জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ বর্তমান সরকারের অঙ্গীকারের আলোকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাস্তুহারা ২৫ গৃহহীন পাচ্ছেন নতুন ঘর। ‘আশ্রয়ণের অধিকার- শেখ হাসিনার উপহার’ ‘শেখ হাসিনার অবদান-গৃহহীনের বাসস্থান’ এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাঁশখালী গুচ্ছগ্রাম ২য় পর্যায়ে (সিডিআরপি) প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণীর জন্য ৩,০৬৫টি পরিবারের জন্য প্রতি পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দ্যোবস্ত প্রদানপূর্বক (দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা) ঘর প্রদান করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীর পৌরসভাস্থ ৬নং ওয়ার্ডের দীঘিপাড় এলাকার গুচ্ছগ্রামে সরকারিভাবে ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একটি করে ঘর দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে পরিবহন খরচসহ মোট ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
গত শনিবার এ বিষয়ে জানতে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীতে আগামী ২০ জানুয়ারি ২৫টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহ হস্তান্তর করা হবে।’ বাঁশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় যাদের জমিও নেই, ঘরও নেই এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গৃহে ইটের দেওয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙ্গিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শয়ন কক্ষসহ একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। কাজের মান যথাযথ আছে কিনা তা যাচাই বাছাই করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তা নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছেন। এ গৃহ নির্মাণের ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাঁশখালীতে ২৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
‘আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে বাঁশখালীতে ৪২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সরকারি খাস জমিতে ২৫টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা করে। অন্য যেকোন প্রকল্পের চাইতে গরিবদের মাঝে গৃহ নির্মাণ বরাদ্দ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গরিব অসহায় পরিবারের লোকজন উপকৃত হবে বলে তিনি জানান।’ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এ ২৫টি গৃহ আগামী ২০ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহ হস্তান্তর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তারই লক্ষ্যে সকল কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।’
সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ বর্তমান সরকারের অঙ্গীকারের আলোকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাস্তুহারা ২৫ গৃহহীন পাচ্ছেন নতুন ঘর। ‘আশ্রয়ণের অধিকার- শেখ হাসিনার উপহার’ ‘শেখ হাসিনার অবদান-গৃহহীনের বাসস্থান’ এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাঁশখালী গুচ্ছগ্রাম ২য় পর্যায়ে (সিডিআরপি) প্রকল্পের অধীনে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন অর্থাৎ ‘ক’ শ্রেণীর জন্য ৩,০৬৫টি পরিবারের জন্য প্রতি পরিবারকে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দ্যোবস্ত প্রদানপূর্বক (দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা) ঘর প্রদান করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীর পৌরসভাস্থ ৬নং ওয়ার্ডের দীঘিপাড় এলাকার গুচ্ছগ্রামে সরকারিভাবে ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একটি করে ঘর দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে পরিবহন খরচসহ মোট ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
গত শনিবার এ বিষয়ে জানতে বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাঁশখালীতে আগামী ২০ জানুয়ারি ২৫টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গৃহ হস্তান্তর করা হবে।’ বাঁশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় যাদের জমিও নেই, ঘরও নেই এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি গৃহে ইটের দেওয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙ্গিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি করে শয়ন কক্ষসহ একটি রান্নাঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। কাজের মান যথাযথ আছে কিনা তা যাচাই বাছাই করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা তা নিয়মিত তদারকি করে যাচ্ছেন। এ গৃহ নির্মাণের ব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম মিয়াজী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে বাঁশখালীতে ২৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
‘আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে বাঁশখালীতে ৪২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সরকারি খাস জমিতে ২৫টি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ রয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা করে। অন্য যেকোন প্রকল্পের চাইতে গরিবদের মাঝে গৃহ নির্মাণ বরাদ্দ সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গরিব অসহায় পরিবারের লোকজন উপকৃত হবে বলে তিনি জানান।’ বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, ‘মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এ ২৫টি গৃহ আগামী ২০ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহ হস্তান্তর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তারই লক্ষ্যে সকল কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।’