করোনাতে থেমে নেই খুরশীদ আলম

খুরশীদ আলমের কন্ঠে শত শত জনপ্রিয় গানে এই দেশের সঙ্গীতাঙ্গন সমৃদ্ধ হয়েছে। এখনো তিনি নিয়মিতই গান গেয়ে চলেছেন। দেশের কোটি কোটি গানপ্রেমী মানুষ এখনো তার গান শোনেন, কোথাও দেখা হলেও আবেগাপ্লুত হয়ে কথা বলেন, এটাই তার বড় প্রাপ্তি বলে জানালেন। গেলো জুলাই মাসে তিনি চ্যানেল আইয়ে’র একটি সরাসরি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে করোনার মধ্যেই কাজে ফিরেন। গতকাল তিনি চ্যানেল আইয়েরই ‘গান দিয়ে শুরু’তে গান গেয়েছেন। আবার আগামী ২৬ আগস্ট খুরশীদ আলম বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘আমার যতো গান’ অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং-এ অংশ নেবেন। চলতি মাসেই তরুণ গীতিকার অধরা জাহানের কথায় একটি গান গাওয়ারও কথা রয়েছে খুরশীদ আলমের। এদিকে এর আগেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের মেম্বার হয়েছিলেন খুরশীদ আলম। ২০১৯’র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেরও জুরি বোর্ডের মেম্বার হয়েছেন তিনি। খুরশীদ আলম বলেন,‘ জীবনের শুরুতে গান গাওয়া নিয়ে অনেক রাজনীতির শিকার হয়েছি আমি। উত্তরবঙ্গের সন্তান বিধায় আমাকে তিনবার বিটিভিতে অডিশন দিতে হয়েছে। দেশের কোটি কোটি গানপ্রেমী মানুষ আমাকে, আমার গানকে ভালোবাসেন এটাই আমার বড়প্রাপ্তি। আর এর আগেও আমি জুরি বোর্ডের মেম্বার হয়েছিলাম, আমি আমার অবস্থানে সর্বোচ্চ সৎ থেকেই বিচারকার্য করি। কারণ আমি বিশ^াস করি বিচারকার্য নিয়ে গাদ্দারি করলে এর প্রায়শ্চিত্ত অবশ্যই করতে হয়।’ উল্লেখ্য ১৯৬৭ সালে বেতারে গান গাওয়ার সুযোগও হলো খুরশীদ আলমের। ১৯৬৭ সালে আজাদ রহমানের সুরে জেবুন্নেসা জামানের লেখা ‘চঞ্চল দু’নয়ন’ ও কবি সিরাজুল ইসলামের ‘তোমার দু’হাত ছুঁয়ে শপথ নিলাম’ দুটি গান বেতারের জন্য রেকর্ড করা হয়। গান দুটি প্রচারের পর পুরো পাকিস্তানে হৈ চৈ পড়ে যায়। এরপর পরই সুযোগ মিললো বাবুল চৌধুরীর নির্দেশনায় ‘আগন্তÍুক’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার। আজাদ রহমানের সুরে তারই খুরশীদ আলমের চাচার লেখা ‘বন্দী পাখির মতো মনটা কেঁদে মরে’ গানটি গান। এই গান নায়ক রাজ রাজ্জাকের লিপে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায়। এরপর এহতেশামের ‘পীচঢালা পথ’ ই আর খানের ‘সাধারণ মেয়ে’ চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাক করেন খুরশীদ আলম। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি খুরশীদ আলমকে।

বুধবার, ১৯ আগস্ট ২০২০ , ২৮ জিলহজ ১৪৪১, ০৪ ভাদ্র ১৪২৭

করোনাতে থেমে নেই খুরশীদ আলম

বিনোদন প্রতিবেদক |

image

খুরশীদ আলমের কন্ঠে শত শত জনপ্রিয় গানে এই দেশের সঙ্গীতাঙ্গন সমৃদ্ধ হয়েছে। এখনো তিনি নিয়মিতই গান গেয়ে চলেছেন। দেশের কোটি কোটি গানপ্রেমী মানুষ এখনো তার গান শোনেন, কোথাও দেখা হলেও আবেগাপ্লুত হয়ে কথা বলেন, এটাই তার বড় প্রাপ্তি বলে জানালেন। গেলো জুলাই মাসে তিনি চ্যানেল আইয়ে’র একটি সরাসরি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে করোনার মধ্যেই কাজে ফিরেন। গতকাল তিনি চ্যানেল আইয়েরই ‘গান দিয়ে শুরু’তে গান গেয়েছেন। আবার আগামী ২৬ আগস্ট খুরশীদ আলম বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘আমার যতো গান’ অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং-এ অংশ নেবেন। চলতি মাসেই তরুণ গীতিকার অধরা জাহানের কথায় একটি গান গাওয়ারও কথা রয়েছে খুরশীদ আলমের। এদিকে এর আগেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ডের মেম্বার হয়েছিলেন খুরশীদ আলম। ২০১৯’র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেরও জুরি বোর্ডের মেম্বার হয়েছেন তিনি। খুরশীদ আলম বলেন,‘ জীবনের শুরুতে গান গাওয়া নিয়ে অনেক রাজনীতির শিকার হয়েছি আমি। উত্তরবঙ্গের সন্তান বিধায় আমাকে তিনবার বিটিভিতে অডিশন দিতে হয়েছে। দেশের কোটি কোটি গানপ্রেমী মানুষ আমাকে, আমার গানকে ভালোবাসেন এটাই আমার বড়প্রাপ্তি। আর এর আগেও আমি জুরি বোর্ডের মেম্বার হয়েছিলাম, আমি আমার অবস্থানে সর্বোচ্চ সৎ থেকেই বিচারকার্য করি। কারণ আমি বিশ^াস করি বিচারকার্য নিয়ে গাদ্দারি করলে এর প্রায়শ্চিত্ত অবশ্যই করতে হয়।’ উল্লেখ্য ১৯৬৭ সালে বেতারে গান গাওয়ার সুযোগও হলো খুরশীদ আলমের। ১৯৬৭ সালে আজাদ রহমানের সুরে জেবুন্নেসা জামানের লেখা ‘চঞ্চল দু’নয়ন’ ও কবি সিরাজুল ইসলামের ‘তোমার দু’হাত ছুঁয়ে শপথ নিলাম’ দুটি গান বেতারের জন্য রেকর্ড করা হয়। গান দুটি প্রচারের পর পুরো পাকিস্তানে হৈ চৈ পড়ে যায়। এরপর পরই সুযোগ মিললো বাবুল চৌধুরীর নির্দেশনায় ‘আগন্তÍুক’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করার। আজাদ রহমানের সুরে তারই খুরশীদ আলমের চাচার লেখা ‘বন্দী পাখির মতো মনটা কেঁদে মরে’ গানটি গান। এই গান নায়ক রাজ রাজ্জাকের লিপে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পায়। এরপর এহতেশামের ‘পীচঢালা পথ’ ই আর খানের ‘সাধারণ মেয়ে’ চলচ্চিত্রে প্লে ব্যাক করেন খুরশীদ আলম। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি খুরশীদ আলমকে।