গৃহবধূকে আটকে রেখে এক মাস ধরে গণধর্ষণ

চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে অপহ্নত গৃহবধূকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে। সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ গত রোববার গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তাকে অপহরণ ও গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দূর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অন্যদেরকে ধরতে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ি থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা (নম্বর-১১) দায়ের করা পুলিশ জানায়,গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ বাসা থেকে বের হয়ে বাথরুমে যায়। তখন ওৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা তাকে মুখ চেপে ধরে ঘরের ভেতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই সময় বাসার আলমারি খুলে নগদ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণলয়ংকারসহ অন্য জিনিসপত্র লুট করে। এরপর তাকে আবার চোখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে পুলিশের সহযোগিতা চায়। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। অবশেষে গত ১২ জানুয়ারি অপহ্নত গৃহবধূ দূর্বৃত্তদের একটি মোবাইল ফোন থেকে কৌশলে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি সোনাইমুড়ি থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গত রোববার চট্টগ্রামের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। ধর্ষিতা নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

ঘটনায় জড়িত ধর্ষক সোলেমান, মহসীন, আবুল কালামসহ কয়েকজন। পুলিশ হাতেনাতে দূর্বৃত্ত ধর্ষক সোলেমানকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোনাইমুড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, অপহ্নত ও নির্যাতিত গৃহবধূ একটু সুস্থ হয়ে উঠলে আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। নির্যাতিত গৃহবধূ ৩ সন্তানের জননী। তার ছেলে মেয়েদেরকে দূর্বত্তরা হত্যার হুমকি দিয়েছে। নোয়াখালীকে একের পর এক গৃহবধূ ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হলেও রহস্যজনক কারণে এ ধরনের নির্যাতন কমছে না।

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১ মাঘ ১৪২৬, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

নোয়াখালী থেকে অপহরণ করে

গৃহবধূকে আটকে রেখে এক মাস ধরে গণধর্ষণ

চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে অপহ্নত গৃহবধূকে চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে। সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ গত রোববার গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তাকে অপহরণ ও গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দূর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অন্যদেরকে ধরতে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ি থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা (নম্বর-১১) দায়ের করা পুলিশ জানায়,গত ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ওই গৃহবধূ বাসা থেকে বের হয়ে বাথরুমে যায়। তখন ওৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা তাকে মুখ চেপে ধরে ঘরের ভেতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই সময় বাসার আলমারি খুলে নগদ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণলয়ংকারসহ অন্য জিনিসপত্র লুট করে। এরপর তাকে আবার চোখ বেঁধে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে পুলিশের সহযোগিতা চায়। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। অবশেষে গত ১২ জানুয়ারি অপহ্নত গৃহবধূ দূর্বৃত্তদের একটি মোবাইল ফোন থেকে কৌশলে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। বিষয়টি সোনাইমুড়ি থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ গত রোববার চট্টগ্রামের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ তার জবানবন্দি রেকর্ড করে। ধর্ষিতা নিজেই বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

ঘটনায় জড়িত ধর্ষক সোলেমান, মহসীন, আবুল কালামসহ কয়েকজন। পুলিশ হাতেনাতে দূর্বৃত্ত ধর্ষক সোলেমানকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোনাইমুড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, অপহ্নত ও নির্যাতিত গৃহবধূ একটু সুস্থ হয়ে উঠলে আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। নির্যাতিত গৃহবধূ ৩ সন্তানের জননী। তার ছেলে মেয়েদেরকে দূর্বত্তরা হত্যার হুমকি দিয়েছে। নোয়াখালীকে একের পর এক গৃহবধূ ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হলেও রহস্যজনক কারণে এ ধরনের নির্যাতন কমছে না।