২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩০৬

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩০৬ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ১৪৪ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান খান। এতে নিজের বাসা থেকে সংযুক্ত হয়ে কথা বলেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। ডা. ফ্লোরা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নতুন করে যুক্ত হওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৯টি ল্যাবরেটরিতে মোট ২ হাজার ১৯০টি নমুনার পরীক্ষা হয়। এতে আরও ৩০৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ২ হাজার ১৪৪। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৯ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৮৪। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ৮ জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।

তিনি বলেন, যে ৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৪ জন। ৫১-৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং আর একজনের বয়স জানা যায়নি। এদের মধ্যে ৬ জন ঢাকার, দুইজন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন সাভারের। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ২১-৩০ বছরের কোঠায় শতকরা ২৭ ভাগ, ৩১-৪০ বছর বয়সী ২২ ভাগ, ৪১-৫০ বছর বয়সী আছেন ১৯ ভাগ। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে পুরুষ শতকরা ৬২ ভাগ, বাকিরা নারী। ডা. সেব্রিনা বলেন, পরপর দুইটি পরীক্ষায় সংক্রমণ নেই এমন চিহ্নিত ব্যক্তির সংখ্যা ৮। এ নিয়ে সর্বমোট ৬৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। ২ হাজার ১৪৪ জন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৪ জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন আছেন আইসিইউতে। বাকি সবার অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।

বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঢাকা শহরে, যা শতকরা ৩২ ভাগ। এরপর আছে গাজীপুর। গাজীপুরে নতুন শনাক্ত হয়েছে। এর আগে যারা শনাক্ত হয়েছিলেন তারা বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছেন। গাজীপুরের পরই নতুন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ। গত তিন দিন আমরা যেসব রোগীর কথা বলছি সেটা আমাদের পরীক্ষার প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, এখানে একদিনের তথ্য পেন্ডিং ছিল। ১৬ তারিখের আক্রান্তদের তথ্যের সঙ্গে কিছু আক্রান্তের তথ্য ছিল ১৫ তারিখের। সেটাকে আমরা নতুন তারিখ অনুযায়ী বিভাজন করেছি। নতুন বিভাজন করার পর আমরা এটাকে সংশোধন করেছি। নাসিমা সুলতানা জানান, এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১ হাজার ১৯১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আছেন ৬৬ জন। আর মোট আইসোলেশনে আছেন ৫৯৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩২ জন। সব মিলিয়ে মোট মুক্ত হয়েছেন ৫১২ জন। তিনি জানান, ভালো খবরের মধ্যে হলো নতুন করে ল্যাব সংযোজিত হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যশোরের আশপাশের জেলার নমুনা এখন থেকে সেখানেই পরীক্ষা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩ হাজার ৬৪১ জন। এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৯২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১৭৪ জন। এখন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪ হাজার ৮৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৮১৫ জনকে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬ জন। মোট ছাড় পেয়েছেন ৭১ হাজার ৩৯৩ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে ৪৪ হাজার ২২৭ জন এবং ৪ হাজার ৮৪ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন। এখন পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৮ হাজার ৩৭১ জন। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যেসব স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন তারা চিকিৎসা প্রদানে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে বিস্তারিত বিবরণ ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ ই-মেইল করতে পারেন। আপনাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তা-ব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।

আরও খবর
সারাদেশে দু’শতাধিক ডাক্তার নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত
পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে প্রধানমন্ত্রী
করোনার নতুন কেন্দ্র হতে পারে আফ্রিকা
যেসব দেশ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করলো সংক্রমণ
মৃত্যু দেড় লাখ ও আক্রান্ত সাড়ে ২২ লাখ ছাড়িয়েছে
লকডাউন না মেনে লাখো মানুষের ঢল
ঈদের নামাজও বাসায় সৌদির গ্র্যান্ড মুফতি
লকডাউন না মানলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা
ছুটি আরও বাড়তে পারে
কৃষক বাঁচাতে কৃষিপণ্যের বাজারজাত নিশ্চিত করতে হবে : দেবপ্রিয়
পুলিশের ৬৫ সদস্য করোনায় আক্রান্ত
দশ মিনিটে করোনা শনাক্ত
নারায়ণগঞ্জে নেই করোনা পরীক্ষাগার
লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না কেন?
ঈদের আগে খুলছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ৬ বৈশাখ ১৪২৭, ২৪ শাবান ১৪৪১

২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৯ মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৩০৬

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

করোনাভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে ভাইরাসটিতে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮৪ জনের। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩০৬ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ১৪৪ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, এমআইএস পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান খান। এতে নিজের বাসা থেকে সংযুক্ত হয়ে কথা বলেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। ডা. ফ্লোরা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নতুন করে যুক্ত হওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৯টি ল্যাবরেটরিতে মোট ২ হাজার ১৯০টি নমুনার পরীক্ষা হয়। এতে আরও ৩০৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ২ হাজার ১৪৪। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৯ জন। এতে মৃতের সংখ্যা হয়েছে ৮৪। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ৮ জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ জনে।

তিনি বলেন, যে ৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৪ জন। ৫১-৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১-৫০ বছর বয়সের মধ্যে দুইজন, ৩১-৪০ বছর বয়সের মধ্যে একজন এবং আর একজনের বয়স জানা যায়নি। এদের মধ্যে ৬ জন ঢাকার, দুইজন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন সাভারের। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ২১-৩০ বছরের কোঠায় শতকরা ২৭ ভাগ, ৩১-৪০ বছর বয়সী ২২ ভাগ, ৪১-৫০ বছর বয়সী আছেন ১৯ ভাগ। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে পুরুষ শতকরা ৬২ ভাগ, বাকিরা নারী। ডা. সেব্রিনা বলেন, পরপর দুইটি পরীক্ষায় সংক্রমণ নেই এমন চিহ্নিত ব্যক্তির সংখ্যা ৮। এ নিয়ে সর্বমোট ৬৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। ২ হাজার ১৪৪ জন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৬৪ জন। বাকিরা হোম আইসোলেশনে আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন আছেন আইসিইউতে। বাকি সবার অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল।

বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঢাকা শহরে, যা শতকরা ৩২ ভাগ। এরপর আছে গাজীপুর। গাজীপুরে নতুন শনাক্ত হয়েছে। এর আগে যারা শনাক্ত হয়েছিলেন তারা বেশিরভাগই নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছেন। গাজীপুরের পরই নতুন সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ। গত তিন দিন আমরা যেসব রোগীর কথা বলছি সেটা আমাদের পরীক্ষার প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, এখানে একদিনের তথ্য পেন্ডিং ছিল। ১৬ তারিখের আক্রান্তদের তথ্যের সঙ্গে কিছু আক্রান্তের তথ্য ছিল ১৫ তারিখের। সেটাকে আমরা নতুন তারিখ অনুযায়ী বিভাজন করেছি। নতুন বিভাজন করার পর আমরা এটাকে সংশোধন করেছি। নাসিমা সুলতানা জানান, এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১ হাজার ১৯১টি। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আছেন ৬৬ জন। আর মোট আইসোলেশনে আছেন ৫৯৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে মুক্ত হয়েছেন ৩২ জন। সব মিলিয়ে মোট মুক্ত হয়েছেন ৫১২ জন। তিনি জানান, ভালো খবরের মধ্যে হলো নতুন করে ল্যাব সংযোজিত হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। যশোরের আশপাশের জেলার নমুনা এখন থেকে সেখানেই পরীক্ষা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩ হাজার ৬৪১ জন। এখন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৯২৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১৭৪ জন। এখন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪ হাজার ৮৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৮১৫ জনকে। এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে। কোয়ারেন্টিন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬ জন। মোট ছাড় পেয়েছেন ৭১ হাজার ৩৯৩ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে ৪৪ হাজার ২২৭ জন এবং ৪ হাজার ৮৪ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন। এখন পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৮ হাজার ৩৭১ জন। কোভিড-১৯ চিকিৎসায় যেসব স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছেন তারা চিকিৎসা প্রদানে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে বিস্তারিত বিবরণ ও প্রয়োজনীয় তথ্যসহ ই-মেইল করতে পারেন। আপনাদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুলেটিন উপস্থাপনকালে করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে বাড়িতে থাকার এবং স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তা-ব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।