আ-মরি বাংলা ভাষা

আর মাত্র তিন দিন পরই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। নতুন প্রজন্মের কাছে রক্তঝরা একুশের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরতে প্রতিবছরই ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই থাকে নানা আয়োজন। একুশের বইমেলা সেই আয়োজনে এনেছে নতুন মাত্রা। ভাষার মাসের সঙ্গে একুশের বইমেলা এখন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

বাহান্নতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি শুধুমাত্র মানুষের মুখে মুখে সীমাবদ্ধ ছিল না। ক্রমান্বয়ে পূর্ব বাংলার সব শহরে ভাষার দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তখনকার সময়ে বেশিরভাগ পত্রিকাতেই ভাষা আন্দোলনের খবর খুঁজে পাওয়া যেত না। পাকিস্তানি শাসকদের প্রচ- চাপের কারণে পত্রিকাগুলো আন্দোলনের খবর দায় সারাভাবে প্রকাশ করত। তবে কিছু কিছু খবরের কাগজ সেসব বাঁধা উপেক্ষা করে ভাষা আন্দোলনের খবরগুলো বেশ ভালোভাবেই প্রচার করত। তৎকালীন মুসলিমলীগ সভাপতি মাওলানা আকরাম খাঁর মালিকানাধীন দৈনিক আজাদ একুশে ফেব্রুয়ারি গুলিবর্ষণের খবর সেদিনই সন্ধ্যায় বিশেষ জরুরি সংখ্যা বা টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্রকাশ করে। প্রায় সপ্তাহব্যাপী দৈনিক আজাদের ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত খবরের পরিবেশনা ছিল বেশ অনবদ্য।

ভাষা আন্দোলনের আরও জোরালো সমর্থক ছিল মোহাম্মদ মোদাব্বেরের সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক মিল্লাত। একুশের গুলিবর্ষণের খবর পত্রিকাটি ব্যানার হেডিং করেছিল। একই দিন মিল্লাতের আরেকটি রিপোর্টের শিরোনাম ছিল রাতের আঁধারে এত লাশ যায় কোথায়? এভাবে পাক শাসকদের সব বাঁধা অতিক্রম করে পূর্ব বাংলার সাংবাদিক, সংবাদপত্র ও আমজনতার আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালির ভাষা আন্দোলন সফল হয়।

image
আরও খবর
স্বচ্ছতা বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকা ব্যক্তিরা মনোনয়ন পেলেন
প্রার্থীর নাম প্রকাশে চমক
বগুড়া-১, যশোর-৬ ভোট ২৯ মার্চ
সব নদী দূষণমুক্ত করতে তৃতীয় মাস্টারপ্ল্যান
শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্যাকেজে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট-গাইড
আইসিইউ যন্ত্রপাতি দীর্ঘদিন ফেলে রাখার অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত কমিটি
পরিবেশবান্ধব গ্যাস সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ
কাজের গতি বাড়াতে মন্ত্রিসভায় রদবদল কাদের
প্লাস্টিক কারখানা স্থানান্তরের সময় বাড়ল
গুরুতর অসুস্থ চীনা নাগরিক রংপুর মেডিকেলে ভর্তি
আইসোলেশন করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে
ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
ক্ষণগণনা : আর ২৮ দিন

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৪ ফল্গুন ১৪২৬, ২২ জমাদিউল সানি ১৪৪১

আ-মরি বাংলা ভাষা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

আর মাত্র তিন দিন পরই অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। নতুন প্রজন্মের কাছে রক্তঝরা একুশের ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরতে প্রতিবছরই ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই থাকে নানা আয়োজন। একুশের বইমেলা সেই আয়োজনে এনেছে নতুন মাত্রা। ভাষার মাসের সঙ্গে একুশের বইমেলা এখন অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।

বাহান্নতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি শুধুমাত্র মানুষের মুখে মুখে সীমাবদ্ধ ছিল না। ক্রমান্বয়ে পূর্ব বাংলার সব শহরে ভাষার দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তখনকার সময়ে বেশিরভাগ পত্রিকাতেই ভাষা আন্দোলনের খবর খুঁজে পাওয়া যেত না। পাকিস্তানি শাসকদের প্রচ- চাপের কারণে পত্রিকাগুলো আন্দোলনের খবর দায় সারাভাবে প্রকাশ করত। তবে কিছু কিছু খবরের কাগজ সেসব বাঁধা উপেক্ষা করে ভাষা আন্দোলনের খবরগুলো বেশ ভালোভাবেই প্রচার করত। তৎকালীন মুসলিমলীগ সভাপতি মাওলানা আকরাম খাঁর মালিকানাধীন দৈনিক আজাদ একুশে ফেব্রুয়ারি গুলিবর্ষণের খবর সেদিনই সন্ধ্যায় বিশেষ জরুরি সংখ্যা বা টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্রকাশ করে। প্রায় সপ্তাহব্যাপী দৈনিক আজাদের ভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত খবরের পরিবেশনা ছিল বেশ অনবদ্য।

ভাষা আন্দোলনের আরও জোরালো সমর্থক ছিল মোহাম্মদ মোদাব্বেরের সম্পাদনায় প্রকাশিত দৈনিক মিল্লাত। একুশের গুলিবর্ষণের খবর পত্রিকাটি ব্যানার হেডিং করেছিল। একই দিন মিল্লাতের আরেকটি রিপোর্টের শিরোনাম ছিল রাতের আঁধারে এত লাশ যায় কোথায়? এভাবে পাক শাসকদের সব বাঁধা অতিক্রম করে পূর্ব বাংলার সাংবাদিক, সংবাদপত্র ও আমজনতার আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালির ভাষা আন্দোলন সফল হয়।