টানা আট দিন মঞ্চে মোমেনা

মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ ‘লাল জমিন’। ‘শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটার’র প্রথম প্রযোজিত এই একক মঞ্চ নাটকটি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে টানা মঞ্চস্থ করে যাচ্ছে। এই নাটকে একক অভিনয় করেন গুণী অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী। ‘লাল জমিন’ নাটকটি রচনা করেছেন মান্নান হীরা, নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। এই নাটকের মাধ্যমে দেশ বিদেশে বেশ সুনাম কুঁড়াচ্ছেন মোমেনা চৌধুরী। ‘লাল জমিন’র প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২০১১ সালের ১৯ মে। এরইমধ্যে দুই শতাধিক বার নাটকটির মঞ্চায়ন হয়েছে। এই নাটক উপভোগ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও। তবে এই মঞ্চ নাটকটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখানোরও স্বপ্ন রয়েছে মোমেনা চৌধুরীর। এদিকে ‘লালজমিন’ এর টানা মঞ্চায়ন নিয়ে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন মোমেনা চৌধুরী। গতকাল রাজবাড়িতে নাটকটির ২২৪’তম মঞ্চায়ন হয়েছে। পরবর্তীতে ১৭ জানুয়ারি ২২৫তম চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে, ২১ জানুয়ারি ২২৬তম শরীয়তপুরের গোসারইরহাঁটে, ২২ জানুয়ারি ২২৭তম ভেদরগঞ্জে, ২৩ জানুয়ারি ২২৮তম দামুদা উপজেলায়, ২৫ জানুয়ারি ২২৯তম নারিয়া উপজেলায়, ২৬ জানুয়ারি ২৩০তম শরীয়তপুর সদরে এবং ২৭ জানুয়ারি ২৩১তম মঞ্চায়ন হবে শরীয়তপুরের জাজিরাতে। মোমেনা চৌধুরী বলেন,‘দেশে বিদেশে এরইমধ্যে অনেকেই লালজমিন উপভোগ করেছেন। তারা লালজমিনের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু যেহেতু লালজমিন মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ, তাই এই নাট্যপ্রকাশটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখানোর অনেক বড় স্বপ্ন আমার। যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি নাটক। তাই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে তাকে লালজমিন দেখানোর প্রবল ইচ্ছে আমার। আমি সবসময়ই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এই নাটকের নাট্যকার মান্নান হীরার কাছে। কারণ তিনি যদি এই নটাক না লিখতেন তাহলে লালজমিন আজ ইতিহাস হয়ে উঠত না। ধন্যবাদ এই নাটকের নির্দেশককে। কৃতজ্ঞতা জানানই সবসময় দর্শককে। লালজমিনের ১০০’তম মঞ্চায়ন হয় ২০১৭ শালের মার্চ মাসে। আর ২০০তম মঞ্চায়ন হয় ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ বিমানবন্দরের বিএটিসি মিলনায়তনে। গেলো বিজয়ের মাসে ১৩টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেষ হয় লালজমিন’র ২০১৯ সাল। বছরের শেষদিন নরসিংদীর পুলিশ লাইনে ২২৩তম মঞ্চায়ন হয় লালজমিনের।

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২০ , ২৯ পৌষ ১৪২৬, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

টানা আট দিন মঞ্চে মোমেনা

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ ‘লাল জমিন’। ‘শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটার’র প্রথম প্রযোজিত এই একক মঞ্চ নাটকটি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে টানা মঞ্চস্থ করে যাচ্ছে। এই নাটকে একক অভিনয় করেন গুণী অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী। ‘লাল জমিন’ নাটকটি রচনা করেছেন মান্নান হীরা, নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। এই নাটকের মাধ্যমে দেশ বিদেশে বেশ সুনাম কুঁড়াচ্ছেন মোমেনা চৌধুরী। ‘লাল জমিন’র প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২০১১ সালের ১৯ মে। এরইমধ্যে দুই শতাধিক বার নাটকটির মঞ্চায়ন হয়েছে। এই নাটক উপভোগ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদও। তবে এই মঞ্চ নাটকটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখানোরও স্বপ্ন রয়েছে মোমেনা চৌধুরীর। এদিকে ‘লালজমিন’ এর টানা মঞ্চায়ন নিয়ে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যস্ত থাকবেন মোমেনা চৌধুরী। গতকাল রাজবাড়িতে নাটকটির ২২৪’তম মঞ্চায়ন হয়েছে। পরবর্তীতে ১৭ জানুয়ারি ২২৫তম চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে, ২১ জানুয়ারি ২২৬তম শরীয়তপুরের গোসারইরহাঁটে, ২২ জানুয়ারি ২২৭তম ভেদরগঞ্জে, ২৩ জানুয়ারি ২২৮তম দামুদা উপজেলায়, ২৫ জানুয়ারি ২২৯তম নারিয়া উপজেলায়, ২৬ জানুয়ারি ২৩০তম শরীয়তপুর সদরে এবং ২৭ জানুয়ারি ২৩১তম মঞ্চায়ন হবে শরীয়তপুরের জাজিরাতে। মোমেনা চৌধুরী বলেন,‘দেশে বিদেশে এরইমধ্যে অনেকেই লালজমিন উপভোগ করেছেন। তারা লালজমিনের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু যেহেতু লালজমিন মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ, তাই এই নাট্যপ্রকাশটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখানোর অনেক বড় স্বপ্ন আমার। যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি নাটক। তাই সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করে তাকে লালজমিন দেখানোর প্রবল ইচ্ছে আমার। আমি সবসময়ই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এই নাটকের নাট্যকার মান্নান হীরার কাছে। কারণ তিনি যদি এই নটাক না লিখতেন তাহলে লালজমিন আজ ইতিহাস হয়ে উঠত না। ধন্যবাদ এই নাটকের নির্দেশককে। কৃতজ্ঞতা জানানই সবসময় দর্শককে। লালজমিনের ১০০’তম মঞ্চায়ন হয় ২০১৭ শালের মার্চ মাসে। আর ২০০তম মঞ্চায়ন হয় ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ বিমানবন্দরের বিএটিসি মিলনায়তনে। গেলো বিজয়ের মাসে ১৩টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে শেষ হয় লালজমিন’র ২০১৯ সাল। বছরের শেষদিন নরসিংদীর পুলিশ লাইনে ২২৩তম মঞ্চায়ন হয় লালজমিনের।