ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ সদস্য বরখাস্ত

প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নগদ অর্থ সহায়তা, হতদরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১ জন চেয়ারম্যান এবং ১০ জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। গতকাল পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধা ভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া এবং জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদা বেগমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ, উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও ৮নং ওয়ার্ডের মো. আবুল কালাম, মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার ৮নং নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য কাঞ্চন মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলাধীন ৪নং কুমারগাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মফিজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য রইছ উদ্দিন, জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলাধীন বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পারভীন আক্তার ও ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. লোকমান হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মোসা. মুসলেমা বেগম এবং নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলাধীন ৬নং চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইকবালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখিত সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের স্বীয়পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

আরও খবর
ধান-চাল কেনায় অনিয়ম করলে ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী
ভিসা অন-অ্যারাইভাল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে কৃষিমন্ত্রী
জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অপপ্রচারে ব্যস্ত কাদের
নির্মূল কমিটির তিন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত
২৫৯ বাংলাদেশি বিশেষ ফ্লাইটে ইতালি গেলেন
দাম কম, বিক্রি নিয়ে বিপাকে পাহাড়ের কৃষকরা
তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যানের ৫১ আত্মীয়র নাম
রংপুরে ট্রাকসহ ব্রিজ ধসে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
৭১ শতাংশ হাসপাতালে করোনা সুরক্ষা নেই রিজভী
পাহাড় ধসের আশঙ্কা সচেতনতায় মাইকিং
আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : পাল্টাপাল্টি মামলা
শত কোটি টাকার পাথর নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা
লকডাউন ঘোষণার আগেই ব্যাংক কার্যক্রম বন্ধ

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

চাল আত্মসাতের অভিযোগ

ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ সদস্য বরখাস্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নগদ অর্থ সহায়তা, হতদরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১ জন চেয়ারম্যান এবং ১০ জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। গতকাল পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধা ভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া এবং জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদা বেগমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ, উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও ৮নং ওয়ার্ডের মো. আবুল কালাম, মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার ৮নং নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য কাঞ্চন মিয়া, ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলাধীন ৪নং কুমারগাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মফিজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য রইছ উদ্দিন, জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলাধীন বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পারভীন আক্তার ও ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. লোকমান হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মোসা. মুসলেমা বেগম এবং নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলাধীন ৬নং চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইকবালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখিত সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের স্বীয়পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।