ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করছে সরকার। একইসঙ্গে শিশুদের নিরাপত্তার ঘাটতিতে সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিধান রেখে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২০’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে নিবন্ধন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘নিবন্ধন পরিদফতর থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। তিন বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়া হবে। অন্যসব বিষয় বিধি দিয়ে বিস্তারিতভাবে বলে দেয়া হবে।’

নিবন্ধন না করে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সনদ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা গুণতে হবে। এছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা দিলে ৫০ হাজার টাকা এবং দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুর নিরাপত্তা ঘাটতি থাকলে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।’

শিশুদের পরিচর্যার জন্য বিশ্বস্ত সহায়ক সেবাযত্ন কেন্দ্রের অভাব পরিলক্ষিত হওয়ায় এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যেহেতু এখন যৌথ পরিবার প্রথাটা একটু কমে আসছে এবং নারীরা বেশি বেশি করে কাজে ইনভল্ব হয়ে যাচ্ছেন সেজন্য তাদের ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।’

সচিব জানান, খসড়া আইনে চার ধরনের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো- সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত; সরকার অথবা সরকারি কোন দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা অথবা কোন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে পরিচালিত; ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উদ্দেশে পরিচালিত ও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা করপোরেট সেক্টর বা শিল্প খাত কর্তৃক অলাভজনক উদ্দেশে পরিচালিত।

প্রতিটি কেন্দ্রে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আলাদা জায়গা রাখতে হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যও দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ অবকাঠামো সুবিধা রাখতে হবে। এছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, সুরক্ষা, বিনোদন, শিক্ষা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বা অনুরূপ বিষয়গুলোর নির্ধারিত মান বিধি দিয়ে নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে আইনের খসড়ায়।

আরও খবর
বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধ বিকাশের ক্ষেত্র
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিস্ময়
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হতে কাজ করতে হবে শিক্ষামন্ত্রী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন আইন অনুমোদন
বিএনপি আচরণবিধি লংঘন করেছে তথ্যমন্ত্রী
একে আজাদের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ
নোয়াখালীতে ৫ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট
পাবনায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়ি-ঘর ভাঙচুর আহত ১৫
উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি দুদক কমিশনার
জমে উঠেছে শিশু চলচ্চিত্র উৎসব
শরীয়ত বয়াতির মুক্তি দাবি উদীচীর সমাবেশ
কলাকেন্দ্রে শিল্পী হাবীবের একক চিত্র প্রদর্শনী
শিল্পকলায় থিয়েটারের ‘বারামখানা’ মঞ্চায়ন আজ

মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০ , ১৪ মাঘ ১৪২৬, ২ জমাদিউস সানি ১৪৪১

ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) স্থাপনে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করছে সরকার। একইসঙ্গে শিশুদের নিরাপত্তার ঘাটতিতে সর্বোচ্চ দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত বিধান রেখে ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন, ২০২০’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে নিবন্ধন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘নিবন্ধন পরিদফতর থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। তিন বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়া হবে। অন্যসব বিষয় বিধি দিয়ে বিস্তারিতভাবে বলে দেয়া হবে।’

নিবন্ধন না করে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সনদ প্রদর্শন না করা পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা গুণতে হবে। এছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে বাধা দিলে ৫০ হাজার টাকা এবং দিবাযত্ন কেন্দ্রে শিশুর নিরাপত্তা ঘাটতি থাকলে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।’

শিশুদের পরিচর্যার জন্য বিশ্বস্ত সহায়ক সেবাযত্ন কেন্দ্রের অভাব পরিলক্ষিত হওয়ায় এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যেহেতু এখন যৌথ পরিবার প্রথাটা একটু কমে আসছে এবং নারীরা বেশি বেশি করে কাজে ইনভল্ব হয়ে যাচ্ছেন সেজন্য তাদের ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।’

সচিব জানান, খসড়া আইনে চার ধরনের শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো- সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত; সরকার অথবা সরকারি কোন দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা অথবা কোন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে পরিচালিত; ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক উদ্দেশে পরিচালিত ও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা বা সংঘ বা সমিতি বা করপোরেট সেক্টর বা শিল্প খাত কর্তৃক অলাভজনক উদ্দেশে পরিচালিত।

প্রতিটি কেন্দ্রে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য আলাদা জায়গা রাখতে হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্যও দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ অবকাঠামো সুবিধা রাখতে হবে। এছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের সেবা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, সুরক্ষা, বিনোদন, শিক্ষা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বা অনুরূপ বিষয়গুলোর নির্ধারিত মান বিধি দিয়ে নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে আইনের খসড়ায়।