায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো- হাসান, সিফাত, সবুজ, রনি এবং ওই কিশোরীর বান্ধবী স্বপ্না। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রতন নামে এক যুবক এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে নোয়াখালীর সেনবাগে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এরআগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ গণঘর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতেই ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি ওই রাতেই কিশোরীটিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। কিশোরীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি এবিএম মশিউর রহমান বলেন, কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম কিশোরীর বান্ধবী স্বপ্নার সহায়তায় কৌশলে তাকে ওই ভবনে নিয়ে যায় ৫ জন। সেখানে নেয়ার পর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে কিশোরীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় নিয়ে আসেন। রাতেই তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়। ওসি আরো বলেন, ওই রাতেই কিশোরীটির মা নিজেই বাদী হয়ে বান্ধবী স্বপ্নাসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পরেই কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রতন নামে একজন এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সেনবাগে স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’

প্রতিনিধি, সেনবাগ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে। উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে বাদশা মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাদশা ওই ইউনিয়নের হোমনাবাদ শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে সেনবাগ থানায় মামলা করেছে মেয়েটির পরিবার। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওঁৎ পেতে থাকা বাদশা ওই ছাত্রীকে তার বাড়ির উঠান থেকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে রাতেই তারা পুলিশে জানায়। পরে পুলিশ অভিযুক্ত বাদশাকে গ্রেপ্তার করে।

সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযুক্ত বাদশাকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০ , ২৭ পৌষ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

কিশোরী গণধর্ষণ গ্রেফতার ৫

নোয়াখালীতে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বান্ধবীর সহযোগিতায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো- হাসান, সিফাত, সবুজ, রনি এবং ওই কিশোরীর বান্ধবী স্বপ্না। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রতন নামে এক যুবক এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে নোয়াখালীর সেনবাগে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এরআগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এ গণঘর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতেই ভিকটিম কিশোরীর মা বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি ওই রাতেই কিশোরীটিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। কিশোরীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি এবিএম মশিউর রহমান বলেন, কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম কিশোরীর বান্ধবী স্বপ্নার সহায়তায় কৌশলে তাকে ওই ভবনে নিয়ে যায় ৫ জন। সেখানে নেয়ার পর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে কিশোরীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় নিয়ে আসেন। রাতেই তাকে ঢামেক হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়। ওসি আরো বলেন, ওই রাতেই কিশোরীটির মা নিজেই বাদী হয়ে বান্ধবী স্বপ্নাসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা দায়েরের পরেই কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রতন নামে একজন এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সেনবাগে স্কুলছাত্রীকে ‘ধর্ষণ’

প্রতিনিধি, সেনবাগ (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পাওয়া গেছে। উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে বাদশা মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাদশা ওই ইউনিয়নের হোমনাবাদ শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে সেনবাগ থানায় মামলা করেছে মেয়েটির পরিবার। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওঁৎ পেতে থাকা বাদশা ওই ছাত্রীকে তার বাড়ির উঠান থেকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে রাতেই তারা পুলিশে জানায়। পরে পুলিশ অভিযুক্ত বাদশাকে গ্রেপ্তার করে।

সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, অভিযুক্ত বাদশাকে শুক্রবার দুপুরে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।