ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। গতকাল মধ্য রাত থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ৮ ঘণ্টা তীব্র ঘন কুয়াশায় টানা বন্ধ থাকার পর আবারও এ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ার উভয় ঘাটে আটকা পড়ে সহস্রাধিক যানবাহন। দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত অন্তত ৪ কিমি জুড়ে শত শত যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। পাটুরিয়া প্রান্তেও একইভাবে যানবাহন আটকে থাকার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন স্বাভাবিক থাকার পর শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পদ্মা-যমুনা নদীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট এলাকায় হঠাৎ করে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। এতে দৃষ্টিসীমা শূন্যে নেমে এসে নৌযান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় ফেরি কর্তৃপক্ষ। এতে করে শত শত দূরপাল্লার নৈশ কোচসহ নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়ে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আবদুল্লাহ রনি জানান, কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর পুনরায় চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে নদী পার করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করলে নদীপারের অপেক্ষায় আটকে থাকা যানবাহনগুলোকে রাতের মধ্যেই পার করা যাবে বলে আশা করা যায়। বর্তমানে এ রুটে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। শাহ আলী নামের একটি রোরো ফেরিকে সংস্কারের জন্য ৩ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৪ ফল্গুন ১৪২৬, ২২ জমাদিউল সানি ১৪৪১
প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। গতকাল মধ্য রাত থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দীর্ঘ সাড়ে ৮ ঘণ্টা তীব্র ঘন কুয়াশায় টানা বন্ধ থাকার পর আবারও এ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়।
দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ার উভয় ঘাটে আটকা পড়ে সহস্রাধিক যানবাহন। দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত অন্তত ৪ কিমি জুড়ে শত শত যানবাহন আটকে থাকতে দেখা যায়। পাটুরিয়া প্রান্তেও একইভাবে যানবাহন আটকে থাকার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন স্বাভাবিক থাকার পর শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পদ্মা-যমুনা নদীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট এলাকায় হঠাৎ করে কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়। এতে দৃষ্টিসীমা শূন্যে নেমে এসে নৌযান চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নৌদুর্ঘটনা এড়াতে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় ফেরি কর্তৃপক্ষ। এতে করে শত শত দূরপাল্লার নৈশ কোচসহ নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়ে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. আবু আবদুল্লাহ রনি জানান, কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর পুনরায় চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে নদী পার করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করলে নদীপারের অপেক্ষায় আটকে থাকা যানবাহনগুলোকে রাতের মধ্যেই পার করা যাবে বলে আশা করা যায়। বর্তমানে এ রুটে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। শাহ আলী নামের একটি রোরো ফেরিকে সংস্কারের জন্য ৩ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।