শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, শত বাধা আর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার আত্মপ্রত্যয়ী নেতৃত্বে জনকল্যাণমুখী আধুনিক বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের বিস্ময়।

গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও এ বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর গতকাল আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের মো. আবছারুল আমীন, নেছা আহমেদ, আবু জাহির, মো. মাজাহারুল হক প্রধান, সেলিম আলতাফ জর্জ, আনোয়রুল আবদীন আনার, আহাসানুল ইসলাম টিটু, মো. মোজ্জাফফর হোসেন, বেগম জাকিয়া পারভিন, বেগম ফেরদৌসি ইসলাম, জাতীয় পার্টির বেগম নাজমা আক্তার।

সরকারি দলের আফছারুল আমীন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া বিভিন্ন বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, রাজস্ব ও মুদ্রা খাতে অনুশ্রিত নীতির ফলে গত অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৫ শতাংশ রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ থেকে ‘১৮- ’১৯ পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আহরিত রাজস্বের পরিমাণ চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা বর্তমান সরকারে সাফল্য। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দরিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ভিষণ ২০২১ ও ২০৪১ প্রণয়নের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে অনেক সফলতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮২ শতাংশ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থসামাজিক উন্নয়নে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে সবাই আজ একতাবদ্ধ। সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ন এবং সমাজের সব স্তরে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ বছর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব।

এদিকে, পুরনো ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে নগর পুনঃউন্নয়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শম রেজাউল করিম। এজন্য পুরনো ঢাকার সাতটি জায়গা ঠিক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল জাতীয় সংসদের প্রশ্ন-উত্তরে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে হাজারিবাগ ট্যানারি এলাকাকে একটি মিশ্র এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। নগর পুনঃউন্নয়ন প্রকল্প প্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে পুরনো ঢাকার ইসলামবাগ, চকবাজার, মৌলভীবাজার, বংশাল, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীচর ও লালবাগে ৭টি সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সমীক্ষা প্রতিবেদন পরিচালনা করার জন্য টার্মস অব রেফারেন্সস প্রণয়নের কাজ চলছে। নগর পুনঃউন্নয়ন ধারণা বাংলাদেশে নতুন হওয়ায় এর কারিগরি ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের কাজ চলছে বলেও নানান তিনি।

জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে পাবলিক অথবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৪৬টি পাবলিক ও ৯৪টি বেসসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দীপু মনি আরও বলেন, ২০১২ সালে ফেনি ইউনিভার্সিটি নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ফেনিতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সরকার বিবেচনা করতে পারে। তবে কোন সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।

সরকারি দলের সদস্য নূর মোহাম্মদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশে বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯০ ভাগ। এর মধ্যে পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৭০ ভাগ এবং নারী স্বাক্ষরতার হার ৭১ দশমিক ২০ ভাগ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এ হিসেব অনুযায়ী স্বাক্ষরতার দিক থেকে পুরুষের চেয়ে নারীরা গড়ে শতকরা ৫ ভাগ পিছিয়ে রয়েছে। জাকির হোসেন জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো থেকে বয়স্ক স্বাক্ষরতার এ হার বৃদ্ধি করতে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প ২৫০টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নারী-পুরুষকে স্বাক্ষরতা প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২২ লাখ ৫০ হাজার নিরক্ষর নারীকে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী হিসেবে এ বছর মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের মাধ্যমে ২১ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে স্বাক্ষরতা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেক নরী রয়েছে। এছাড়া বর্তমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বাস্তাবায়নের লক্ষ্যে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়ন কর্মসূচি নামে একটি বৃহৎ প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

বিএনপির সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের এক প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সরকার ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রমে মাথাপিছু মাসিক ৭৫০ টাকা করে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার জনকে ১ হাজার ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমে ৪টি স্তরে উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ জন। এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এসব প্রতিবন্ধী ভাতা সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রদান করা হয়।

আরও খবর
বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের ক্ষেত্র
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে কাজ করতে হবে শিক্ষামন্ত্রী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন আইন অনুমোদন
ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক
বিএনপি আচরণবিধি লংঘন করেছে তথ্যমন্ত্রী
একে আজাদের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ
নোয়াখালীতে ৫ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট
পাবনায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়ি-ঘর ভাঙচুর আহত ১৫
উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি দুদক কমিশনার
জমে উঠেছে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব
শরীয়ত বয়াতির মুক্তি দাবি উদীচীর সমাবেশ
কলাকেন্দ্রে শিল্পী হাবীবের একক চিত্র প্রদর্শনী
শিল্পকলায় থিয়েটারের ‘বারামখানা’ মঞ্চায়ন আজ

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১

সংসদে সরকারি দল

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়

সংসদ বার্তা পরিবেশক

রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, শত বাধা আর ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শেখ হাসিনার আত্মপ্রত্যয়ী নেতৃত্বে জনকল্যাণমুখী আধুনিক বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বের বিস্ময়।

গত ৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন। একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ ও এ বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর গতকাল আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের মো. আবছারুল আমীন, নেছা আহমেদ, আবু জাহির, মো. মাজাহারুল হক প্রধান, সেলিম আলতাফ জর্জ, আনোয়রুল আবদীন আনার, আহাসানুল ইসলাম টিটু, মো. মোজ্জাফফর হোসেন, বেগম জাকিয়া পারভিন, বেগম ফেরদৌসি ইসলাম, জাতীয় পার্টির বেগম নাজমা আক্তার।

সরকারি দলের আফছারুল আমীন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া বিভিন্ন বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, রাজস্ব ও মুদ্রা খাতে অনুশ্রিত নীতির ফলে গত অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৫ শতাংশ রাখা সম্ভব হয়েছে। ২০০৯ থেকে ‘১৮- ’১৯ পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আহরিত রাজস্বের পরিমাণ চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা বর্তমান সরকারে সাফল্য। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দরিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে ভিষণ ২০২১ ও ২০৪১ প্রণয়নের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সরকার সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে অনেক সফলতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৮২ শতাংশ সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর অষ্টম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থসামাজিক উন্নয়নে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণী ও পেশা নির্বিশেষে সবাই আজ একতাবদ্ধ। সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ন এবং সমাজের সব স্তরে জনগণের সর্বাত্মক অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ বছর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব।

এদিকে, পুরনো ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে নগর পুনঃউন্নয়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শম রেজাউল করিম। এজন্য পুরনো ঢাকার সাতটি জায়গা ঠিক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল জাতীয় সংসদের প্রশ্ন-উত্তরে সরকারি দলের সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে হাজারিবাগ ট্যানারি এলাকাকে একটি মিশ্র এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। নগর পুনঃউন্নয়ন প্রকল্প প্রহণের জন্য প্রাথমিকভাবে পুরনো ঢাকার ইসলামবাগ, চকবাজার, মৌলভীবাজার, বংশাল, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীচর ও লালবাগে ৭টি সম্ভাব্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সমীক্ষা প্রতিবেদন পরিচালনা করার জন্য টার্মস অব রেফারেন্সস প্রণয়নের কাজ চলছে। নগর পুনঃউন্নয়ন ধারণা বাংলাদেশে নতুন হওয়ায় এর কারিগরি ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতার জন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের কাজ চলছে বলেও নানান তিনি।

জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি করে পাবলিক অথবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৪৬টি পাবলিক ও ৯৪টি বেসসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দীপু মনি আরও বলেন, ২০১২ সালে ফেনি ইউনিভার্সিটি নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ফেনিতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সরকার বিবেচনা করতে পারে। তবে কোন সরকারি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।

সরকারি দলের সদস্য নূর মোহাম্মদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশে বর্তমানে স্বাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯০ ভাগ। এর মধ্যে পুরুষ স্বাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক ৭০ ভাগ এবং নারী স্বাক্ষরতার হার ৭১ দশমিক ২০ ভাগ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এ হিসেব অনুযায়ী স্বাক্ষরতার দিক থেকে পুরুষের চেয়ে নারীরা গড়ে শতকরা ৫ ভাগ পিছিয়ে রয়েছে। জাকির হোসেন জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো থেকে বয়স্ক স্বাক্ষরতার এ হার বৃদ্ধি করতে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প ২৫০টি উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নারী-পুরুষকে স্বাক্ষরতা প্রদান করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২২ লাখ ৫০ হাজার নিরক্ষর নারীকে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী হিসেবে এ বছর মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের মাধ্যমে ২১ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে স্বাক্ষরতা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এরমধ্যে অর্ধেক নরী রয়েছে। এছাড়া বর্তমান সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাসমূহ বাস্তাবায়নের লক্ষ্যে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম উন্নয়ন কর্মসূচি নামে একটি বৃহৎ প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

বিএনপির সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের এক প্রশ্নের জবাবে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, সরকার ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কার্যক্রমে মাথাপিছু মাসিক ৭৫০ টাকা করে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার জনকে ১ হাজার ৩৯০ কোটি ৫০ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রমে ৪টি স্তরে উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ জন। এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এসব প্রতিবন্ধী ভাতা সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী প্রদান করা হয়।