সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশের ওপর হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেয়া স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ ও নোয়াব উভয়পক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এছাড়া রিট আবেদনকারী নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি মতিউর রহমানের পক্ষে ছিলেন এএম আমিন উদ্দিন এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী।
গত ৬ আগস্ট সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন বাড়াতে নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলও জারি করা হয়। নোয়াব সভাপতি হিসেবে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এ দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন। দীর্ঘদিন বিষয়টি ঝুলে থাকার পর আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গতবছর ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়। পরে নোয়াবের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মতিউর রহমান গত বছরের মে মাসে এই রিট আবেদন করেন।
পরে গতবছর ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা করে সরকার, যা ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়। বিচারপতি নিজামুল হক ওই বছরের ৪ নভেম্বর তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
ওই প্রতিবেদন গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হলে মন্ত্রিসভা তা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে ওই সময়কর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভা কমিটি করে দেয়। নতুন সরকার গঠনের পর ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারির মন্ত্রিসভা বৈঠকে আগের মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মন্ত্রিসভা কমিটি করে সরকার।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০ , ১৩ মাঘ ১৪২৬, ১ জমাদিউস সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশের ওপর হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তি করার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের দেয়া স্থিতাবস্থার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ ও নোয়াব উভয়পক্ষের আবেদন নিষ্পত্তি করে গতকাল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এছাড়া রিট আবেদনকারী নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি মতিউর রহমানের পক্ষে ছিলেন এএম আমিন উদ্দিন এবং তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী।
গত ৬ আগস্ট সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন বাড়াতে নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলও জারি করা হয়। নোয়াব সভাপতি হিসেবে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এ দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন। দীর্ঘদিন বিষয়টি ঝুলে থাকার পর আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গতবছর ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়। পরে নোয়াবের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মতিউর রহমান গত বছরের মে মাসে এই রিট আবেদন করেন।
পরে গতবছর ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা ঘোষণা করে সরকার, যা ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়। বিচারপতি নিজামুল হক ওই বছরের ৪ নভেম্বর তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।
ওই প্রতিবেদন গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হলে মন্ত্রিসভা তা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে ওই সময়কর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভা কমিটি করে দেয়। নতুন সরকার গঠনের পর ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারির মন্ত্রিসভা বৈঠকে আগের মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মন্ত্রিসভা কমিটি করে সরকার।