ট্রাম্পের সঙ্গে চার্চে যাওয়ায় ক্ষমা চাইলেন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল

যুক্তরাষ্ট্রে উত্তাল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে প্রতিবাদকারীদের বলপ্রয়োগ করে হটিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজসংলগ্ন একটি চার্চে হেঁটে যাওয়াটা ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে দেশটিতে চলমান টানা ৮তম (১ জুন) বিক্ষোভের দিনে সোমবার সেন্ট জন্স এপিসকোপল চার্চ পরিদর্শনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যান সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি। রয়টার্স।

এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ওইদিন (সোমবার) কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে জড়ো হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে চার্চে ফটোশুট করতে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগের দিন রোববার বিক্ষোভকারীদের আগুনে পুড়ে যায় চার্চটি। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে ভিডিও রেকর্ডিংয়ে দেয়া ভাষণে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি ওই মুহূর্তে তেমন পরিবেশে তার থাকা উচিত ছিল না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘১ জুনের ওই ঘটনা ছিল অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর নাক গলানোর মতো বিষয়। আমার সেখানে থাকা উচিত হয়নি।’ ওইদিন সন্ধ্যায় (১ জুন) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্টের জন্য রাস্তা ফাঁকা করতে তাদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ন্যাশনাল গার্ডের সেনাপুলিশ, সিক্রেট সার্ভিস, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার পুলিশ ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পুলিশ। এরপরই জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সেন্ট জোনস চার্চে যান ট্রাম্প। সেখানে গিয়ে প্রার্থনা না করেই বাইবেল হাতে ছবি তোলেন তিনি।

বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে চার্চে যাওয়ার এ ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ সমালোচনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জেনারেল মার্ক মিলি বলেন, ‘একজন কমিশনপ্রাপ্ত ইউনিফর্মধারী কর্মকর্তা হিসেবে এটি আমার ভুল ছিল। যা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি। আশা করি আমরা সবাই এ থেকে শিক্ষা নেব। ’

রবিবার, ১৪ জুন ২০২০ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৭, ২১ শাওয়াল ১৪৪

ট্রাম্পের সঙ্গে চার্চে যাওয়ায় ক্ষমা চাইলেন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল

সংবাদ ডেস্ক |

যুক্তরাষ্ট্রে উত্তাল বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভে প্রতিবাদকারীদের বলপ্রয়োগ করে হটিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজসংলগ্ন একটি চার্চে হেঁটে যাওয়াটা ভুল হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে দেশটিতে চলমান টানা ৮তম (১ জুন) বিক্ষোভের দিনে সোমবার সেন্ট জন্স এপিসকোপল চার্চ পরিদর্শনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যান সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মার্ক মিলি। রয়টার্স।

এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ওইদিন (সোমবার) কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে জড়ো হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে চার্চে ফটোশুট করতে যান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগের দিন রোববার বিক্ষোভকারীদের আগুনে পুড়ে যায় চার্চটি। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে ভিডিও রেকর্ডিংয়ে দেয়া ভাষণে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি ওই মুহূর্তে তেমন পরিবেশে তার থাকা উচিত ছিল না বলে জানান। তিনি বলেন, ‘১ জুনের ওই ঘটনা ছিল অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর নাক গলানোর মতো বিষয়। আমার সেখানে থাকা উচিত হয়নি।’ ওইদিন সন্ধ্যায় (১ জুন) শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্টের জন্য রাস্তা ফাঁকা করতে তাদের ওপর রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে ন্যাশনাল গার্ডের সেনাপুলিশ, সিক্রেট সার্ভিস, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার পুলিশ ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পুলিশ। এরপরই জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সেন্ট জোনস চার্চে যান ট্রাম্প। সেখানে গিয়ে প্রার্থনা না করেই বাইবেল হাতে ছবি তোলেন তিনি।

বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে চার্চে যাওয়ার এ ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ সমালোচনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জেনারেল মার্ক মিলি বলেন, ‘একজন কমিশনপ্রাপ্ত ইউনিফর্মধারী কর্মকর্তা হিসেবে এটি আমার ভুল ছিল। যা থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি। আশা করি আমরা সবাই এ থেকে শিক্ষা নেব। ’