আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে। প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি প্রফেশনালি করতে গেলে, আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। প্যারোলে মুক্তির দরখাস্ত এবং সব নিয়মকানুন মানার পরেই সরকার এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারে।
গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলোর জন্য প্রণীত আইনবিষয়ক ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক অলাভজনক আইনকেন্দ্র (আইসিএনএল) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, বাংলাদেশে ডিএফআইডি’র সিনিয়র গভর্ন্যান্স অ্যাডভাইজার ও গভর্ন্যান্স টিম লিডার এসলিন বেকার, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আবদুস সালাম ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আরমা দত্ত বক্তব্য রাখেন।
আনিসুল হক বলেন, সুশীল সমাজ প্রত্যেকটি মানুষের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সুশীল সমাজ আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে নাগরিক মনোভাব গঠন এবং তা টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও রয়েছে এ সমাজের।
তিনি বলেন, অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সুশীল সমাজ নাগরিকদের উদ্বেগ, অগ্রাধিকার এবং সুযোগ-সুবিধার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটাই স্বাভাবিক। সরকার এটিকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু কখনও কখনও আমরা লক্ষ্য করি, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অনেকে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের কিংবা আন্তর্জাতিক সংগঠনের সহযোগী হিসেবে রাজনৈতিক মঞ্চে এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের বিপরীতে অবতীর্ণ হয়। যা আমাদের সুশীল সমাজের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে পীড়া দেয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, এসব দুর্বলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সুশীল সমাজ জনগণের অধিকার সংরক্ষণ এবং কল্যাণ নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এটিই আমাদের সবার কাম্য। দেশ আমাদের। দেশের উন্নয়ন নিয়ে আমরা সবাই ভাবব, কথা বলব, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব- এমন কর্মকাণ্ডই হোক আমাদের আগামী দিনের পথ ও পাথেয়।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৪ ফল্গুন ১৪২৬, ২২ জমাদিউল সানি ১৪৪১
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে। প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি প্রফেশনালি করতে গেলে, আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। প্যারোলে মুক্তির দরখাস্ত এবং সব নিয়মকানুন মানার পরেই সরকার এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে পারে।
গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলোর জন্য প্রণীত আইনবিষয়ক ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক অলাভজনক আইনকেন্দ্র (আইসিএনএল) আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, বাংলাদেশে ডিএফআইডি’র সিনিয়র গভর্ন্যান্স অ্যাডভাইজার ও গভর্ন্যান্স টিম লিডার এসলিন বেকার, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আবদুস সালাম ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য আরমা দত্ত বক্তব্য রাখেন।
আনিসুল হক বলেন, সুশীল সমাজ প্রত্যেকটি মানুষের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সুশীল সমাজ আইন ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় হয়ে থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে নাগরিক মনোভাব গঠন এবং তা টিকিয়ে রাখার দায়িত্বও রয়েছে এ সমাজের।
তিনি বলেন, অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সুশীল সমাজ নাগরিকদের উদ্বেগ, অগ্রাধিকার এবং সুযোগ-সুবিধার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটাই স্বাভাবিক। সরকার এটিকে স্বাগত জানাবে। কিন্তু কখনও কখনও আমরা লক্ষ্য করি, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের অনেকে কোন না কোন রাজনৈতিক দলের কিংবা আন্তর্জাতিক সংগঠনের সহযোগী হিসেবে রাজনৈতিক মঞ্চে এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডের বিপরীতে অবতীর্ণ হয়। যা আমাদের সুশীল সমাজের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে পীড়া দেয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, এসব দুর্বলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সুশীল সমাজ জনগণের অধিকার সংরক্ষণ এবং কল্যাণ নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এটিই আমাদের সবার কাম্য। দেশ আমাদের। দেশের উন্নয়ন নিয়ে আমরা সবাই ভাবব, কথা বলব, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব- এমন কর্মকাণ্ডই হোক আমাদের আগামী দিনের পথ ও পাথেয়।