করোনায় সোয়া এক ঘণ্টার অধিবেশন

পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে সরকার। বর্তমানে ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেয়া হচ্ছে। আরও ৫০ লাখ লোককে রেশন কার্ড দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এক কোটি লোক খাদ্য সহায়তা পাবেন। আর এই এক কোটি লোকের পরিবারের সদস্য সংখ্যা যদি পাঁচজন হয়, তাহলে পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবেন। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সপ্তম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। দেশে করোনা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হওয়ায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ডাকা এ অধিবেশন এক কার্যদিবসেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে দোয়া : দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। বিশ্ববাসী যেন এই ভাইরাস থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। আল্লাহর শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর প্রায় ২০৯টি দেশ আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিয়ত মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন থেকেই আমরা সতর্ক ছিলাম। যখনি আমাদের দেশে দেখা দেয় তখননি আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, কতদিন এই অবস্থা থাকবে তা কেউ বলতে পারছে না। সারাবিশ্বে কত শক্তিশালী দেশ, কত অস্ত্র কোন কিছুই কাজে লাগলো না। একটা ভাইরাস চোখে দেখা যায় না। তার কারণে আজ সারাবিশ্ব স্থবির, সারাবিশ্বের মানুষ আজ ঘরে বন্দী। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

সবরকমের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে : করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি। কিন্তু স্বাস্থ্যে যে এমন ঝড় বয়ে যাবে তা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। আগে আমাদের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। আমরা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করেছি। সবরকম ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা হচ্ছে। প্রত্যেকটি বন্দরে টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মানুষকে সচেতন করা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যে যেন কোন অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।

মেসেজ পাই; আপা আমার ঘরে খাবার নাই : করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কেউ যেন খাবারে কষ্ট না পায় সেজন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেক সময় আমি নিজেও এসএমএস পাই, এসএমএস করে- ‘আপা আমার ঘরে খাবার নাই’। সঙ্গে সঙ্গে আমরা উদ্যোগ নিই। শুধু তার (ওই মেসেজদাতা) নয়, আশপাশে কোথাও কারা এভাবে কষ্টে আছে, যারা হাত পাততে পারবে না, কিন্তু তাদের ঘরে খাবার নেই, চাইতে পারছে না- তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার সেই ব্যবস্থাটাও কিন্তু আমরা নিয়েছি এবং নিচ্ছি।

নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রণোদনা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামী তিন বছর অর্থনৈতিকভাবে দেশের মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি। এই সংকট যেন কাটিয়ে উঠতে পারি সেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছ। অর্থনৈতিকভাবে যে নেতিবাচক দিকগুলো সামনে আসতে পারে সেটা যেন আমরা মোকাবিলা করতে পারি, মানুষের কর্মসংস্থান, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়া, মানুষের জীবনটা যেন চলতে পারে এজন্য সর্বস্তরের যেমন- শিল্প, কৃষি, একেবারে খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক, কৃষক, তাঁতী, ব্যবসায়ী- সবার কথা বিবেচনা করে আমরা এই প্যাকেজ তৈরি করেছি।

৯৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা : তিনি বলেন, আমরা যে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি, তা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আমি আজকে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমাদের ৩৩৩ যে হটলাইন আছে সেটিতে সংযোগ রেখে এই ধরনের পরিস্থিতিতে যারা পড়বে তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে। সেটা ইনশাল্লাহ আমরা করব।

খাদ্যের অভাব হবে না : প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে আমাদের খাদ্যের অভাব নেই এবং হবে না। সেই সঙ্গে কৃষি কাজ যেন অব্যাহত থাকে এজন্য ৫ শতাংশ সুদের কথা বলেছিলাম ওটা এখন কমিয়ে ৪ শতাংশ করেছি। তাছাড়া দুই কোটি কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের ভর্তুকি পাবেন। এছাড়া কৃষি শ্রমিকরা কোথাও কাজ করতে যেতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া আছে, তারা যেন ধান কাটার শ্রমিকদের পৌঁছে দেন।

করোনার চিকিৎসা ব্যয় সরকারের : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসার সব খরচ সরকারিভাবে বহন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু থেকে সব চিকিৎসা খরচ সরকারিভাবে আমরা করে যাচ্ছি। এখানে পরীক্ষা করা থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত কোন টাকা-পয়সা নেয়া হয় না। সব ধরনের খরচ সরকার বহন করছে। করোনার নমুনা সংগ্রহে কিটের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৯২ হাজার পরীক্ষার কীট সংগ্রহ করেছি। এরমধ্যে ২০ হাজার বিতরণ করা হয়েছে এবং ৭২ হাজারের মতো মজুত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, এখনও বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানে আমরা ভালো আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বার বার ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আসলে মানুষ কেন যেন বেশি সাহসী হয়ে গেছে। অনেকে মানতেই চায় না। আমি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার যে নির্দেশনা, সবাই দয়া করে সেটা মেনে চলবেন। তাহলে কেউ করোনা ঝুঁকিতে পড়বেন না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব নির্দেশনা মেনে চলবেন। তিনি বলেন, যেখানে কাবা শরিফে কারফিউ দেয়া হয়েছে, সেখানে বলব, মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকুন। আমরা এবং বিশ্ববাসী সবাই যেন এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়ে সবাই যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। ভাষণের শেষে তিনি সংসদ অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী এবং অধিবেশন আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষায় ব্যতিক্রমী এ অধিবেশন শুরু হয় বাছাইকৃত সংসদ সদস্যদের (এমপি) নিয়ে। সম্ভব সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এতে অংশ নেন এমপিরা। এ সময় তাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস দেখা যায়। এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার সংসদ বসার বাধ্যবাধকতা সংবিধানে রয়েছে। সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন আহ্বানের বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে করোনা দুর্যোগের কারণে এক দিনেই অধিবেশন সমাপ্ত করা হলো।

করোনায় সোয়া এক ঘণ্টায় সমাপ্ত সংসদ অধিবেশন

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ডাকা একাদশ জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশন গতকাল বিকেলে শুরু হয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার বাংলাদেশেও বেড়ে যাওয়ায় এ অধিবেশন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত (এক কার্যদিবস) করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার এই অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতে ৫ সদস্যের সভাপতিম-লীর মনোনয়ন দেন। সভাপতিম-লীর সদস্যরা হলেন আ স ম ফিরোজ, আবুল কালাম আজাদ, এবি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশিদ ও মেহের আফরোজ। এরপর স্পিকার শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করে সমাপনী ভাষণ দেন। এর আগে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, শাহজান খান ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা।

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর আগে তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শোকপ্রস্তাব সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এরপর স্পিকার ড. শিরীনের শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীদের এবং সুন্দরভাবে আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা পালনে দেশবাসীকে আহ্বান জানান। সব শেষে একাদশ সংসদের সপ্তম অধিবেশনের সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে স্পিকার অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সংসদে শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত : বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সবদেশে ব্যাপক প্রাণহানি ও পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে গতকাল সংসদে সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেইসঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।

শোক প্রস্তাবে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা, ভাষাসৈনিক শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। সংসদে এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রহমত আলী, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ শহীদুল হক জামাল এবং সাবেক সংসদ সদস্য মো. ওয়াজি উদ্দিন খান, সাবেক সংসদ সদস্য, সেকেন্দার আলী, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জব্বার, সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উদ্দিন ভরসা, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য হুছনে আরা ওয়াহিদ এবং সংসদ সচিবালয়ের সহকারী নিরাপত্তা পরিদর্শক, মো. আবদুল হাকিমের মৃত্যুতেও গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

সংসদে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক জালাল সাইফুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. শ্রীমৎ ভদন্ত ধর্মসেন মহাথেরো, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোজাম্মেল হক, মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ তানজেল হোসেন খান, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু, ভাষা সংগ্রামী মুহম্মদ আবু সিদ্দীক, ভাসাসৈনিক নজির হোসেন, কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ, একুশে পদকপ্রাপ্ত ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাথের, মুক্তিযোদ্ধা ও নারী নেত্রী রাখি দাস পুরকায়স্থ, আরমা দত্ত এমপির মাতা প্রতীতি দেবীর মৃত্যুতে সংসদে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

image
আরও খবর
সারাদেশে দু’শতাধিক ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত
করোনার নতুন কেন্দ্র হতে পারে আফ্রিকা
যেসব দেশ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করলো সংক্রমণ
মৃত্যু দেড় লাখ ও আক্রান্ত সাড়ে ২২ লাখ ছাড়িয়েছে
২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩০৬
লকডাউন না মেনে লাখো মানুষের ঢল
ঈদের নামাজও বাসায় সৌদির গ্র্যান্ড মুফতি
লকডাউন না মানলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা
ছুটি আরও বাড়তে পারে
কৃষক বাঁচাতে কৃষিপণ্যের বাজারজাত নিশ্চিত করতে হবে : দেবপ্রিয়
পুলিশের ৬৫ সদস্য করোনায় আক্রান্ত
দশ মিনিটে করোনা শনাক্ত
নারায়ণগঞ্জে নেই করোনা পরীক্ষাগার
লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না কেন?
ঈদের আগে খুলছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ৬ বৈশাখ ১৪২৭, ২৪ শাবান ১৪৪১

করোনায় সোয়া এক ঘণ্টার অধিবেশন

পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে সরকার। বর্তমানে ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেয়া হচ্ছে। আরও ৫০ লাখ লোককে রেশন কার্ড দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এক কোটি লোক খাদ্য সহায়তা পাবেন। আর এই এক কোটি লোকের পরিবারের সদস্য সংখ্যা যদি পাঁচজন হয়, তাহলে পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবেন। গতকাল একাদশ জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সপ্তম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। দেশে করোনা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হওয়ায় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় ডাকা এ অধিবেশন এক কার্যদিবসেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে দোয়া : দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। বিশ্ববাসী যেন এই ভাইরাস থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। আল্লাহর শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর প্রায় ২০৯টি দেশ আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিনিয়ত মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। গত ডিসেম্বর থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তখন থেকেই আমরা সতর্ক ছিলাম। যখনি আমাদের দেশে দেখা দেয় তখননি আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, কতদিন এই অবস্থা থাকবে তা কেউ বলতে পারছে না। সারাবিশ্বে কত শক্তিশালী দেশ, কত অস্ত্র কোন কিছুই কাজে লাগলো না। একটা ভাইরাস চোখে দেখা যায় না। তার কারণে আজ সারাবিশ্ব স্থবির, সারাবিশ্বের মানুষ আজ ঘরে বন্দী। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

সবরকমের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে : করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি। কিন্তু স্বাস্থ্যে যে এমন ঝড় বয়ে যাবে তা আমাদের কল্পনার বাইরে ছিল। আগে আমাদের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। আমরা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করেছি। সবরকম ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা হচ্ছে। প্রত্যেকটি বন্দরে টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মানুষকে সচেতন করা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্যে যেন কোন অসুবিধা না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।

মেসেজ পাই; আপা আমার ঘরে খাবার নাই : করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কেউ যেন খাবারে কষ্ট না পায় সেজন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অনেক সময় আমি নিজেও এসএমএস পাই, এসএমএস করে- ‘আপা আমার ঘরে খাবার নাই’। সঙ্গে সঙ্গে আমরা উদ্যোগ নিই। শুধু তার (ওই মেসেজদাতা) নয়, আশপাশে কোথাও কারা এভাবে কষ্টে আছে, যারা হাত পাততে পারবে না, কিন্তু তাদের ঘরে খাবার নেই, চাইতে পারছে না- তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার সেই ব্যবস্থাটাও কিন্তু আমরা নিয়েছি এবং নিচ্ছি।

নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত সর্বস্তরের মানুষের জন্য প্রণোদনা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামী তিন বছর অর্থনৈতিকভাবে দেশের মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছি। এই সংকট যেন কাটিয়ে উঠতে পারি সেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছ। অর্থনৈতিকভাবে যে নেতিবাচক দিকগুলো সামনে আসতে পারে সেটা যেন আমরা মোকাবিলা করতে পারি, মানুষের কর্মসংস্থান, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়া, মানুষের জীবনটা যেন চলতে পারে এজন্য সর্বস্তরের যেমন- শিল্প, কৃষি, একেবারে খেটেখাওয়া সাধারণ মানুষ, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, শ্রমিক, কৃষক, তাঁতী, ব্যবসায়ী- সবার কথা বিবেচনা করে আমরা এই প্যাকেজ তৈরি করেছি।

৯৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা : তিনি বলেন, আমরা যে ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি, তা জিডিপির ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। আমি আজকে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, আমাদের ৩৩৩ যে হটলাইন আছে সেটিতে সংযোগ রেখে এই ধরনের পরিস্থিতিতে যারা পড়বে তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে। সেটা ইনশাল্লাহ আমরা করব।

খাদ্যের অভাব হবে না : প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে আমাদের খাদ্যের অভাব নেই এবং হবে না। সেই সঙ্গে কৃষি কাজ যেন অব্যাহত থাকে এজন্য ৫ শতাংশ সুদের কথা বলেছিলাম ওটা এখন কমিয়ে ৪ শতাংশ করেছি। তাছাড়া দুই কোটি কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তাদের ভর্তুকি পাবেন। এছাড়া কৃষি শ্রমিকরা কোথাও কাজ করতে যেতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া আছে, তারা যেন ধান কাটার শ্রমিকদের পৌঁছে দেন।

করোনার চিকিৎসা ব্যয় সরকারের : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসার সব খরচ সরকারিভাবে বহন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার নমুনা সংগ্রহ থেকে শুরু থেকে সব চিকিৎসা খরচ সরকারিভাবে আমরা করে যাচ্ছি। এখানে পরীক্ষা করা থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত কোন টাকা-পয়সা নেয়া হয় না। সব ধরনের খরচ সরকার বহন করছে। করোনার নমুনা সংগ্রহে কিটের ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৯২ হাজার পরীক্ষার কীট সংগ্রহ করেছি। এরমধ্যে ২০ হাজার বিতরণ করা হয়েছে এবং ৭২ হাজারের মতো মজুত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, এখনও বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানে আমরা ভালো আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বার বার ঘরে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। আসলে মানুষ কেন যেন বেশি সাহসী হয়ে গেছে। অনেকে মানতেই চায় না। আমি সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি। স্বাস্থ্য সুরক্ষার যে নির্দেশনা, সবাই দয়া করে সেটা মেনে চলবেন। তাহলে কেউ করোনা ঝুঁকিতে পড়বেন না। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব নির্দেশনা মেনে চলবেন। তিনি বলেন, যেখানে কাবা শরিফে কারফিউ দেয়া হয়েছে, সেখানে বলব, মসজিদে না গিয়ে ঘরে বসে আল্লাহকে ডাকুন। আমরা এবং বিশ্ববাসী সবাই যেন এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়ে সবাই যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। ভাষণের শেষে তিনি সংসদ অধিবেশনে অংশগ্রহণকারী এবং অধিবেশন আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রক্ষায় ব্যতিক্রমী এ অধিবেশন শুরু হয় বাছাইকৃত সংসদ সদস্যদের (এমপি) নিয়ে। সম্ভব সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এতে অংশ নেন এমপিরা। এ সময় তাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস দেখা যায়। এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার সংসদ বসার বাধ্যবাধকতা সংবিধানে রয়েছে। সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন আহ্বানের বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে করোনা দুর্যোগের কারণে এক দিনেই অধিবেশন সমাপ্ত করা হলো।

করোনায় সোয়া এক ঘণ্টায় সমাপ্ত সংসদ অধিবেশন

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ডাকা একাদশ জাতীয় সংসদের ৭ম অধিবেশন গতকাল বিকেলে শুরু হয়ে সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ হয়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের হার বাংলাদেশেও বেড়ে যাওয়ায় এ অধিবেশন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত (এক কার্যদিবস) করা হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার এই অধিবেশনে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের শুরুতে ৫ সদস্যের সভাপতিম-লীর মনোনয়ন দেন। সভাপতিম-লীর সদস্যরা হলেন আ স ম ফিরোজ, আবুল কালাম আজাদ, এবি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশিদ ও মেহের আফরোজ। এরপর স্পিকার শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করে সমাপনী ভাষণ দেন। এর আগে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, শাহজান খান ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা।

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এর আগে তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শোকপ্রস্তাব সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এরপর স্পিকার ড. শিরীনের শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীদের এবং সুন্দরভাবে আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১ দফা পালনে দেশবাসীকে আহ্বান জানান। সব শেষে একাদশ সংসদের সপ্তম অধিবেশনের সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে স্পিকার অধিবেশন সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সংসদে শোক প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত : বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সবদেশে ব্যাপক প্রাণহানি ও পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে গতকাল সংসদে সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এই শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেইসঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।

শোক প্রস্তাবে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা, ভাষাসৈনিক শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। সংসদে এছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রহমত আলী, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ শহীদুল হক জামাল এবং সাবেক সংসদ সদস্য মো. ওয়াজি উদ্দিন খান, সাবেক সংসদ সদস্য, সেকেন্দার আলী, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ জব্বার, সাবেক সংসদ সদস্য রহিম উদ্দিন ভরসা, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য হুছনে আরা ওয়াহিদ এবং সংসদ সচিবালয়ের সহকারী নিরাপত্তা পরিদর্শক, মো. আবদুল হাকিমের মৃত্যুতেও গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

সংসদে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক জালাল সাইফুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ড. শ্রীমৎ ভদন্ত ধর্মসেন মহাথেরো, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মোজাম্মেল হক, মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ তানজেল হোসেন খান, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চুন্নু, ভাষা সংগ্রামী মুহম্মদ আবু সিদ্দীক, ভাসাসৈনিক নজির হোসেন, কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ, একুশে পদকপ্রাপ্ত ভদন্ত শুদ্ধানন্দ মহাথের, মুক্তিযোদ্ধা ও নারী নেত্রী রাখি দাস পুরকায়স্থ, আরমা দত্ত এমপির মাতা প্রতীতি দেবীর মৃত্যুতে সংসদে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।