দেশে প্রথম ই-পোর্ট সেবা চালু হলো বুড়িমারীতে

দেশের প্রথম ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর আওতায় এলো বুড়িমারী স্থলবন্দর। এর আগে সমুদ্রবন্দর এবং স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা চালু হলেও ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট-এর কার্যক্রম বুড়িমারীতেই শুরু হলো। গতকাল স্থলবন্দরের নতুন এই গতিশীল সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন কর হয়। আধুনিক এই পদ্ধতিতে বছরে ৭০ লাখ মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে।

ই-পোর্ট পদ্ধতিতে পণ্যবাহী ভারতীয় গাড়ি বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের তথ্য এবং পণ্যের ওজনের তথ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এসএমএস এবং ই-মেইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আমদানিকারকের কাছে পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় বিলিং, পণ্যের পোস্টিং, বন্দরের গেটপাস, অনলাইন ডেলিভারি, অনলাইন মনিটরিং ও রিপোর্ট (ড্যাশবোর্ড), অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা, আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ভারতীয় গাড়িচালকের সব তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা থাকবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ডিজিটাল সেবা পেয়ে দেশের ১৬ কোটি মানুষ গর্বিত। শ্রমিক-কৃষক থেকে সবাই সেবা পাচ্ছি। ডিজিটাল এ সেবা না থাকলে সমগ্র বিশ্ব থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডিজিটাল সেবায় নিয়ে গেছেন। আমরা চলতে চলতে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে কাজ করতে পারি। এ ডিজিটাল সেবার স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার সরাসরি নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দর আরও গতিশীল হবে, স্বচ্ছতা আসবে, হয়রানি কমে যাবে এবং সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে আমরা সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টির মধ্যে আছি। দেশ কিভাবে এগিয়ে যেতে পারে- শেখ হাসিনা একটি রোল মডেল’ হিসেবে কাজ করছেন। তার সার্বিক দিকনির্দেশনায় আমাদের কাক্সিক্ষত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হব।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১২টি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করছে বুড়িমারী স্থলবন্দর। স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেবা সহজীকরণ ও ই-সার্ভিসের আওতায় ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যার লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে স্থলবন্দরের বিদ্যমান সব সেবা অনলাইন সেবার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রপ্তানিকারক এতে উপকৃত হবেন ও সেবা গ্রহীতাদের সময় এবং খরচ কমবে এবং স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি প্রসার বৃদ্ধি পাবে।

‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক টেস্টিং এবং ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে হোস্টিং-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত থাকবে। সেবা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ১৬টি জনবান্ধব সেবা প্রদান করা হচ্ছে এবং এই সিস্টেমটি থেকে বছরে প্রায় ৭০ লাখ জনগণ সেবা পাবে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কেএম. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আবদুুল মান্নান, আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সওদাগর, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (রাসেল) প্রমুখ।

মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২০ , ১৪ পৌষ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২

দেশে প্রথম ই-পোর্ট সেবা চালু হলো বুড়িমারীতে

মনিরুজ্জামান সরকার, লালমনিরহাট

দেশের প্রথম ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর আওতায় এলো বুড়িমারী স্থলবন্দর। এর আগে সমুদ্রবন্দর এবং স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা চালু হলেও ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট-এর কার্যক্রম বুড়িমারীতেই শুরু হলো। গতকাল স্থলবন্দরের নতুন এই গতিশীল সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন কর হয়। আধুনিক এই পদ্ধতিতে বছরে ৭০ লাখ মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে।

ই-পোর্ট পদ্ধতিতে পণ্যবাহী ভারতীয় গাড়ি বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের তথ্য এবং পণ্যের ওজনের তথ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এসএমএস এবং ই-মেইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আমদানিকারকের কাছে পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় বিলিং, পণ্যের পোস্টিং, বন্দরের গেটপাস, অনলাইন ডেলিভারি, অনলাইন মনিটরিং ও রিপোর্ট (ড্যাশবোর্ড), অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা, আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ভারতীয় গাড়িচালকের সব তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা থাকবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, ডিজিটাল সেবা পেয়ে দেশের ১৬ কোটি মানুষ গর্বিত। শ্রমিক-কৃষক থেকে সবাই সেবা পাচ্ছি। ডিজিটাল এ সেবা না থাকলে সমগ্র বিশ্ব থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ডিজিটাল সেবায় নিয়ে গেছেন। আমরা চলতে চলতে ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে কাজ করতে পারি। এ ডিজিটাল সেবার স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টার সরাসরি নির্দেশনায় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দর আরও গতিশীল হবে, স্বচ্ছতা আসবে, হয়রানি কমে যাবে এবং সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে আমরা সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টির মধ্যে আছি। দেশ কিভাবে এগিয়ে যেতে পারে- শেখ হাসিনা একটি রোল মডেল’ হিসেবে কাজ করছেন। তার সার্বিক দিকনির্দেশনায় আমাদের কাক্সিক্ষত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হব।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১২টি স্থলবন্দরের কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায় করছে বুড়িমারী স্থলবন্দর। স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেবা সহজীকরণ ও ই-সার্ভিসের আওতায় ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যার লালমনিরহাট জেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে স্থলবন্দরের বিদ্যমান সব সেবা অনলাইন সেবার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রপ্তানিকারক এতে উপকৃত হবেন ও সেবা গ্রহীতাদের সময় এবং খরচ কমবে এবং স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি প্রসার বৃদ্ধি পাবে।

‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমটি বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক টেস্টিং এবং ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারে হোস্টিং-এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে তথ্যের নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত থাকবে। সেবা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরের ১৬টি জনবান্ধব সেবা প্রদান করা হচ্ছে এবং এই সিস্টেমটি থেকে বছরে প্রায় ৭০ লাখ জনগণ সেবা পাবে।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কেএম. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আবদুুল মান্নান, আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সওদাগর, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (রাসেল) প্রমুখ।