নারায়ণগঞ্জে নেই করোনা পরীক্ষাগার

সারাদেশের তুলনায় নারায়ণগঞ্জে করোনার পরিসংখ্যান আতঙ্কজনক। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে এ সংখ্যা ৩শ’ ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সর্বশেষ তথ্যমতে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নারী-পুরুষ মিলিয়ে ২৪ জন। উপসর্গ নিয়ে আরও কয়েকজন ব্যক্তি মারা গেলেও তাদের পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতিতেও নারায়ণগঞ্জে নেই করোনা পরীক্ষাগার। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে। নারায়ণগঞ্জ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের এক প্রকারের উদাসীনতা রয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। পিসিআর ল্যাব স্থাপনের মতো উপযোগী কোন প্রতিষ্ঠান নেই বলছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আমরা ল্যাবের জন্য বারবার দাবি জানিয়েছি। নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে যেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেখানেই ল্যাব বসানো হবে বলে জেনেছি। পূর্বের সব বিষয় এখন বাদ দিয়ে অতি দ্রুত যেন এই ল্যাবটি স্থাপনের কার্যক্রম শেষ হয় সে আশা করছি।’

গত ৮ মার্চ দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত দুই রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। প্রথম দিকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা কম হওয়াতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম পাওয়া যায়। ১ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর তিনদিন পর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফলে তার শরীরে করোনাভাইরাস ছিল বলে জানায় আইইডিসিআর। এরপর নমুনা সংগ্রহ বেড়ে গেলে বাড়তে থাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০১ জন। সারাদেশের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত চিকিৎসক-নার্সসহ ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ৩০ মার্চ সর্বপ্রথম জেলায় করোনা পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবি জানায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব। ঘনবসতিপূর্ণ এই জেলাটিতে অনতিবিলম্বে করোনা পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবিতে গণমাধ্যমে যৌথ বিবৃতি দেয় ৪৬টি সামাজিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। একই দাবি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীও। জোরাল দাবি থাকার পরও নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। সম্প্রতি সারাদেশে নতুন ১১টি পরীক্ষাগার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু সেখানেও ছিল না নারায়ণগঞ্জের নাম। এদিকে জানা যায়, রূপগঞ্জের কাঞ্চনে নিজ অর্থায়নে করোনা পরীক্ষাগার স্থাপন করছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। করোনার প্রাদুর্ভাব যেখানে বেশি সেই নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে কাঞ্চন দূরত্ব বেশি হওয়ায় সেখান থেকে তেমন একটা সুবিধা পাবে না বলে অভিমত অনেকের। শহরের মধ্যেই করোনা পরীক্ষাগারের দাবি নারায়ণগঞ্জবাসীর।

এদিকে গত ১৬ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, রাজধানী ঢাকার পর নারায়ণগঞ্জে করোনার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এখানে নেই কোন পরীক্ষাগার। নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে দেরি হচ্ছে। এ সময় নারায়ণগঞ্জে পিসিআর ল্যাবরেটরি নেই জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘নারায়ণগঞ্জ কি সারাজীবন ঢাকার উপরেই নির্ভর করে ছিল’ এমন প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণেই নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত করোনা পরীক্ষাগার স্থাপন হয়নি অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীকে দুই ধরনের কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এত দাবির পরও কোন ল্যাব নেই। আমরা চাইবো অনতিবিলম্বে যেন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালেই ল্যাব স্থাপন করা হোক।’

শুরুর দিকেই নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষাগার স্থাপন জরুরি ছিল বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয়। তিনি বলেন, ‘শুরুতেই একটি পরীক্ষাগার নারায়ণগঞ্জে থাকলে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে তার ফলাফল জেনে আক্রান্ত শনাক্ত করা যেতো। পরীক্ষার জন্য ঢাকার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আক্রান্ত শনাক্ত করাতে সময় লাগাতে নারায়ণগঞ্জে লোকাল ট্রান্সমিশন দ্রুত ছড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানেই ল্যাব স্থাপনের জন্য আমরা স্বাস্থ্য বিভাগে জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি।

আরও খবর
সারাদেশে দু’শতাধিক ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত
পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে প্রধানমন্ত্রী
করোনার নতুন কেন্দ্র হতে পারে আফ্রিকা
যেসব দেশ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করলো সংক্রমণ
মৃত্যু দেড় লাখ ও আক্রান্ত সাড়ে ২২ লাখ ছাড়িয়েছে
২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩০৬
লকডাউন না মেনে লাখো মানুষের ঢল
ঈদের নামাজও বাসায় সৌদির গ্র্যান্ড মুফতি
লকডাউন না মানলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা
ছুটি আরও বাড়তে পারে
কৃষক বাঁচাতে কৃষিপণ্যের বাজারজাত নিশ্চিত করতে হবে : দেবপ্রিয়
পুলিশের ৬৫ সদস্য করোনায় আক্রান্ত
দশ মিনিটে করোনা শনাক্ত
লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না কেন?
ঈদের আগে খুলছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ৬ বৈশাখ ১৪২৭, ২৪ শাবান ১৪৪১

এতকিছুর পরও

নারায়ণগঞ্জে নেই করোনা পরীক্ষাগার

সৌরভ হোসেন সিয়াম, নারায়ণগঞ্জ

সারাদেশের তুলনায় নারায়ণগঞ্জে করোনার পরিসংখ্যান আতঙ্কজনক। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে এ সংখ্যা ৩শ’ ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সর্বশেষ তথ্যমতে, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন নারী-পুরুষ মিলিয়ে ২৪ জন। উপসর্গ নিয়ে আরও কয়েকজন ব্যক্তি মারা গেলেও তাদের পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতিতেও নারায়ণগঞ্জে নেই করোনা পরীক্ষাগার। এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে। নারায়ণগঞ্জ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের এক প্রকারের উদাসীনতা রয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। পিসিআর ল্যাব স্থাপনের মতো উপযোগী কোন প্রতিষ্ঠান নেই বলছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘আমরা ল্যাবের জন্য বারবার দাবি জানিয়েছি। নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে যেখানে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সেখানেই ল্যাব বসানো হবে বলে জেনেছি। পূর্বের সব বিষয় এখন বাদ দিয়ে অতি দ্রুত যেন এই ল্যাবটি স্থাপনের কার্যক্রম শেষ হয় সে আশা করছি।’

গত ৮ মার্চ দেশের প্রথম করোনা আক্রান্ত দুই রোগী শনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে। প্রথম দিকে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা কম হওয়াতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম পাওয়া যায়। ১ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর তিনদিন পর করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফলে তার শরীরে করোনাভাইরাস ছিল বলে জানায় আইইডিসিআর। এরপর নমুনা সংগ্রহ বেড়ে গেলে বাড়তে থাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০১ জন। সারাদেশের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত চিকিৎসক-নার্সসহ ২৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ৩০ মার্চ সর্বপ্রথম জেলায় করোনা পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবি জানায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব। ঘনবসতিপূর্ণ এই জেলাটিতে অনতিবিলম্বে করোনা পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবিতে গণমাধ্যমে যৌথ বিবৃতি দেয় ৪৬টি সামাজিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। একই দাবি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীও। জোরাল দাবি থাকার পরও নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। সম্প্রতি সারাদেশে নতুন ১১টি পরীক্ষাগার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু সেখানেও ছিল না নারায়ণগঞ্জের নাম। এদিকে জানা যায়, রূপগঞ্জের কাঞ্চনে নিজ অর্থায়নে করোনা পরীক্ষাগার স্থাপন করছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। করোনার প্রাদুর্ভাব যেখানে বেশি সেই নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে কাঞ্চন দূরত্ব বেশি হওয়ায় সেখান থেকে তেমন একটা সুবিধা পাবে না বলে অভিমত অনেকের। শহরের মধ্যেই করোনা পরীক্ষাগারের দাবি নারায়ণগঞ্জবাসীর।

এদিকে গত ১৬ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, রাজধানী ঢাকার পর নারায়ণগঞ্জে করোনার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এখানে নেই কোন পরীক্ষাগার। নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে দেরি হচ্ছে। এ সময় নারায়ণগঞ্জে পিসিআর ল্যাবরেটরি নেই জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘নারায়ণগঞ্জ কি সারাজীবন ঢাকার উপরেই নির্ভর করে ছিল’ এমন প্রশ্নও করেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণেই নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত করোনা পরীক্ষাগার স্থাপন হয়নি অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীকে দুই ধরনের কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এত দাবির পরও কোন ল্যাব নেই। আমরা চাইবো অনতিবিলম্বে যেন করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালেই ল্যাব স্থাপন করা হোক।’

শুরুর দিকেই নারায়ণগঞ্জে করোনা পরীক্ষাগার স্থাপন জরুরি ছিল বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয়। তিনি বলেন, ‘শুরুতেই একটি পরীক্ষাগার নারায়ণগঞ্জে থাকলে দ্রুত নমুনা সংগ্রহ করে তার ফলাফল জেনে আক্রান্ত শনাক্ত করা যেতো। পরীক্ষার জন্য ঢাকার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। আক্রান্ত শনাক্ত করাতে সময় লাগাতে নারায়ণগঞ্জে লোকাল ট্রান্সমিশন দ্রুত ছড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানেই ল্যাব স্থাপনের জন্য আমরা স্বাস্থ্য বিভাগে জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি।