কলাবাগানে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

শাহবাগে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল

প্রতিবেদন দাখিল ১১ ফেব্রুয়ারি

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াছমিন আরা এ দিন ধার্য করেন। আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে, গতকাল বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে দ্রুত বিচার কাজ নিষ্পত্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা।

আদালত সূত্র জানায়, গতকাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেছেন। আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় আসামি দিহানের ডিএনএ টেস্ট ও শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগ। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত কোন রিপোর্ট দিতে পারেনি তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত রিপোর্ট প্রদানের বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এসব রিপোর্ট পেলে দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে আদালতকে জানানো হয়।

তিনি বলেন, ঘটনার পর জব্দকৃত গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাইয়ের জন্য বিআরটিএ বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু ভিকটিমের বয়স নির্ধারণসহ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এবং বিআরটিএ’র প্রতিবেদন না পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সং/০৩) এর ১৮(১)(ক) ধারা মোতাবেক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মামলার তদন্ত কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহান নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের মাধ্যমে আসামির সঠিক নাম-ঠিকানা যাচাই করেছি। আদালতের অনুমতি ও আদেশ মোতাবেক আসামির ডোপটেস্ট রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের মাধ্যমে সম্পন্ন করে ডোপটেস্টের রিপোর্ট সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছি।

আসামি ও মামলা সংশ্লিষ্ট জব্দকৃত আলামতের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও প্রোফাইলিং করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ কর্তৃক ভিকটিমের সংগৃহীত ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের সঙ্গে পরীক্ষাসহ মতামত প্রদান ও ডিএনএ সংরক্ষণ করার আবেদন জানিয়ে সিআইডিতে আলামত প্রেরণ করেছি। একইসঙ্গে জরুরিভিত্তিতে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট সরবরাহের জন্য তাগিদ দেয়ার আবেদন করেছি। এছাড়া ভুক্তভোগীর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট জরুরিভিত্তিতে সরবরাহের জন্য ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগকেও তাগিদ দিয়ে আবেদন করেছি।

আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আসামির ডোপটেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়ে পর্যালোচনা করছি। আসামি দিহানের ডিএনএ ও ভিকটিমের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। এগুলো পেলে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

শাহবাগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারসহ দ্রুত বিচার কাজ নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছে সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধন করে। পরে তারা একটি মিছিল নিয়ে টিএসসি যান। মানববন্ধনে শিক্ষার্থী নেহা জামান জানান, ঘটনার পর একটি চক্র ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আসামির বয়স কমানোর জন্য লুকোচুরি শুরু করেছে। পুলিশও বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে সহযোগিতা করছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অর্নী জানান, রাষ্ট্র নারীর প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করায় নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে। যার কারণে দেশের প্রতিটি জায়গায় ধর্ষণ ও নারী হত্যাকাণ্ড বেড়ে গেছে। এসব ঘটনায় বিচার ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে যাচ্ছে।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসান ভূইয়া বলেন, অপরাধীকে নিষ্কৃতির চেষ্টা চালাচ্ছে। বিচার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তির কথা বলেন। একই সঙ্গে অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসায় কথিত প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাসায় গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যান মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই দিনই মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে দিহানকে একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন শিক্ষার্থীর বাবা। ঘটনার পর ৮ জানুয়ারি আসামি দিহান আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

image

কলাবাগানে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগে মানববন্ধন -সংবাদ

আরও খবর
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেডে বাংলাদেশ
ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপিকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান কাদেরের
বিএনপি টিকা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তুলছে
দক্ষিণ এশিয়ায় কেবল বাংলাদেশের জিডিপি বাড়ছে জাতিসংঘ
যুক্তরাজ্য ফেরত ২৯ প্রবাসীর করোনা শনাক্ত
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা ভয়ঙ্কর অসুবিধায় আছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে ট্যুরিস্ট ভিসা চালু শীঘ্রই দোরাইস্বামী
বিচারের দীর্ঘ সূত্রতায় হতাশা
নৌকার প্রার্থী প্রত্যাখ্যান আ’লীগ ও ১৪ দল নেতাদের
বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা
গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট
শাবি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
রোহিঙ্গা শিবিরে দু’পক্ষের গুলি বিনিময়, নিহত ১
শাকিলের ফাঁদে প্রাণ হারান ব্যবসায়ী হামিদুল

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কলাবাগানে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

শাহবাগে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল

প্রতিবেদন দাখিল ১১ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

কলাবাগানে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে শাহবাগে মানববন্ধন -সংবাদ

রাজধানীর কলাবাগানে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াছমিন আরা এ দিন ধার্য করেন। আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে, গতকাল বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারসহ হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে দ্রুত বিচার কাজ নিষ্পত্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা।

আদালত সূত্র জানায়, গতকাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেছেন। আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় আসামি দিহানের ডিএনএ টেস্ট ও শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য নমুনা নিয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগ। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত কোন রিপোর্ট দিতে পারেনি তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত রিপোর্ট প্রদানের বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এসব রিপোর্ট পেলে দ্রুত অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলে আদালতকে জানানো হয়।

তিনি বলেন, ঘটনার পর জব্দকৃত গাড়ির সঠিক মালিকানা যাচাইয়ের জন্য বিআরটিএ বরাবর আবেদন করেছি। কিন্তু ভিকটিমের বয়স নির্ধারণসহ ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট এবং বিআরটিএ’র প্রতিবেদন না পাওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সং/০৩) এর ১৮(১)(ক) ধারা মোতাবেক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মামলার তদন্ত কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতকে জানান, আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহান নিজের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের মাধ্যমে আসামির সঠিক নাম-ঠিকানা যাচাই করেছি। আদালতের অনুমতি ও আদেশ মোতাবেক আসামির ডোপটেস্ট রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের মাধ্যমে সম্পন্ন করে ডোপটেস্টের রিপোর্ট সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছি।

আসামি ও মামলা সংশ্লিষ্ট জব্দকৃত আলামতের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও প্রোফাইলিং করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ কর্তৃক ভিকটিমের সংগৃহীত ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের সঙ্গে পরীক্ষাসহ মতামত প্রদান ও ডিএনএ সংরক্ষণ করার আবেদন জানিয়ে সিআইডিতে আলামত প্রেরণ করেছি। একইসঙ্গে জরুরিভিত্তিতে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট সরবরাহের জন্য তাগিদ দেয়ার আবেদন করেছি। এছাড়া ভুক্তভোগীর ময়নাতদন্ত রিপোর্ট জরুরিভিত্তিতে সরবরাহের জন্য ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগকেও তাগিদ দিয়ে আবেদন করেছি।

আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, মামলাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে আসামির ডোপটেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়ে পর্যালোচনা করছি। আসামি দিহানের ডিএনএ ও ভিকটিমের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। এগুলো পেলে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

শাহবাগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তারসহ দ্রুত বিচার কাজ নিষ্পত্তির দাবি জানিয়েছে সহপাঠী ও শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এ মানববন্ধন করে। পরে তারা একটি মিছিল নিয়ে টিএসসি যান। মানববন্ধনে শিক্ষার্থী নেহা জামান জানান, ঘটনার পর একটি চক্র ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আসামির বয়স কমানোর জন্য লুকোচুরি শুরু করেছে। পুলিশও বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারকে সহযোগিতা করছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অর্নী জানান, রাষ্ট্র নারীর প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করায় নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে। যার কারণে দেশের প্রতিটি জায়গায় ধর্ষণ ও নারী হত্যাকাণ্ড বেড়ে গেছে। এসব ঘটনায় বিচার ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে যাচ্ছে।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসান ভূইয়া বলেন, অপরাধীকে নিষ্কৃতির চেষ্টা চালাচ্ছে। বিচার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত শাস্তির কথা বলেন। একই সঙ্গে অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি রাজধানীর কলাবাগানের একটি বাসায় কথিত প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানের বাসায় গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যান মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই দিনই মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে দিহানকে একমাত্র আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন শিক্ষার্থীর বাবা। ঘটনার পর ৮ জানুয়ারি আসামি দিহান আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।