গত শনিবার টঙ্গীর মিলগেইট এলাকায় বৈদ্যুতিক ট্রাসফরমার বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে অর্ধশতাধিক তুলার গুদাম আগুনে পুড়ে গেছে। তবে আগুনের ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের তুলার গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টঙ্গী, উত্তরা ও পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তুসুকা ফ্যাশন গার্মেন্টের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুটিতে আগুন লাগে। কিছুক্ষণ পরই তুলার গুদামপট্টির ভেতরের আরেকটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা বৈদ্যুতিক তারের মাধ্যমে দ্রুত তুলার গুদামগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে ডেসকোর পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণেই বৈদ্যুতিক খুটি ও ট্রান্সফরমারে আগুন লাগে। এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এ বি এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. বাশার মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে ব্যবসা চালাচ্ছি। আগুনে মেশিনপত্র, রক্ষিত তুলা ও গোডাউনের আসবাবপত্রসহ আমার প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি আমি কিভাবে পূরণ করব তা বুঝে উঠতে পারছি না। প্রতিবছর এই সময়ে তুলার গুদামে দুই, তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলেও জানান বাশার মিয়া। ফায়ার সার্ভিসের জোন কমান্ডার (টঙ্গী-উত্তরা) মো. মানিকুজ্জামান জানান, ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। আগুন যেন তুলার গুদাম থেকে বস্তিতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য বিশেষভাবে তৎপর ছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে ক্ষয়ক্ষয়তির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ তদন্তের পরই জানা যাবে।