ঈদ-উল-আজহার আগে সরকারের বরাদ্দ দেয়া ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল জোটেনি সৈয়দপুরের কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ৪শ’ গরিব পরিবারের ভাগ্যে। ভুয়া ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করে এসব চাল আত্মসাত করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ওই ইউনিয়নের ৯ হাজার ৯শ’ ৯৮টি কার্ডের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯৯ হাজার ৯শ’ ৮০ মেট্রিক টন চাল। প্রতিটি কার্ডের অনুকূলে ১০ কেজি করে বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেরই ভাগ্যে জুটেনি এ চাল। গত ঈদে ত্রাণ বঞ্চিতদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সৈয়দপুরের কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছচারিতার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলেও এখনও নেয়া হয়নি আইনী পদক্ষেপ। জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বরাদ্দ দেয়া চাল ২৭ জুলাই ও ২৮ জুলাই সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী খেয়াল খুশিমতো সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৩০ জুলাই বিতরণ শুরু করেন। এ সময় অধিকাংশ কার্ডধারী ছিল অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং একই কার্ডধারী একাধিক কার্ড নিয়ে চাল নিতে আসেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ কার্ডধারী প্রকৃত ভোক্তা নয়। সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে আমন মানের চাল সরবরাহ করা হলেও কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হয় নিম্নœমানের চাল। মানসম্মত চাল পরিবর্তন করে নিম্নœমানের চাল বিতরণ করার সময় বিক্ষুব্ধ ভোক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, মৃত ব্যক্তির নাম, পাশর্^বর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দা, একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার, একই ব্যক্তির কখনও স্বামী, আবার কখনও তার বাবার নাম লিখিয়ে এবং একই ব্যক্তির নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দেখিয়ে তালিকাভুক্ত করে তাদের নামে চাল বিতরণ দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ২০ মহররম ১৪৪২, ২২ ভাদ্র ১৪২৭
জেলা বার্তা পরিবেশক, নীলফামারী
ঈদ-উল-আজহার আগে সরকারের বরাদ্দ দেয়া ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল জোটেনি সৈয়দপুরের কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ৪শ’ গরিব পরিবারের ভাগ্যে। ভুয়া ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করে এসব চাল আত্মসাত করা হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ওই ইউনিয়নের ৯ হাজার ৯শ’ ৯৮টি কার্ডের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হয় ৯৯ হাজার ৯শ’ ৮০ মেট্রিক টন চাল। প্রতিটি কার্ডের অনুকূলে ১০ কেজি করে বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেরই ভাগ্যে জুটেনি এ চাল। গত ঈদে ত্রাণ বঞ্চিতদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সৈয়দপুরের কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছচারিতার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলেও এখনও নেয়া হয়নি আইনী পদক্ষেপ। জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বরাদ্দ দেয়া চাল ২৭ জুলাই ও ২৮ জুলাই সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী খেয়াল খুশিমতো সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৩০ জুলাই বিতরণ শুরু করেন। এ সময় অধিকাংশ কার্ডধারী ছিল অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং একই কার্ডধারী একাধিক কার্ড নিয়ে চাল নিতে আসেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ কার্ডধারী প্রকৃত ভোক্তা নয়। সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে আমন মানের চাল সরবরাহ করা হলেও কার্ডধারীদের মাঝে বিতরণ করা হয় নিম্নœমানের চাল। মানসম্মত চাল পরিবর্তন করে নিম্নœমানের চাল বিতরণ করার সময় বিক্ষুব্ধ ভোক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, মৃত ব্যক্তির নাম, পাশর্^বর্তী ইউনিয়নের বাসিন্দা, একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার, একই ব্যক্তির কখনও স্বামী, আবার কখনও তার বাবার নাম লিখিয়ে এবং একই ব্যক্তির নাম দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানা দেখিয়ে তালিকাভুক্ত করে তাদের নামে চাল বিতরণ দেখানো হয়েছে।