কেরু চিনিকলে জনবল সংকটে : আখচাষ ব্যাহত

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকলের আখ রোপণ ও তদারকি কাজে নিয়োজিত ১৯ জন চুক্তিভিত্তিক ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী পদে পুনর্নিয়োগ না দেয়ায় চাষিরা ২য় দফা সার ও কীটনাশক জমিতে প্রয়োগ করতে পারছেন না। চাষিদের অভিযোগ সময়মতো ২য় দফা সার ও কীটনাশক আখ ফসলে প্রয়োগ করতে না পারলে ফলন মারাত্মক বিপর্যয় হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

চিনিকলের মৌসুমি কর্মচারী আবু সাইদ, আতিয়ার রহমান, মহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে জানান, গত বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ জন মৌসুমি কর্মচারী শুন্য পদের অনুকূলে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারি পদে দৈনিক হাজিরায় নিয়োগ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী তারা মিল জোনের ১৯টি ইউনিটের কার্যাদেশ অনুযায়ী আখ রোপণসহ চাষিদের মাঝে সার, কীটনাশক, বীজ, নগদ অর্থ বাবদ ঋণ হিসেবে প্রায় ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও ২০১৯-২০২০ আখ মাড়াই মৌসুমে পুজি গেজেট তৈরি এবং বিনিয়োগকৃত ঋণ আদায়ের কাজ করেন তারা। অথচ মাড়াই মৌসুম গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবার পর তাদের আর নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেয়ায় ৩ মাস যাবত কাজ করার পরও তাদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে।

দর্শনা আখ চাষি প্রতিনিধি আকমত আলী জানান, তার ইউনিটে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী না থাকায় তার আখের জমিতে ২য় দফার সার ও কীটনাশক দিতে পারছেন না। কাদিপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন ৫ একরে আখ রোপণ করেছেন। তিনিও একই অভিযোগ করেন। ১৯টি ইউনিটে একই অবস্থা বিরাজ করছে। শ্যামপুর গ্রামের আলী আহম্মদ জানান বর্তমানে ২য় দফা সার প্রয়োগের মোক্ষম সময় সার জমিতে না দিতে পারলে আখের আশানুরূপ ফলন পাব না এবং চিনিকলে মানসম্মত আখও সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এতে উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আখ চাষ এমনিতেই কমে যাচ্ছে তারপর এহেন পরিস্থিতিতে আগামীতে আখ চাষের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) গিয়াস উদ্দিন জানান, ১৯টি ইউনিটে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারীর শুন্য পদে হেড অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক চুক্তিভিত্তিক পুনর্নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের নেই। এ কারণে স্থানীয়ভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দিতে হলে হেড অফিসের অনুমোদন লাগবে। জনবল সঙ্কটের কারণে উল্লেখিত ইউনিটসমূহে আখ ফসল তদারকিসহ চাষিদের সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

সোমবার, ০৮ জুন ২০২০ , ২৫ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৫ শাওয়াল ১৪৪১

কেরু চিনিকলে জনবল সংকটে : আখচাষ ব্যাহত

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

image

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকলের আখ রোপণ ও তদারকি কাজে নিয়োজিত ১৯ জন চুক্তিভিত্তিক ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী পদে পুনর্নিয়োগ না দেয়ায় চাষিরা ২য় দফা সার ও কীটনাশক জমিতে প্রয়োগ করতে পারছেন না। চাষিদের অভিযোগ সময়মতো ২য় দফা সার ও কীটনাশক আখ ফসলে প্রয়োগ করতে না পারলে ফলন মারাত্মক বিপর্যয় হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

চিনিকলের মৌসুমি কর্মচারী আবু সাইদ, আতিয়ার রহমান, মহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে জানান, গত বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে ১৯ জন মৌসুমি কর্মচারী শুন্য পদের অনুকূলে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারি পদে দৈনিক হাজিরায় নিয়োগ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী তারা মিল জোনের ১৯টি ইউনিটের কার্যাদেশ অনুযায়ী আখ রোপণসহ চাষিদের মাঝে সার, কীটনাশক, বীজ, নগদ অর্থ বাবদ ঋণ হিসেবে প্রায় ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও ২০১৯-২০২০ আখ মাড়াই মৌসুমে পুজি গেজেট তৈরি এবং বিনিয়োগকৃত ঋণ আদায়ের কাজ করেন তারা। অথচ মাড়াই মৌসুম গত ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবার পর তাদের আর নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ না দেয়ায় ৩ মাস যাবত কাজ করার পরও তাদের বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে।

দর্শনা আখ চাষি প্রতিনিধি আকমত আলী জানান, তার ইউনিটে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারী না থাকায় তার আখের জমিতে ২য় দফার সার ও কীটনাশক দিতে পারছেন না। কাদিপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন ৫ একরে আখ রোপণ করেছেন। তিনিও একই অভিযোগ করেন। ১৯টি ইউনিটে একই অবস্থা বিরাজ করছে। শ্যামপুর গ্রামের আলী আহম্মদ জানান বর্তমানে ২য় দফা সার প্রয়োগের মোক্ষম সময় সার জমিতে না দিতে পারলে আখের আশানুরূপ ফলন পাব না এবং চিনিকলে মানসম্মত আখও সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এতে উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আখ চাষ এমনিতেই কমে যাচ্ছে তারপর এহেন পরিস্থিতিতে আগামীতে আখ চাষের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) গিয়াস উদ্দিন জানান, ১৯টি ইউনিটে ইক্ষু উন্নয়ন সহকারীর শুন্য পদে হেড অফিসের নির্দেশনা মোতাবেক চুক্তিভিত্তিক পুনর্নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার স্থানীয় প্রশাসনের নেই। এ কারণে স্থানীয়ভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগ দিতে হলে হেড অফিসের অনুমোদন লাগবে। জনবল সঙ্কটের কারণে উল্লেখিত ইউনিটসমূহে আখ ফসল তদারকিসহ চাষিদের সমস্যা হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।