জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, কৃষকরাই এখন সবচেয়ে বেশি অবহেলিত এবং বঞ্চিত। সরকার কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকি দিলেও প্রকৃত কৃষকরা তা পায়না। তাই অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কৃষকদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় কৃষক পার্টির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নবগঠিত নির্বাহী কমিটির পরিচিতি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। কৃষক পার্টির সভাপতি সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, উপদেষ্টা-জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান- আরিফুর রহমান খান, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জিএম কাদের বলেন, মৌসুমে কৃষি শ্রমিকদের মজুরির চেয়ে ধানের দাম কমে যায়। তখন কৃষকরা ধান কাটতে বিপাকে পড়েন। সরকারি ভর্তুকি পেতে চাইলে রাজনৈতি নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয় কৃষক সমাজ। তাই অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কৃষকদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। কৃষি ঋণ মওকুফ, পল্লী রেশনিং, ন্যায্য মূল্যে কৃষি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা, পল্লী বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা এবং পল্লী অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করে অসাধারণ কৃতিত্ব গড়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কৃষকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, কৃষকদের স্বার্থে কাজ করলেই জাতীয় পার্টি উপকৃত হবে। এতে স্থানীয় পর্যায়ে সম্মানিত হবেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। স্বাধীনতার পরে কৃষি জমি কমেছে কিন্তু কৃষি উৎপাদন বেড়েছে তিন গুণ। তাই কৃষকদের স্বার্থই দেশের স্বার্থ।
রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ২৬ মাঘ ১৪২৬, ১৪ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, কৃষকরাই এখন সবচেয়ে বেশি অবহেলিত এবং বঞ্চিত। সরকার কৃষিক্ষেত্রে ভর্তুকি দিলেও প্রকৃত কৃষকরা তা পায়না। তাই অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কৃষকদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় কৃষক পার্টির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নবগঠিত নির্বাহী কমিটির পরিচিতি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। কৃষক পার্টির সভাপতি সাহিদুর রহমান টেপার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, জহিরুল ইসলাম জহির, উপদেষ্টা-জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান- আরিফুর রহমান খান, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জিএম কাদের বলেন, মৌসুমে কৃষি শ্রমিকদের মজুরির চেয়ে ধানের দাম কমে যায়। তখন কৃষকরা ধান কাটতে বিপাকে পড়েন। সরকারি ভর্তুকি পেতে চাইলে রাজনৈতি নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয় কৃষক সমাজ। তাই অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কৃষকদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। কৃষি ঋণ মওকুফ, পল্লী রেশনিং, ন্যায্য মূল্যে কৃষি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা, পল্লী বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা এবং পল্লী অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করে অসাধারণ কৃতিত্ব গড়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কৃষকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণ করেছিলেন।
তিনি বলেন, কৃষকদের স্বার্থে কাজ করলেই জাতীয় পার্টি উপকৃত হবে। এতে স্থানীয় পর্যায়ে সম্মানিত হবেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। স্বাধীনতার পরে কৃষি জমি কমেছে কিন্তু কৃষি উৎপাদন বেড়েছে তিন গুণ। তাই কৃষকদের স্বার্থই দেশের স্বার্থ।