বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমেই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন করতে হবে

বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমেই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের সুষম আঞ্চলিক উন্নয়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ (আইসিই) সেন্টার এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে সিএমএসএমইস : জার্নি, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ফিউচার ডিরেকশন’ শীর্ষক এক অনলাইন মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আইসিই সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনরারি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

ড. মশিউর রহমান বলেন, বর্তমানে শিল্পের যে খাতগুলো প্রসারিত হচ্ছে, সেগুলোর সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে ছোট শিল্পের সংযোগ ঘটাতে হবে। নির্দিষ্টভাবে খুলনা অঞ্চলের সমস্যার সঙ্গে পোর্টের সংখ্যার একটা ব্যাপার আছে। বর্তমান বাস্তবতায় দেশের অর্থনীতির জন্য একটা পোর্টের ওপর বেশি চাপ পড়ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই সমস্যা কেটে যাবে। কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইস্যুতে এখানে সমস্যা তৈরি হয়েছে। মান পরীক্ষায় সার্টিফাইড হওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পণ্য ঢাকায় আনতে হয়। তারপর আবার ফ্যাক্টরিতে নেয়া হয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলেও সার্টিফাইড হওয়ার একই সমস্যা আছে। খুলনা অঞ্চলে সম্ভাবনাময় পাটশিল্পের প্রতি নজর দেয়া প্রয়োজন।

অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতির অন্যতম একটি হাব হিসেবে খুলনা বিভাগ তার সম্ভাবনার দ্বারকে প্রসারিত করে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। এই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমেই আর্থ-সামাজিক সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। এই খাতের জন্য আমাদের সেক্টরভিত্তিক নীতি প্রণয়নের দিকে নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি এসএমই আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান রিভাইভ প্রকল্পের কার্যাবলী তুলে ধরে বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের সিএমএসএমই খাতের বিভাগভিত্তিক যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে সেগুলোকে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিবেচনায় নিলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং কুটির শিল্প খাত দেশের অর্থনীতির চাকার গতিশীলতা বৃদ্ধিতে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে একাডেমিয়ার একটি শক্তিশালী সমন্বয় প্রয়োজন, যেটির একটি নমুনা আইসিই সেন্টারের রিভাইভ প্রকল্প উদ্যোগের মধ্যে আরও স্পষ্ট হয়েছে। করোনা সংকট সিএমএসএমই খাতকে নিয়ে ভাবার একটি সুযোগ আমাদের তৈরি করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভাবনার গভীরতার কুটির ধারাবাহিকতা রক্ষার কাজটা এখন আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন দেশের মুক্তি সংগ্রামে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে ঠিক তেমনি বর্তমান বাস্তবতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে আবার নেতৃত্ব দিতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১ , ৫ মাঘ ১৪২৭, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমেই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়ন করতে হবে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমেই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের সুষম আঞ্চলিক উন্নয়ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ (আইসিই) সেন্টার এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে সিএমএসএমইস : জার্নি, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ফিউচার ডিরেকশন’ শীর্ষক এক অনলাইন মতবিনিময় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আইসিই সেন্টারের ভাইস-চেয়ারম্যান ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনরারি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

ড. মশিউর রহমান বলেন, বর্তমানে শিল্পের যে খাতগুলো প্রসারিত হচ্ছে, সেগুলোর সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে ছোট শিল্পের সংযোগ ঘটাতে হবে। নির্দিষ্টভাবে খুলনা অঞ্চলের সমস্যার সঙ্গে পোর্টের সংখ্যার একটা ব্যাপার আছে। বর্তমান বাস্তবতায় দেশের অর্থনীতির জন্য একটা পোর্টের ওপর বেশি চাপ পড়ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই সমস্যা কেটে যাবে। কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইস্যুতে এখানে সমস্যা তৈরি হয়েছে। মান পরীক্ষায় সার্টিফাইড হওয়ার জন্য এই অঞ্চলের পণ্য ঢাকায় আনতে হয়। তারপর আবার ফ্যাক্টরিতে নেয়া হয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলেও সার্টিফাইড হওয়ার একই সমস্যা আছে। খুলনা অঞ্চলে সম্ভাবনাময় পাটশিল্পের প্রতি নজর দেয়া প্রয়োজন।

অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতির অন্যতম একটি হাব হিসেবে খুলনা বিভাগ তার সম্ভাবনার দ্বারকে প্রসারিত করে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে। এই খাতের উন্নয়নের মাধ্যমেই আর্থ-সামাজিক সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। এই খাতের জন্য আমাদের সেক্টরভিত্তিক নীতি প্রণয়নের দিকে নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি এসএমই আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

আইসিই সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মো. রাশেদুর রহমান রিভাইভ প্রকল্পের কার্যাবলী তুলে ধরে বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের সিএমএসএমই খাতের বিভাগভিত্তিক যে সমস্যাগুলো উঠে এসেছে সেগুলোকে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিবেচনায় নিলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং কুটির শিল্প খাত দেশের অর্থনীতির চাকার গতিশীলতা বৃদ্ধিতে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে একাডেমিয়ার একটি শক্তিশালী সমন্বয় প্রয়োজন, যেটির একটি নমুনা আইসিই সেন্টারের রিভাইভ প্রকল্প উদ্যোগের মধ্যে আরও স্পষ্ট হয়েছে। করোনা সংকট সিএমএসএমই খাতকে নিয়ে ভাবার একটি সুযোগ আমাদের তৈরি করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ভাবনার গভীরতার কুটির ধারাবাহিকতা রক্ষার কাজটা এখন আমাদের চালিয়ে যেতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেমন দেশের মুক্তি সংগ্রামে সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে ঠিক তেমনি বর্তমান বাস্তবতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেই অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে আবার নেতৃত্ব দিতে হবে।