ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্যমেলা

সময় যত শেষ হয়ে আসছে ততই জমে উঠছে বাণিজ্যমেলা। প্রতিদিনই ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেচাকেনা। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণের চিত্র ছিল সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় ভিন্ন। সকালের হালকা শীত উপেক্ষা করে মেলায় এসেছেন হাজারও দর্শনার্থী। দুপুর গড়ানোর আগেই ক্রেতা-দর্শনার্থীতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বেচাকেনাও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন স্টলের বিক্রয় কর্মীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, মেলার প্রধান ফটক উন্মুক্ত করে দেয়ার আগেই সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছেন বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নে কর্মরতরা। সঙ্গে চোখে পড়ার মতো ছিল দর্শনার্থী। এরইমধ্যে টিকিট সংগ্রহ করে একে একে মেলার মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন দর্শনার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাদের সংখ্যা। দুপুর ১২টার আগেই যেন কানায় কানায় ভরে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। অন্যদিকে সপ্তাহের অন্যদিনে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা গেলেও গতকাল তা ভিন্ন। এদিন দর্শনার্থীর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি হয় বলে বিক্রেতা সূত্রে জানা যায়। মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থী প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পণ্য বেচা-বিক্রি। আগতদের অনেকেই স্টল কর্তৃপক্ষের কাছে পণ্যের গুণাগুণ বিষয়ে জানতে চান। তা জেনে অনেকেই কেনা-কাটায় সময় কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

অপরদিকে বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগমনে হিমশিম খেতে হয়েছে স্টলের কর্মীদের। মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন আবু হাসান। তিনি বলেন, শুক্রবার ভীড় বেশি হবে তাই অনেক সকালে মেলায় এসেছি। তারপরও অনেক ভীড়ের মধ্যে পড়েছি। একটি পণ্য কিনতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফার্নিচার কেনার উদ্দেশে পুরান ঢাকা থেকে মেলায় এসেছেন হারুন। তিনি বলেন, ভালোমানের পণ্য আর দেখে নেয়ার সুযোগ আছে মেলায়।

ক্রেতাদের আকর্ষণে বিভিন্ন পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আশানুরূপ ক্রেতা-দর্শনার্থী পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরাও। মেলায় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য। এছাড়া ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, কড়াই, প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেনও রয়েছে এ তালিকায়। এছাড়া ঘর সাজানোর ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজও রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়। মেলায় নজরকাড়া সব পণ্য নিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব প্যাভিলিয়নে প্লেট, গ্লাস, মগ, স্যুপ বাটি, চামচ, বোল (বাটি), কাপ-পিরিচ ও ট্রে পাওয়া যাচ্ছে। সারমিন খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, মেলায় সব ধরনের গৃহস্থালি পণ্য এক জায়গায় পাওয়া যায়। তাই মেলায় এসে ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, কড়াই কিনেছি। এছাড়া ফার্নিচার ও টিভিও ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। পারটেক্স ফার্নিচারের বিক্রিয়কর্মী নজরুল ইসলাম জানান, মেলায় শেষ মুহূর্তে দর্শনার্থী বেশি আসছে। এখন অর্ডারও বেশি। উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০ , ১১ মাঘ ১৪২৬, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪১

ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্যমেলা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

সময় যত শেষ হয়ে আসছে ততই জমে উঠছে বাণিজ্যমেলা। প্রতিদিনই ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেচাকেনা। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণের চিত্র ছিল সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় ভিন্ন। সকালের হালকা শীত উপেক্ষা করে মেলায় এসেছেন হাজারও দর্শনার্থী। দুপুর গড়ানোর আগেই ক্রেতা-দর্শনার্থীতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ। বেচাকেনাও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন স্টলের বিক্রয় কর্মীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, মেলার প্রধান ফটক উন্মুক্ত করে দেয়ার আগেই সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছেন বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়নে কর্মরতরা। সঙ্গে চোখে পড়ার মতো ছিল দর্শনার্থী। এরইমধ্যে টিকিট সংগ্রহ করে একে একে মেলার মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন দর্শনার্থীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তাদের সংখ্যা। দুপুর ১২টার আগেই যেন কানায় কানায় ভরে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। অন্যদিকে সপ্তাহের অন্যদিনে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা গেলেও গতকাল তা ভিন্ন। এদিন দর্শনার্থীর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা বেশি হয় বলে বিক্রেতা সূত্রে জানা যায়। মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থী প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পণ্য বেচা-বিক্রি। আগতদের অনেকেই স্টল কর্তৃপক্ষের কাছে পণ্যের গুণাগুণ বিষয়ে জানতে চান। তা জেনে অনেকেই কেনা-কাটায় সময় কাটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

অপরদিকে বেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগমনে হিমশিম খেতে হয়েছে স্টলের কর্মীদের। মিরপুর থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন আবু হাসান। তিনি বলেন, শুক্রবার ভীড় বেশি হবে তাই অনেক সকালে মেলায় এসেছি। তারপরও অনেক ভীড়ের মধ্যে পড়েছি। একটি পণ্য কিনতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। ফার্নিচার কেনার উদ্দেশে পুরান ঢাকা থেকে মেলায় এসেছেন হারুন। তিনি বলেন, ভালোমানের পণ্য আর দেখে নেয়ার সুযোগ আছে মেলায়।

ক্রেতাদের আকর্ষণে বিভিন্ন পণ্যে বিশেষ মূল্যছাড় দিচ্ছেন বিক্রেতারা। আশানুরূপ ক্রেতা-দর্শনার্থী পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরাও। মেলায় ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে প্লাস্টিকের তৈরি পণ্য। এছাড়া ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, কড়াই, প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, জুস মেকার, জুস ব্লেন্ডার, ওভেনও রয়েছে এ তালিকায়। এছাড়া ঘর সাজানোর ফার্নিচার, টিভি, ফ্রিজও রয়েছে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায়। মেলায় নজরকাড়া সব পণ্য নিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ প্লাস্টিক ও ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এসব প্যাভিলিয়নে প্লেট, গ্লাস, মগ, স্যুপ বাটি, চামচ, বোল (বাটি), কাপ-পিরিচ ও ট্রে পাওয়া যাচ্ছে। সারমিন খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, মেলায় সব ধরনের গৃহস্থালি পণ্য এক জায়গায় পাওয়া যায়। তাই মেলায় এসে ননস্টিক ফ্রাইপ্যান, কড়াই কিনেছি। এছাড়া ফার্নিচার ও টিভিও ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। পারটেক্স ফার্নিচারের বিক্রিয়কর্মী নজরুল ইসলাম জানান, মেলায় শেষ মুহূর্তে দর্শনার্থী বেশি আসছে। এখন অর্ডারও বেশি। উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।