বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজিত সম্মিলিত এ বইমেলায় ১ লাখ ২০ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের মধ্যে ঢাকার ১১৮টি ও চট্টগ্রামের ৪০টি প্রকাশককে ২০৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বরে এ বইমেলায় সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, নাগরিক সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। এদিন বিকেল ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল মেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান, বইমেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা বর্তমানে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। আকাশ সংস্কৃতি ও মোবাইলের নেতিবাচক দিকের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। সময় অর্থ স্বাস্থ্য সবই শেষ করছে এর পেছনে। এতে তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বই-ই অন্যতম বন্ধু, যা তাদের মাদকের মরণ আসক্তি থেকে বের করে সৃজনশীল, সমৃদ্ধ আগামীর সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে মা-বাবা, শিক্ষক ও সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। বইমেলা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য। মেয়র জানান, রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রাম দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীই শুধু নয়, বাণিজ্যিক রাজধানীও। কিন্তু চট্টগ্রামের লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও নাগরিক সমাজের দীর্ঘকালের আকাক্সক্ষা ছিল ভাষার মাসে বইমেলা আয়োজন। দুই যুগ আগে থেকে নগরে নানা জন, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নানা পরিসরে বিভিন্ন স্থানে বইমেলা হয়ে আসছিল। কখনও একই বছরে একাধিক বইমেলা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর একটি সম্মিলিত করার উদ্যোগ নিই। এর ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সম্মিলিত বইমেলার আয়োজন করা হয়। যা আমাদের আশাবাদী ও দ্বিতীয় বৃহত্তর বইমেলা হিসেবে দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে।
বইমেলায় নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা, রবীন্দ্র, নজরুল, বসন্ত, কবিতা, ছড়া, তারুণ্য, আবৃত্তি, বিতর্ক ও শিশু উৎসব, আন্তর্জাতিক লেখক সম্মিলন ও পাঠক সমাবেশ, পেশাজীবী ও সাংবাদিক সমাবেশ, সাহিত্য আড্ডা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
মঞ্চে থাকবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান, লোক ও মরমি সংগীত, নাটক মঞ্চায়ন, জাদু প্রদর্শন ইত্যাদি। কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেয়া হবে একুশে স্মারক সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কার। থাকবে শ্রেষ্ঠ প্রকাশক ও লেখকদের জন্য সম্মাননা পুরস্কার।
সিসিটিভির আওতায় থাকবে পুরো বইমেলা প্রাঙ্গণ। এ ছাড়া ফ্রি ওয়াইফাইসহ সেলফি কর্নার থাকবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। ছুটির দিন বইমেলা শুরু হবে সকাল ১০টায়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম নিপু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রচার কমিটির আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ সাকি, সংগঠক লেখক সাখাওয়াত হোসেন মজনু, আবির প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী মুহম্মদ নুরুল আবসার, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল প্রমুখ।
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৬ মাঘ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো
বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজিত সম্মিলিত এ বইমেলায় ১ লাখ ২০ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের মধ্যে ঢাকার ১১৮টি ও চট্টগ্রামের ৪০টি প্রকাশককে ২০৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম চত্বরে এ বইমেলায় সহযোগিতা করছে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ, নাগরিক সমাজ, মুক্তিযোদ্ধা, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। এদিন বিকেল ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
গতকাল মেলা প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান, বইমেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা বর্তমানে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। আকাশ সংস্কৃতি ও মোবাইলের নেতিবাচক দিকের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। সময় অর্থ স্বাস্থ্য সবই শেষ করছে এর পেছনে। এতে তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বই-ই অন্যতম বন্ধু, যা তাদের মাদকের মরণ আসক্তি থেকে বের করে সৃজনশীল, সমৃদ্ধ আগামীর সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে মা-বাবা, শিক্ষক ও সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। বইমেলা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য। মেয়র জানান, রাজধানী ঢাকার পর চট্টগ্রাম দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীই শুধু নয়, বাণিজ্যিক রাজধানীও। কিন্তু চট্টগ্রামের লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও নাগরিক সমাজের দীর্ঘকালের আকাক্সক্ষা ছিল ভাষার মাসে বইমেলা আয়োজন। দুই যুগ আগে থেকে নগরে নানা জন, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নানা পরিসরে বিভিন্ন স্থানে বইমেলা হয়ে আসছিল। কখনও একই বছরে একাধিক বইমেলা হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর একটি সম্মিলিত করার উদ্যোগ নিই। এর ফলশ্রুতিতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সম্মিলিত বইমেলার আয়োজন করা হয়। যা আমাদের আশাবাদী ও দ্বিতীয় বৃহত্তর বইমেলা হিসেবে দেশজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে।
বইমেলায় নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা, রবীন্দ্র, নজরুল, বসন্ত, কবিতা, ছড়া, তারুণ্য, আবৃত্তি, বিতর্ক ও শিশু উৎসব, আন্তর্জাতিক লেখক সম্মিলন ও পাঠক সমাবেশ, পেশাজীবী ও সাংবাদিক সমাবেশ, সাহিত্য আড্ডা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
মঞ্চে থাকবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান, লোক ও মরমি সংগীত, নাটক মঞ্চায়ন, জাদু প্রদর্শন ইত্যাদি। কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেয়া হবে একুশে স্মারক সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কার। থাকবে শ্রেষ্ঠ প্রকাশক ও লেখকদের জন্য সম্মাননা পুরস্কার।
সিসিটিভির আওতায় থাকবে পুরো বইমেলা প্রাঙ্গণ। এ ছাড়া ফ্রি ওয়াইফাইসহ সেলফি কর্নার থাকবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে। ছুটির দিন বইমেলা শুরু হবে সকাল ১০টায়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম নিপু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রচার কমিটির আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ সাকি, সংগঠক লেখক সাখাওয়াত হোসেন মজনু, আবির প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী মুহম্মদ নুরুল আবসার, দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুল প্রমুখ।