ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

ঢাকাসহ সারাদেশে কয়েক দিন ধরে ভ্যাপসা গরমে চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাতাসের উষ্ণতাও অত্যধিক হওয়ায় অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। তীব্র গরমে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। কয়েকদিন ধরে গরম বেড়েছে যা অব্যাহত রয়েছে। আগামী দু’দিনও তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্য ডোবার পরও তাপমাত্রা কমছে না, শীতল হচ্ছে না চারপাশ। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং।

আবহাওয়া অধিদফতরের রেকর্ড অনুযায়ী, গতকাল বগুড়া ও রংপুরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। আর উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

ভ্যাপসা গরমের ফলে জমে উঠেছে ডাব, আখ ও বেলের শরবত বিকিকিনি। তবে অতিরিক্ত গরমে রাস্তার ধারের শরবত, আখের রস বা লেবুর সরবত খেয়েও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। গরমে তাদের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

রাজধানীতে তীব্র গরমে রিকশা চালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক রিকশাওয়ালা। বহু ভবনের ছায়ায় বা কোনো গাছতলায় সুযোগ পেয়ে জিরিয়ে নিচ্ছে তারা। আবার রাস্তায় রিকশার সংখ্যা কমে গেছে। কোথাও কোথাও রিকশা থাকলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম। অসহ্য গরমের কারণে রিকশা চালাতে না পারায় তাদের আয়ও কমে গেছে। তীব্র গরমের মধ্যে রাসস্তায় জ্যামে পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের। অনেক যাত্রী জ্যামে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান না করে বাস থেকে নেমে গেছেন। বিশেষ করে মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, ফার্মগেট, শ্যামলী, গাবতলীসহ অসম্ভব যানজটে পড়ে অতিষ্ঠ হয়েছেন যাত্রীরা। গরম যত বাড়ছে রাস্তার ধারে বিভিন্ন ঠা-া শরবতের দোকানে ভিড় ততই বাড়ছে। এই অসহ্য গরমে একটু নিজের গলাকে ভিজিয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন অনেকে।

এ ছাড়া বস্তি বা কম ভাড়ার টিনের বাসায় বসবাস করা মানুষেরা ঘর ছেড়ে বাইরে কোন কিছুর ছায়ায় পাখা হাতে নিয়ে বসে থাকার দৃশ্যও চোখে পড়েছে। দাম ও বিক্রি বেড়েছে হাত পাখার। গত ২-৩ দিন আগে যে হাত পাখা ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে গতকাল তা ২৫-৩০ টাকায়ও পাওয়া যায়নি। বিক্রি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে বিভিন্ন ফ্যান ও এসির। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, গতকাল সন্ধ্যায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হলেও ভ্যাপসা গরম দূর হয়নি। ঢাকায় আবহাওয়া তাপমাত্র ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সবচেয়ে বেশি তাপমাত্র ছিল রংপুরে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও খবর
১৩ কর্মকর্তা দিয়ে চলছে বিস্ফোরক পরিদফতর
ওয়াসার এমডি পদে বিতর্কিতদের পুনর্নিয়োগ না দেয়ার আহ্বান ক্যাবের
শীতে করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে তাই প্রস্তুতি নিন : প্রধানমন্ত্রী
করোনায় একদিনে আরও ২৬ মৃত্যু শনাক্ত ১৫৪৪
করোনা সন্দেহে কেউ এগিয়ে এলো না, রাস্তায় মৃত্যু হলো মুয়াজ্জিনের
ইউএনও ওয়াহিদার উপর হামলার দায় স্বীকার রবিউলের
সাবেক ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ
এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে ২০ হাজার মে. টন পিয়াজ
ভারত থেকে আসা অধিকাংশ পিয়াজই পচে গেছে
সাহেদের অস্ত্র মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর
অঢেল সম্পদের মালিক স্বাস্থ্যের ড্রাইভার গ্রেফতার

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ০১ মহররম ১৪৪২, ০৩ আশ্বিন ১৪২৭

ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

ঢাকাসহ সারাদেশে কয়েক দিন ধরে ভ্যাপসা গরমে চরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাতাসের উষ্ণতাও অত্যধিক হওয়ায় অসহ্য গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। তীব্র গরমে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। কয়েকদিন ধরে গরম বেড়েছে যা অব্যাহত রয়েছে। আগামী দু’দিনও তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্য ডোবার পরও তাপমাত্রা কমছে না, শীতল হচ্ছে না চারপাশ। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে লোডশেডিং।

আবহাওয়া অধিদফতরের রেকর্ড অনুযায়ী, গতকাল বগুড়া ও রংপুরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ঢাকায় ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের পারদ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। আর উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।

ভ্যাপসা গরমের ফলে জমে উঠেছে ডাব, আখ ও বেলের শরবত বিকিকিনি। তবে অতিরিক্ত গরমে রাস্তার ধারের শরবত, আখের রস বা লেবুর সরবত খেয়েও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। গরমে তাদের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

রাজধানীতে তীব্র গরমে রিকশা চালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক রিকশাওয়ালা। বহু ভবনের ছায়ায় বা কোনো গাছতলায় সুযোগ পেয়ে জিরিয়ে নিচ্ছে তারা। আবার রাস্তায় রিকশার সংখ্যা কমে গেছে। কোথাও কোথাও রিকশা থাকলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল কম। অসহ্য গরমের কারণে রিকশা চালাতে না পারায় তাদের আয়ও কমে গেছে। তীব্র গরমের মধ্যে রাসস্তায় জ্যামে পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের। অনেক যাত্রী জ্যামে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান না করে বাস থেকে নেমে গেছেন। বিশেষ করে মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, ফার্মগেট, শ্যামলী, গাবতলীসহ অসম্ভব যানজটে পড়ে অতিষ্ঠ হয়েছেন যাত্রীরা। গরম যত বাড়ছে রাস্তার ধারে বিভিন্ন ঠা-া শরবতের দোকানে ভিড় ততই বাড়ছে। এই অসহ্য গরমে একটু নিজের গলাকে ভিজিয়ে নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন অনেকে।

এ ছাড়া বস্তি বা কম ভাড়ার টিনের বাসায় বসবাস করা মানুষেরা ঘর ছেড়ে বাইরে কোন কিছুর ছায়ায় পাখা হাতে নিয়ে বসে থাকার দৃশ্যও চোখে পড়েছে। দাম ও বিক্রি বেড়েছে হাত পাখার। গত ২-৩ দিন আগে যে হাত পাখা ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে গতকাল তা ২৫-৩০ টাকায়ও পাওয়া যায়নি। বিক্রি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে বিভিন্ন ফ্যান ও এসির। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, গতকাল সন্ধ্যায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাত হলেও ভ্যাপসা গরম দূর হয়নি। ঢাকায় আবহাওয়া তাপমাত্র ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সবচেয়ে বেশি তাপমাত্র ছিল রংপুরে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।