আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : পাল্টাপাল্টি মামলা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার ১২ দিন পর পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে।

এসব মামলায় সাবেক মন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস, তার ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস এবং বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরমান হোসেনসহ জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলে প্রায় ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গতকাল মামলা দুটি দায়ের করা হয়। তদন্ত চলছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিলম্বে মামলা দায়েরের প্রসঙ্গে ওসি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক সরকার বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস, তার ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস, ভাতিজা নান্নু বিশ্বাসসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ১২০ থেকে ১৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে, সাবেক মন্ত্রীর ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরমান হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াদ আহম্মেদসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জোকনালা গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী শিক্ষিকা উম্মে জহুরার একটি পরিত্যক্ত পুকুর নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলছে। বিষয়টি নিয়ে ৬ জুন বিকেলে জোকনালা বাজারে সালিস ডাকা হয়। নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা খানেক আগেই রফিকুল ইসলামের পক্ষে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন সেখানে হাজির হন। সালিস শুরুতে বিলম্ব হওয়ায় তারা প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পথে সগুনা চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে শিক্ষিকার পক্ষে তার নিকট আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান লাজুক বিশ্বাসের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ও ট্রাকে যাবার পথে ২ শতাধিক লোকজন সেখানে মুখোমুখি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে লাজুক বিশ্বাসের পক্ষের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন এবং তার পেটে খুর দিয়ে জখম করা হয়। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। অপরপক্ষে, যুবলীগ নেতা রেজা গ্রুপের যুবলীগের কর্মী নাজমুলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত : ৪০টি মোটরসাইকেল, একটি মাইক্রোবাস ও ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছিলেন।

আরও খবর
ধান-চাল কেনায় অনিয়ম করলে ব্যবস্থা : খাদ্যমন্ত্রী
ভিসা অন-অ্যারাইভাল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
খাদ্য উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে কৃষিমন্ত্রী
জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি অপপ্রচারে ব্যস্ত কাদের
নির্মূল কমিটির তিন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত
২৫৯ বাংলাদেশি বিশেষ ফ্লাইটে ইতালি গেলেন
দাম কম, বিক্রি নিয়ে বিপাকে পাহাড়ের কৃষকরা
তালিকায় ইউপি চেয়ারম্যানের ৫১ আত্মীয়র নাম
রংপুরে ট্রাকসহ ব্রিজ ধসে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ
৭১ শতাংশ হাসপাতালে করোনা সুরক্ষা নেই রিজভী
ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১ সদস্য বরখাস্ত
পাহাড় ধসের আশঙ্কা সচেতনতায় মাইকিং
শত কোটি টাকার পাথর নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা
লকডাউন ঘোষণার আগেই ব্যাংক কার্যক্রম বন্ধ

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ , ৪ আষাঢ় ১৪২৭, ২৫ শাওয়াল ১৪৪১

সিরাজগঞ্জ

আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : পাল্টাপাল্টি মামলা

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনার ১২ দিন পর পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা হয়েছে।

এসব মামলায় সাবেক মন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস, তার ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস এবং বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরমান হোসেনসহ জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলে প্রায় ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, গতকাল মামলা দুটি দায়ের করা হয়। তদন্ত চলছে, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিলম্বে মামলা দায়েরের প্রসঙ্গে ওসি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক সরকার বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস, তার ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস, ভাতিজা নান্নু বিশ্বাসসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ১২০ থেকে ১৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

অপরদিকে, সাবেক মন্ত্রীর ছেলে দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশিকুর লাজুক বিশ্বাস বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় বেলকুচি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরমান হোসেন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াদ আহম্মেদসহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জোকনালা গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী শিক্ষিকা উম্মে জহুরার একটি পরিত্যক্ত পুকুর নিয়ে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলছে। বিষয়টি নিয়ে ৬ জুন বিকেলে জোকনালা বাজারে সালিস ডাকা হয়। নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা খানেক আগেই রফিকুল ইসলামের পক্ষে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন সেখানে হাজির হন। সালিস শুরুতে বিলম্ব হওয়ায় তারা প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পথে সগুনা চৌরাস্তা মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে শিক্ষিকার পক্ষে তার নিকট আত্মীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান লাজুক বিশ্বাসের নেতৃত্বে মোটরসাইকেল ও ট্রাকে যাবার পথে ২ শতাধিক লোকজন সেখানে মুখোমুখি হয়। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে লাজুক বিশ্বাসের পক্ষের উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ গুলিবিদ্ধ হন এবং তার পেটে খুর দিয়ে জখম করা হয়। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। অপরপক্ষে, যুবলীগ নেতা রেজা গ্রুপের যুবলীগের কর্মী নাজমুলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত : ৪০টি মোটরসাইকেল, একটি মাইক্রোবাস ও ট্রাক ভাঙচুর করা হয়। পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ বিশ্বাস ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনার পর উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করেছিলেন।