চলতি মাসে ৭৬ কিলোমিটার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রাক প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। বরিশাল জেলার আওতাভুক্ত মহাসড়কের ৭৬ কিলোমিটার অংশের অবৈধ উচ্ছেদের প্রস্তুতি শুরু হবে আজ। জেলা সীমানা ভূরঘাটা থেকে লেবুখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত মহাড়কের দুপাশের অবৈধ স্থাপনায় লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে এ কাজ শুরু করা হবে। আজ ভূরঘাটা প্রান্ত থেকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করা হবে। এ কাজ সম্পন্ন করে এ মাসের শেষ দিকে উচ্ছেদ চালানো হবে অভিযান। সওজের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পায়রা সমুদ্র পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রাক প্রস্ততি হিসেবে সড়কের দুপাশ দখলমুক্ত করা হবে। এরই অংশ হিসেবে বরিশাল জেলার আওতাভুক্ত ভুরঘাটা থেকে লেবুখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের সওজের অধিগ্রহণকৃত জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলতি ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শুরু হবে। আজ বুধবার ভূরঘাটা থেকে লাল রং দিয়ে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করনের কাজ শুরু করা হবে। সওজ সূত্রে জানা গেছে, লাল রং দিয়ে চিহ্নিতকরনের কাজ শেষ হলে দখলদারদের ৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় দেয়া হবে স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে নেবার জন্য। উচ্ছেদ করার তিনদিন আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করা হবে। তবে দখলদারদের কাগজে লিখিত কোন নোটিশ দেয়া হবে না। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে তিনি জানান।

এ প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, উচ্ছেদ অভিযান চালাতে জেলা প্রশাসকের কাছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। এছাড়া নিজস্ব জনবলও সংগ্রহ চলছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে বরিশাল মহানগরীর মধ্যে। মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য এই ১১ কিলোমিটারে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। তিনি বলেন, চার লেনের জন্য প্রয়োজনীয় ১২০ ফুট প্রশস্ত জমি এই এগার কিলোমিটারে রয়েছে। ফলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। তবে সওজের জমিতে থাকা দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কাশীপুর বাজার থেকে সিঅ্যান্ডবি রোড হয়ে আমতলার মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারে ৯৫৭টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে লাল রং দেবার কাজ আগেই সম্পন্ন হয়েছে। তারমধ্যে ৭ শতাধিক হচ্ছে আধাপাকা স্থাপনা। বহুতল ভবন পুরোপুরি না থাকলেও সিঅ্যান্ডবি রোডে কিছু কিছু ভবনের আংশিক সওজের জমিতে থাকায় সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।

বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২২ মাঘ ১৪২৬, ১০ জমাদিউল সানি ১৪৪১

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল অংশে

চলতি মাসে ৭৬ কিলোমিটার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রাক প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ)। বরিশাল জেলার আওতাভুক্ত মহাসড়কের ৭৬ কিলোমিটার অংশের অবৈধ উচ্ছেদের প্রস্তুতি শুরু হবে আজ। জেলা সীমানা ভূরঘাটা থেকে লেবুখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত মহাড়কের দুপাশের অবৈধ স্থাপনায় লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করার মধ্য দিয়ে এ কাজ শুরু করা হবে। আজ ভূরঘাটা প্রান্ত থেকে চিহ্নিত করার কাজ শুরু করা হবে। এ কাজ সম্পন্ন করে এ মাসের শেষ দিকে উচ্ছেদ চালানো হবে অভিযান। সওজের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পায়রা সমুদ্র পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রাক প্রস্ততি হিসেবে সড়কের দুপাশ দখলমুক্ত করা হবে। এরই অংশ হিসেবে বরিশাল জেলার আওতাভুক্ত ভুরঘাটা থেকে লেবুখালী ফেরীঘাট পর্যন্ত মহাসড়কের সওজের অধিগ্রহণকৃত জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলতি ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শুরু হবে। আজ বুধবার ভূরঘাটা থেকে লাল রং দিয়ে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করনের কাজ শুরু করা হবে। সওজ সূত্রে জানা গেছে, লাল রং দিয়ে চিহ্নিতকরনের কাজ শেষ হলে দখলদারদের ৭ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় দেয়া হবে স্বেচ্ছায় স্থাপনা সরিয়ে নেবার জন্য। উচ্ছেদ করার তিনদিন আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করা হবে। তবে দখলদারদের কাগজে লিখিত কোন নোটিশ দেয়া হবে না। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে তিনি জানান।

এ প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, উচ্ছেদ অভিযান চালাতে জেলা প্রশাসকের কাছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। এছাড়া নিজস্ব জনবলও সংগ্রহ চলছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যেই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ১১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে বরিশাল মহানগরীর মধ্যে। মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য এই ১১ কিলোমিটারে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। তিনি বলেন, চার লেনের জন্য প্রয়োজনীয় ১২০ ফুট প্রশস্ত জমি এই এগার কিলোমিটারে রয়েছে। ফলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে না। তবে সওজের জমিতে থাকা দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কাশীপুর বাজার থেকে সিঅ্যান্ডবি রোড হয়ে আমতলার মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারে ৯৫৭টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে লাল রং দেবার কাজ আগেই সম্পন্ন হয়েছে। তারমধ্যে ৭ শতাধিক হচ্ছে আধাপাকা স্থাপনা। বহুতল ভবন পুরোপুরি না থাকলেও সিঅ্যান্ডবি রোডে কিছু কিছু ভবনের আংশিক সওজের জমিতে থাকায় সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।