খানসামার কাজ করে জিপিএ-৫ মাসুদ

হতদরিদ্র রিকশাচালক খাদেমুল ইসলামের ঔরসে জন্ম নেয়া তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মাসুদ ইসলাম। ঢাকার দোহার উপজেলার কাটাখালী মিছের খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাসুদ এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাবা খাদেমুল ইসলাম প্রায় ত্রিশ বছর ধরে রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে চালিয়ে আসছেন তাদের সংসারের চাকা। বাবার মতো মাসুদের জীবনও সংগ্রামে ঘেরা। সারাদিন রিকশা চালিয়ে বাবা যা আয় করতেন তা খুবই নগণ্য। অভাবের সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে পড়াশোনার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই মাসুদ স্কুল বন্ধের দিনগুলোতে ছুটে যেতো বিয়ে-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষের বাড়িতে খানসামার কাজ করতে। মাসুদের ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম তাকে আজ সাফল্য হিসেবে পরীক্ষায় জিপিএ-৫এনে দিয়েছে। মাসুদ এখন ঢাকার সেন্ট যোসেফ কলেজে পড়তে চায়। মাসুদ স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে সে ডাক্তার হবে এবং দেশের হতদরিদ্র মানুষের সেবা করবে। ভালো ফলাফলের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে মাসুদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে দোহার উপজেলার কাঠালীঘাটা গ্রামের জার্মান প্রবাসী রোমান মিয়া এবং উপজেলার সুন্দরীপাড়া গ্রামের আবাসন ব্যবসায়ী মো. আইয়ূব আলী পাশে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে মাসুদের কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

সোমবার, ০৮ জুন ২০২০ , ২৫ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৫ শাওয়াল ১৪৪১

দারিদ্র্যে ঝরছে তারারা

খানসামার কাজ করে জিপিএ-৫ মাসুদ

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

হতদরিদ্র রিকশাচালক খাদেমুল ইসলামের ঔরসে জন্ম নেয়া তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মাসুদ ইসলাম। ঢাকার দোহার উপজেলার কাটাখালী মিছের খান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাসুদ এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাবা খাদেমুল ইসলাম প্রায় ত্রিশ বছর ধরে রিকশার প্যাডেল ঘুরিয়ে চালিয়ে আসছেন তাদের সংসারের চাকা। বাবার মতো মাসুদের জীবনও সংগ্রামে ঘেরা। সারাদিন রিকশা চালিয়ে বাবা যা আয় করতেন তা খুবই নগণ্য। অভাবের সংসারে একটু স্বচ্ছলতা আনতে পড়াশোনার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই মাসুদ স্কুল বন্ধের দিনগুলোতে ছুটে যেতো বিয়ে-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষের বাড়িতে খানসামার কাজ করতে। মাসুদের ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম তাকে আজ সাফল্য হিসেবে পরীক্ষায় জিপিএ-৫এনে দিয়েছে। মাসুদ এখন ঢাকার সেন্ট যোসেফ কলেজে পড়তে চায়। মাসুদ স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে সে ডাক্তার হবে এবং দেশের হতদরিদ্র মানুষের সেবা করবে। ভালো ফলাফলের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে মাসুদের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে দোহার উপজেলার কাঠালীঘাটা গ্রামের জার্মান প্রবাসী রোমান মিয়া এবং উপজেলার সুন্দরীপাড়া গ্রামের আবাসন ব্যবসায়ী মো. আইয়ূব আলী পাশে থাকার ইচ্ছা পোষণ করে মাসুদের কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়া চালিয়ে নেয়ার বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।