রাজধানীবাসীকে এবার যাতে অ্যাডিস মশার উপদ্রব সহ্য করতে না হয় সেজন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সব সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সব প্রতিষ্ঠান এই ভেক্টর (ডেঙ্গুর বাহক মশা) ম্যানেজমেন্টে কাজ করছি। গত বছরের যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা আরও বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে কীটনাশক ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে উপকারী অন্য পোকামাকড় যাতে না মরে সেদিকে খেয়াল রাখার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে একসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নেজবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে ১০ মিলিয়ন পোকামাকড় আছে, যার মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এমন ওষুধ স্প্রে করা যাবে না যাতে ক্ষতিকর পতঙ্গ দমন করতে গিয়ে উপকারী পোকামাকড়ও মরে যায়। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। পৃথিবী থেকে মশা এখনও নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এবার যাতে রাজধানীবাসীকে মশার উপদ্রব সহ্য করতে না হয় সেজন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পৃথিবীর সব জায়গাতেই মশা আছে, বাংলাদেশেও মশা আছে। তবে আমার তো মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, আর সারাক্ষণই ফলোআপ করছি, এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য এবং এজন্য কাজ করা হচ্ছে। আমরা মনে হয় আমরা আতঙ্কিত না হয়ে সারা পৃথিবীতে বহু সমস্যা আছে। যেমন চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, তবে তারা হাল ছেড়ে দেয়নি, চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবিলা করছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি আমাদের মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্মকর্তারা সবাই আন্তরিকতার সহিত ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এখনও তো মশার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু এর মধ্যে আমরা ৫/৬টা মিটিং করে ফেলেছি এবং উই আর ওয়ার্কিং। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা সবার সঙ্গে রেগুলার কোঅর্ডিনেশন ও কো-অপারেশন আছে। দেশে মশার ওষুধের মজুদ রয়েছে এবং কিছু ওষুধ দেশে তৈরি হয়। আজ যে ওষুধে যে মশা মরছে আগামী বছর ওই ওষুধে সেটা মারা নাও যেতে পারে। সেজন্য বহু জায়গায় এ নিয়ে রিসার্চ হয়। এসব বিষয় নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। সরকারি হিসেবে পুরো বছরে এইডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইইডিসিআর ২৬৩টি মৃত্যুর তথ্য পাওয়ার পর তার মধ্যে ১৬৪ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুর কারণে হয়েছে বলে নিশ্চিত করে।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৪ ফল্গুন ১৪২৬, ২২ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীবাসীকে এবার যাতে অ্যাডিস মশার উপদ্রব সহ্য করতে না হয় সেজন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা সব সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন সব প্রতিষ্ঠান এই ভেক্টর (ডেঙ্গুর বাহক মশা) ম্যানেজমেন্টে কাজ করছি। গত বছরের যে অভিজ্ঞতা আছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা আরও বেশি পদক্ষেপ নিচ্ছি। তবে কীটনাশক ব্যবহার করে মশা মারতে গিয়ে উপকারী অন্য পোকামাকড় যাতে না মরে সেদিকে খেয়াল রাখার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন মন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে একসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নেজবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে ১০ মিলিয়ন পোকামাকড় আছে, যার মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এমন ওষুধ স্প্রে করা যাবে না যাতে ক্ষতিকর পতঙ্গ দমন করতে গিয়ে উপকারী পোকামাকড়ও মরে যায়। তাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। পৃথিবী থেকে মশা এখনও নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এবার যাতে রাজধানীবাসীকে মশার উপদ্রব সহ্য করতে না হয় সেজন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পৃথিবীর সব জায়গাতেই মশা আছে, বাংলাদেশেও মশা আছে। তবে আমার তো মনে হয় আমরা সবাই এটার জন্য কাজ করছি, আর সারাক্ষণই ফলোআপ করছি, এটার স্ট্যাটাস জানার জন্য এবং এজন্য কাজ করা হচ্ছে। আমরা মনে হয় আমরা আতঙ্কিত না হয়ে সারা পৃথিবীতে বহু সমস্যা আছে। যেমন চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, তবে তারা হাল ছেড়ে দেয়নি, চ্যালেঞ্জটাকে মোকাবিলা করছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমি মনে করি আমাদের মন্ত্রণালয় এবং সরকারি কর্মকর্তারা সবাই আন্তরিকতার সহিত ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এখনও তো মশার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি, বৃষ্টিও হয়নি। কিন্তু এর মধ্যে আমরা ৫/৬টা মিটিং করে ফেলেছি এবং উই আর ওয়ার্কিং। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা সবার সঙ্গে রেগুলার কোঅর্ডিনেশন ও কো-অপারেশন আছে। দেশে মশার ওষুধের মজুদ রয়েছে এবং কিছু ওষুধ দেশে তৈরি হয়। আজ যে ওষুধে যে মশা মরছে আগামী বছর ওই ওষুধে সেটা মারা নাও যেতে পারে। সেজন্য বহু জায়গায় এ নিয়ে রিসার্চ হয়। এসব বিষয় নিয়েই কাজ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করে। সরকারি হিসেবে পুরো বছরে এইডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হন ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইইডিসিআর ২৬৩টি মৃত্যুর তথ্য পাওয়ার পর তার মধ্যে ১৬৪ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুর কারণে হয়েছে বলে নিশ্চিত করে।