জেলেরা নেই জেলে তালিকায়

সরকারি সহায়তা ভোগ করছে অন্যরা

কুয়াকাটা জেলে পল্লীর ষাটোর্র্ধ্ব জেলে ফজলুল হক। প্রায় ৩০ বছর ধরে সাগরে মাছ শিকার করছেন। ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে কয়েকবার ফিরে আসলেও করোনা আতঙ্কের মধ্যে ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় এখন পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছে সে। গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিনচালিত ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ইলিশ শিকার করলেও ত্রিশ বছরেও জেলে হিসেবে সে স্বীকৃতি পায়নি। নাম উঠেনি জেলে তালিকায়। অথচ মোটরসাইকেলচালক থেকে শুরু করে পান-সিগারেট ব্যাবসায়ীরা জেলে তালিকায় নাম তুলে প্রতিবছর অবরোধ চলাকালীন সরকারি সহায়তা ভোগ করছে।

এ ফজলুল হকের মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়ার অন্তত আট হাজার জেলে প্রতিবছর অবরোধ চলাকালীন সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছ শিকার করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ বঞ্চিত জেলেদের স্বীকৃতি দিতে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন জেলে তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। শুরু করেছে প্রকৃত সমুদ্রগামী জেলেদের নাম তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া। সরকারি এ উদ্যোগে খুশি প্রকৃত জেলেরা।

পটুয়াখালীর সাগরঘেঁষা কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় সরকারি নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৫ জন জেলে রয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এই তালিকা প্রণয়ন করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর গভীর সমুদ্র ও নদী মোহনায় জাটকা রক্ষা, ইলিশের প্রজনন মৌসুমসহ ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন সময়ে সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। এ সময়ে কর্মহীন মানুষকে সরকার খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করে। এর বাইরে অন্তত আট হাজার সমুদ্রগামী জেলে রয়েছে যারা এ জেলেদের প্রণোদনা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারি তালিকায় নাম না থাকায় এসব জেলেরা অবরোধ চললেও পায়না সরকারি সহায়তা। এ কারণে এ জেলে পরিবারগুলো অবরোধ চলাকালীন চরম মানবেতর জীবনযাপন করে। অভিযোগ রয়েছে সরকারি তালিকায় যে ১৮ সহ¯স্রাধিক জেলের নাম রয়েছে তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ জেলের নাম ভুয়া। সরকারি সুবিধা পেতে জেলে কার্ড নিবন্ধিন চলাকালীন এ সুবিধা ভোগীরা অন্য পেশায় থাকলেও জেলে তালিকায় নাম উঠিয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি প্রকৃত জেলেদের নাম তালিকায় রেখে ভুয়া জেলেদের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে তালিকা প্রনয়নের জন্য। কিন্তু বারবারই তাদের এ দাবি উপেক্ষিত থেকেছে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় মানুষের কর্মক্ষেত সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী পরিবারগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ৬৫ দিনের মাছ ধরা অবরোধ চলাকালীন সমুদ্রগামী জেলেরা। এই জেলেরা যাতে এই দুঃসময়ে সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয় এজন্য উপজেলার সমুদ্রগামী জেলেদের নতুন করে তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। গত বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সভা কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার সব জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেয় এবং তালিকা তৈরির পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

নতুন করে তালিকা তৈরির খবরে খুশি উপকূলীয় জেলেরা। তাদেরই একজন ট্রলার মাছি তোহা বলেন, তারা যুগ যুগ ধরে মাছ শিকার করছেন গভীর সমুদ্রে। সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে জলদস্যুদের হামলায় নিহতসহ সম্পদ লুটে নিচ্ছে জলদস্যুরা। অথচ যখন সাগর ও নদীতে অবরোধ চলে তখন সুবিধা ভোগ করে জেলে নামধারীরা। তারাও এ তালিকা সংশোধনের দাবি করেন।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন উপকূলবর্তী জেলেরা নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করে। জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি অবরোধ চলাকালীন প্রকৃত জেলেদের সরকারি সহায়তা দেয়া হোক। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সভায় এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে জেলেদের তালিকা তৈরি করে তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে।

গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সমুদ্র উপকূলে ৬৫ দিন মাছ শিকার বন্ধে অবরোধ শুরু হয়েছে। এ অবরোধ চলাকালীন সমুদ্রসীমায় সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকায় জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করে সরকার। কিন্তু সরকারি জেলে তালিকায় অনিয়ম থাকায় প্রকৃত জেলেরা দীর্ঘ বছর ধরে এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত ছিল। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন নতুন করে জেলে তালিকা প্রনয়নের উদ্যোগ নেয়ায় খুশি হাজার হাজার জেলেরা।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা বলেন, অবরোধ চলাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সময়ে সাগরে কেউ মৎস্য আহরণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, জেলেদের তালিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলাপাড়ার সমুদ্রগামী জেলেদের নতুন করে তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ তালিকা প্রণয়ন হলে অপেশাদার জেলেরা তালিকা থেকে বাদ পড়বে এবং প্রকৃত জেলেরা সরকারি সহায়তা পাবে।

আরও খবর
মশক নিধন কার্যক্রম শুরু আজ থেকে
পরিবেশ সংরক্ষণে যত্নবান হলে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয়া সহজ হতো : তথ্যমন্ত্রী
বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. গোলাম কিবরিয়ার মৃত্যু
আম পরিবহনে ‘ম্যাংগো’ স্পেশাল ট্রেন
মানবিক সহায়তায় ৯ হাজার টন চাল ও ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ
স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে দুদক চেয়ারম্যান
মন্দায় টিকে থাকতে কৃষিখাতের ওপর জোর দিতে হবে মির্জা ফখরুল
চেয়ারম্যান রাঢ়ী গ্রেফতার
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহায়তা তালিকায় বিত্তশালীদের নাম
গোয়েন্দা পুলিশের ওপর হামলা, ৮ আসামি ছিনতাই
হোটেল-মোটেল খোলার প্রস্তুতি
স্নানযাত্রা উৎসব পালিত
সাত দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ
করোনা পরিস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান, তিন জনকে জরিমানা
কক্সবাজার ‘রেড জোনে’ আবারও লকডাউন

শনিবার, ০৬ জুন ২০২০ , ২৩ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৩ শাওয়াল ১৪৪১

কলাপাড়ায়

জেলেরা নেই জেলে তালিকায়

সরকারি সহায়তা ভোগ করছে অন্যরা

মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

কুয়াকাটা জেলে পল্লীর ষাটোর্র্ধ্ব জেলে ফজলুল হক। প্রায় ৩০ বছর ধরে সাগরে মাছ শিকার করছেন। ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে কয়েকবার ফিরে আসলেও করোনা আতঙ্কের মধ্যে ৬৫ দিন সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় এখন পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছে সে। গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিনচালিত ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ইলিশ শিকার করলেও ত্রিশ বছরেও জেলে হিসেবে সে স্বীকৃতি পায়নি। নাম উঠেনি জেলে তালিকায়। অথচ মোটরসাইকেলচালক থেকে শুরু করে পান-সিগারেট ব্যাবসায়ীরা জেলে তালিকায় নাম তুলে প্রতিবছর অবরোধ চলাকালীন সরকারি সহায়তা ভোগ করছে।

এ ফজলুল হকের মতো পটুয়াখালীর কলাপাড়ার অন্তত আট হাজার জেলে প্রতিবছর অবরোধ চলাকালীন সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় মাছ শিকার করতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ বঞ্চিত জেলেদের স্বীকৃতি দিতে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন জেলে তালিকা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। শুরু করেছে প্রকৃত সমুদ্রগামী জেলেদের নাম তালিকাভুক্ত করার প্রক্রিয়া। সরকারি এ উদ্যোগে খুশি প্রকৃত জেলেরা।

পটুয়াখালীর সাগরঘেঁষা কলাপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় সরকারি নিবন্ধিত ১৮ হাজার ৩০৫ জন জেলে রয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এই তালিকা প্রণয়ন করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর গভীর সমুদ্র ও নদী মোহনায় জাটকা রক্ষা, ইলিশের প্রজনন মৌসুমসহ ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন সময়ে সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। এ সময়ে কর্মহীন মানুষকে সরকার খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করে। এর বাইরে অন্তত আট হাজার সমুদ্রগামী জেলে রয়েছে যারা এ জেলেদের প্রণোদনা সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারি তালিকায় নাম না থাকায় এসব জেলেরা অবরোধ চললেও পায়না সরকারি সহায়তা। এ কারণে এ জেলে পরিবারগুলো অবরোধ চলাকালীন চরম মানবেতর জীবনযাপন করে। অভিযোগ রয়েছে সরকারি তালিকায় যে ১৮ সহ¯স্রাধিক জেলের নাম রয়েছে তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশ জেলের নাম ভুয়া। সরকারি সুবিধা পেতে জেলে কার্ড নিবন্ধিন চলাকালীন এ সুবিধা ভোগীরা অন্য পেশায় থাকলেও জেলে তালিকায় নাম উঠিয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি প্রকৃত জেলেদের নাম তালিকায় রেখে ভুয়া জেলেদের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে তালিকা প্রনয়নের জন্য। কিন্তু বারবারই তাদের এ দাবি উপেক্ষিত থেকেছে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় মানুষের কর্মক্ষেত সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী পরিবারগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ৬৫ দিনের মাছ ধরা অবরোধ চলাকালীন সমুদ্রগামী জেলেরা। এই জেলেরা যাতে এই দুঃসময়ে সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয় এজন্য উপজেলার সমুদ্রগামী জেলেদের নতুন করে তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। গত বুধবার এ সংক্রান্ত একটি সভা কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার সব জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেয় এবং তালিকা তৈরির পক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

নতুন করে তালিকা তৈরির খবরে খুশি উপকূলীয় জেলেরা। তাদেরই একজন ট্রলার মাছি তোহা বলেন, তারা যুগ যুগ ধরে মাছ শিকার করছেন গভীর সমুদ্রে। সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে ট্রলার ডুবিতে জলদস্যুদের হামলায় নিহতসহ সম্পদ লুটে নিচ্ছে জলদস্যুরা। অথচ যখন সাগর ও নদীতে অবরোধ চলে তখন সুবিধা ভোগ করে জেলে নামধারীরা। তারাও এ তালিকা সংশোধনের দাবি করেন।

কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ৬৫ দিনের অবরোধ চলাকালীন উপকূলবর্তী জেলেরা নিদারুণ কষ্টে দিনযাপন করে। জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি অবরোধ চলাকালীন প্রকৃত জেলেদের সরকারি সহায়তা দেয়া হোক। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সভায় এ বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে জেলেদের তালিকা তৈরি করে তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে।

গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সমুদ্র উপকূলে ৬৫ দিন মাছ শিকার বন্ধে অবরোধ শুরু হয়েছে। এ অবরোধ চলাকালীন সমুদ্রসীমায় সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকায় জেলেদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করে সরকার। কিন্তু সরকারি জেলে তালিকায় অনিয়ম থাকায় প্রকৃত জেলেরা দীর্ঘ বছর ধরে এ সহায়তা থেকে বঞ্চিত ছিল। কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন নতুন করে জেলে তালিকা প্রনয়নের উদ্যোগ নেয়ায় খুশি হাজার হাজার জেলেরা।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা বলেন, অবরোধ চলাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে। এ সময়ে সাগরে কেউ মৎস্য আহরণ করলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, জেলেদের তালিকা নিয়ে একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলাপাড়ার সমুদ্রগামী জেলেদের নতুন করে তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ তালিকা প্রণয়ন হলে অপেশাদার জেলেরা তালিকা থেকে বাদ পড়বে এবং প্রকৃত জেলেরা সরকারি সহায়তা পাবে।