ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের জন্য আনলাইনে ৩ দিনে ২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দেয়ার পর ১২-১৫ দিন পর সাক্ষাতের সময় দেয়া হয়। গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করেন। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরের বাসিন্দারা ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, সচিবালয় ও ক্যান্টনমেন্টে এলাকার বাসিন্দাদের আবেদন জমা নেয়া হচ্ছে। গত তিন দিন অর্থাৎ ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই হাজার আবেদন জমা পড়েছে বলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়।
জানা গেছে, ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহে ১৫ মিনিট করে সময় লাগবে। সেই হিসাবে কার্যঘণ্টা ও বুথ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ নির্ধারণ করছে ই-পাসপোর্টের অনলাইন সফটওয়্যার। একেবারে নতুন এবং যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, নবায়ন করতে হবে, এমন নাগরিকদের কাছ থেকেই ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র নেয়া হচ্ছে। তবে যাদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) মেয়াদ ৬ মাসের বেশি আছে তাদেরকে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। একজন আবেদনকারী আবেদনের বায়োমেট্রিক দেয়ার পর থেকে তার আবেদনের নির্ধারিত (৩ দিন, ৭ দিন, ২১ দিন) দিনক্ষণ গণনা শুরু হবে। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ ই-পাসপোর্ট আবেদনকারী নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১২-১৫ দিন বিলম্বে পাসপোর্ট পাবেন বলে পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে আবেদনের সম্পূর্ণ পদ্ধতি অনলাইনে। দ্বিতীয় ধাপের জন্য আবেদনকারীকে অধিদফতরে আসতে হবে। অনেকেই এই বিষয়টি না জেনে এবং অনলাইনে আবেদন না করে অধিদফতরে এসে ই-পাসপোর্টের জন্য ছোটাছুটি করছেন। ই-পাসপোর্টের বুথগুলোতে লাইন নেই বলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তবে আমরা অনেকের কাছেই আমাদের মেসেজ স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি। ইতোমধ্যে তিন দিনে অনলাইনে দুই হাজার ই-পাসপোর্টের আবেদন পাওয়া গেছে।
ই-পাসপোর্টের বই দেখতে অনেকটা চলমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) মতোই হবে। তবে এমআরপির প্রথম দুই পাতায় পাসপোর্টধারীর তথ্য থাকলেও ই-পাসপোর্টের দ্বিতীয় পাতাটি থাকবে একটি পলিমারের তৈরি কার্ডের মতো (ডেবিট/ক্রেডিট/এটিএম কার্ড সদৃশ)। কার্ডে পাসপোর্ট বাহকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখসহ বিভিন্ন মৌলিক তথ্য থাকবে। এছাড়াও সেই কার্ডের ভেতর একটি মাইক্রো চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য ও ডাটাবেজ সংরক্ষিত (কিন্তু অদৃশ্যমান) থাকবে। ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদনের পর অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদের (বিআরসি) ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি মূলকপিও অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দেখাতে হবে। এছাড়াও অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এমআরপিকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সর্বশেষ পাসপোর্টের ফটোকপিও জমা দিতে হবে বলে পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের জন্য আনলাইনে ৩ দিনে ২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। অনলাইনে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দেয়ার পর ১২-১৫ দিন পর সাক্ষাতের সময় দেয়া হয়। গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করেন। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ঢাকা শহরের বাসিন্দারা ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, সচিবালয় ও ক্যান্টনমেন্টে এলাকার বাসিন্দাদের আবেদন জমা নেয়া হচ্ছে। গত তিন দিন অর্থাৎ ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই হাজার আবেদন জমা পড়েছে বলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়।
জানা গেছে, ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহে ১৫ মিনিট করে সময় লাগবে। সেই হিসাবে কার্যঘণ্টা ও বুথ অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ নির্ধারণ করছে ই-পাসপোর্টের অনলাইন সফটওয়্যার। একেবারে নতুন এবং যাদের এমআরপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, নবায়ন করতে হবে, এমন নাগরিকদের কাছ থেকেই ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র নেয়া হচ্ছে। তবে যাদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) মেয়াদ ৬ মাসের বেশি আছে তাদেরকে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। একজন আবেদনকারী আবেদনের বায়োমেট্রিক দেয়ার পর থেকে তার আবেদনের নির্ধারিত (৩ দিন, ৭ দিন, ২১ দিন) দিনক্ষণ গণনা শুরু হবে। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় সাধারণ ই-পাসপোর্ট আবেদনকারী নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১২-১৫ দিন বিলম্বে পাসপোর্ট পাবেন বলে পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে আবেদনের সম্পূর্ণ পদ্ধতি অনলাইনে। দ্বিতীয় ধাপের জন্য আবেদনকারীকে অধিদফতরে আসতে হবে। অনেকেই এই বিষয়টি না জেনে এবং অনলাইনে আবেদন না করে অধিদফতরে এসে ই-পাসপোর্টের জন্য ছোটাছুটি করছেন। ই-পাসপোর্টের বুথগুলোতে লাইন নেই বলে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তবে আমরা অনেকের কাছেই আমাদের মেসেজ স্পষ্টভাবে পৌঁছে দিতে পেরেছি। ইতোমধ্যে তিন দিনে অনলাইনে দুই হাজার ই-পাসপোর্টের আবেদন পাওয়া গেছে।
ই-পাসপোর্টের বই দেখতে অনেকটা চলমান মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (এমআরপি) মতোই হবে। তবে এমআরপির প্রথম দুই পাতায় পাসপোর্টধারীর তথ্য থাকলেও ই-পাসপোর্টের দ্বিতীয় পাতাটি থাকবে একটি পলিমারের তৈরি কার্ডের মতো (ডেবিট/ক্রেডিট/এটিএম কার্ড সদৃশ)। কার্ডে পাসপোর্ট বাহকের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখসহ বিভিন্ন মৌলিক তথ্য থাকবে। এছাড়াও সেই কার্ডের ভেতর একটি মাইক্রো চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট বাহকের সব গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য ও ডাটাবেজ সংরক্ষিত (কিন্তু অদৃশ্যমান) থাকবে। ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর তিন ধরনের ছবি, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদনের পর অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিন জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদের (বিআরসি) ফটোকপি নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি মূলকপিও অধিদফতরের কর্মকর্তাদের দেখাতে হবে। এছাড়াও অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এমআরপিকে ই-পাসপোর্টে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সর্বশেষ পাসপোর্টের ফটোকপিও জমা দিতে হবে বলে পাসপোর্ট অধিদফতর সূত্র জানায়।