শিখরে ওঠা এক নায়কের নিঃসঙ্গ প্রয়াণ

শৈশব থেকেই অভিনয় করার ই্চ্ছা পুষেছিলেন তাপস পাল। তার স্বপ্ন পূরণ করেন তরুণ মজুমদার। ১৯৮০ সালে ‘দাদার কীর্তি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে এই অভিনেতার। মাত্র ২২ বছর বয়সেই রুপালী পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পান তিনি। প্রথম সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে অভিনেত্রী ম-য়া রায় চৌধুরী, সন্ধ্যা রায়, দেবশ্রী রায়, অভিনেতা অনুপ কুমারকে পান তাপস। পরবর্তীতে দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। এক সময়ে তাদের জুটির সিনেমা মানেই ছিল, বক্স অফিসে বড় সাফল্য। অভিনেতা তাপস পালসহজ ও সাবলীল চরিত্রে অভিনয় করে তাপস নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উ”চতায়। ‘দাদার কীর্তি’ সিনেমার পর ‘সাহেব’-এও সাফল্য পান তিনি। পরিবারের নানা ধরনের টানাপড়েনের গল্পের সিনেমায় অনবদ্য ছিলেন এই নায়ক। রোমান্টিক সিনেমাতে তিনি তথাকথিত ধারা ভেঙেছেন।

১৯৮৫ সালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ সিনেমাতে আবারও দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তাপস পাল। রোমান্টিক গল্পের সিনেমাটি ব্যাপক সাফল্য পায়। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকে হয়নি। এ জুটি একে একে ‘অর্পণ’, ‘সুরের সাথী’, ‘সুরের আকাশে’, ‘নয়নমণি’, ‘চোখের আলোয়’, ‘তবু মনে রেখো’র মতো দর্শক নন্দিত সিনেমা উপহার দেন। দেবশ্রীর পর শতাব্দীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন তাপস। একসঙ্গে উপহার দেন ‘গুরুদক্ষিণা’র মতো কালজয়ী সিনেমা। এরপর একে একে ইন্দ্রাণী হালদার থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের হিন্দি সিনেমায় অভিষেক ঘটে তাপসের বিপরীতে। ১৯৮৪ সালে হীরেন নাগের ‘অবোধ’ সিনেমায় তারা জুটি বেঁধে অভিনয় করেন। রাখী গুলজারের সঙ্গেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাপসকে। সহশিল্পীদের সঙ্গে অভিনেতা তাপস পাল ২০১২ সালে দেবাদিত্যের ‘আটটা আটের বনগাঁ লোকাল’র মধ্য দিয়ে সর্বশেষ তাপস পালকে বড় পর্দায় দেখা যায়। তবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চল”িচত্র ‘২ টাকা’-এ সর্বশেষ অভিনয় করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ , ৭ ফল্গুন ১৪২৬, ২৫ জমাদিউল সানি ১৪৪১

শিখরে ওঠা এক নায়কের নিঃসঙ্গ প্রয়াণ

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

শৈশব থেকেই অভিনয় করার ই্চ্ছা পুষেছিলেন তাপস পাল। তার স্বপ্ন পূরণ করেন তরুণ মজুমদার। ১৯৮০ সালে ‘দাদার কীর্তি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে এই অভিনেতার। মাত্র ২২ বছর বয়সেই রুপালী পর্দায় নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পান তিনি। প্রথম সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে অভিনেত্রী ম-য়া রায় চৌধুরী, সন্ধ্যা রায়, দেবশ্রী রায়, অভিনেতা অনুপ কুমারকে পান তাপস। পরবর্তীতে দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে বহু সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। এক সময়ে তাদের জুটির সিনেমা মানেই ছিল, বক্স অফিসে বড় সাফল্য। অভিনেতা তাপস পালসহজ ও সাবলীল চরিত্রে অভিনয় করে তাপস নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন অনন্য উ”চতায়। ‘দাদার কীর্তি’ সিনেমার পর ‘সাহেব’-এও সাফল্য পান তিনি। পরিবারের নানা ধরনের টানাপড়েনের গল্পের সিনেমায় অনবদ্য ছিলেন এই নায়ক। রোমান্টিক সিনেমাতে তিনি তথাকথিত ধারা ভেঙেছেন।

১৯৮৫ সালে তরুণ মজুমদার পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ সিনেমাতে আবারও দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তাপস পাল। রোমান্টিক গল্পের সিনেমাটি ব্যাপক সাফল্য পায়। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকে হয়নি। এ জুটি একে একে ‘অর্পণ’, ‘সুরের সাথী’, ‘সুরের আকাশে’, ‘নয়নমণি’, ‘চোখের আলোয়’, ‘তবু মনে রেখো’র মতো দর্শক নন্দিত সিনেমা উপহার দেন। দেবশ্রীর পর শতাব্দীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন তাপস। একসঙ্গে উপহার দেন ‘গুরুদক্ষিণা’র মতো কালজয়ী সিনেমা। এরপর একে একে ইন্দ্রাণী হালদার থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের হিন্দি সিনেমায় অভিষেক ঘটে তাপসের বিপরীতে। ১৯৮৪ সালে হীরেন নাগের ‘অবোধ’ সিনেমায় তারা জুটি বেঁধে অভিনয় করেন। রাখী গুলজারের সঙ্গেও অভিনয় করতে দেখা গেছে তাপসকে। সহশিল্পীদের সঙ্গে অভিনেতা তাপস পাল ২০১২ সালে দেবাদিত্যের ‘আটটা আটের বনগাঁ লোকাল’র মধ্য দিয়ে সর্বশেষ তাপস পালকে বড় পর্দায় দেখা যায়। তবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চল”িচত্র ‘২ টাকা’-এ সর্বশেষ অভিনয় করেন তিনি।