ঘাট বন্ধ মগড়া নদীর ! সুবিধা বঞ্চিত পৌরবাসী

বর্ষায় পানি এলেও নেত্রকোনার মগড়া নদীর পানি ব্যবহার করতে পারেন না স্থানীয়রা। সৌন্দর্য্য বর্ধনে ওয়াকওয়ে নির্মাণ হলেও মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত ঘাটগুলো বন্ধ করে দেয়ায় বর্ষায় পানি আসলেও তা কাজে আসছে না পৌরবাসীর। যদিও পানি দূষণ বন্ধে কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেইসঙ্গে ঘাটগুলো পুনরায় খুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পৌর মেয়র।

জেলা শহরকে পেঁচিয়ে রাখা নদী মগড়া। নদীটির প্রায় ৬ কিলোমিটার অংশই প্রবাহিত হয়েছে পৌর শহরের ভেতর দিয়ে। কিন্তু কালের আবর্তনে দখল ও দূষণের কবলে এখন নাব্যতা হারিয়েছে এক সময়ের খরস্র্রোতা এ নদীর। যার ফলে শীতকালে পানিশূন্য থাকলেও বর্ষা এলে আবারো পানিতে ভরপুর হয় নদীটি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা নদীটিতে পানি থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারেন নদীপাড়ের মানুষ। শহরের সাতপাই, গারা রোড, থানার মোড়, ছোট বাজার, মালনীসহ বিভিন্ন অংশে থাকা মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহৃত ঘাটগুলো বন্ধ ও সংস্কারের অভাবে বর্তমানে অনেকটাই অস্থিত্বহীন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর সৌন্দর্য্য বর্ধনে ২০১১ সালে তীরবর্তী বিভিন্ন অংশে নির্মাণ করা হয় ফুটপাত। এতে পায়ে হাঁটার সুব্যবস্থা হলেও ঘাটগুলো বন্ধ হাওয়ায় পানি ব্যবহারে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থাকলেও তা ব্যবহারে আসছে না তাদের। এ ছাড়াও সাবেক পৌর মেয়র প্রশান্ত রায় তেরী বাজারে ঘাটটি বন্ধ করে নির্মাণ করেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণশৌচাগার। যা তেমন কোন উপকারে আসেনি পৌরবাসীর। তাই দ্রুত ঘাটগুলো উদ্ধার করে পুনর্সংস্কারের দাবি করছেন স্থানীয়রা। তবে নদীর পানি দূষণ বন্ধে আবর্জনা অপসারণে কাজ চলছে। বন্ধ ঘাটগুলোও সংস্কার করে অচিরেই খুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান।

সোমবার, ০৮ জুন ২০২০ , ২৫ জৈষ্ঠ ১৪২৭, ১৫ শাওয়াল ১৪৪১

ঘাট বন্ধ মগড়া নদীর ! সুবিধা বঞ্চিত পৌরবাসী

প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

বর্ষায় পানি এলেও নেত্রকোনার মগড়া নদীর পানি ব্যবহার করতে পারেন না স্থানীয়রা। সৌন্দর্য্য বর্ধনে ওয়াকওয়ে নির্মাণ হলেও মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত ঘাটগুলো বন্ধ করে দেয়ায় বর্ষায় পানি আসলেও তা কাজে আসছে না পৌরবাসীর। যদিও পানি দূষণ বন্ধে কার্যক্রম চলমান রয়েছে সেইসঙ্গে ঘাটগুলো পুনরায় খুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পৌর মেয়র।

জেলা শহরকে পেঁচিয়ে রাখা নদী মগড়া। নদীটির প্রায় ৬ কিলোমিটার অংশই প্রবাহিত হয়েছে পৌর শহরের ভেতর দিয়ে। কিন্তু কালের আবর্তনে দখল ও দূষণের কবলে এখন নাব্যতা হারিয়েছে এক সময়ের খরস্র্রোতা এ নদীর। যার ফলে শীতকালে পানিশূন্য থাকলেও বর্ষা এলে আবারো পানিতে ভরপুর হয় নদীটি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা নদীটিতে পানি থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারেন নদীপাড়ের মানুষ। শহরের সাতপাই, গারা রোড, থানার মোড়, ছোট বাজার, মালনীসহ বিভিন্ন অংশে থাকা মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহৃত ঘাটগুলো বন্ধ ও সংস্কারের অভাবে বর্তমানে অনেকটাই অস্থিত্বহীন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর সৌন্দর্য্য বর্ধনে ২০১১ সালে তীরবর্তী বিভিন্ন অংশে নির্মাণ করা হয় ফুটপাত। এতে পায়ে হাঁটার সুব্যবস্থা হলেও ঘাটগুলো বন্ধ হাওয়ায় পানি ব্যবহারে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি থাকলেও তা ব্যবহারে আসছে না তাদের। এ ছাড়াও সাবেক পৌর মেয়র প্রশান্ত রায় তেরী বাজারে ঘাটটি বন্ধ করে নির্মাণ করেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণশৌচাগার। যা তেমন কোন উপকারে আসেনি পৌরবাসীর। তাই দ্রুত ঘাটগুলো উদ্ধার করে পুনর্সংস্কারের দাবি করছেন স্থানীয়রা। তবে নদীর পানি দূষণ বন্ধে আবর্জনা অপসারণে কাজ চলছে। বন্ধ ঘাটগুলোও সংস্কার করে অচিরেই খুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান।