বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকদিনের প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় যখন দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিরা শীতে কষ্ট ভোগ করছে তখন নিজ বেতনের জমানো অর্থ দিয়ে কিছুটা উষ্ণতা দিতে শীতার্ত মানুষের পাশে কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিনুর রহমান।
তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশের সরকারি গাড়িতে এসব কম্বল বহন করে বিতরণ করছেন। কাজের ফাঁকে পথে থাকা দুস্থদের গায়ে কম্বল তুলে দিচ্ছেন। শীতবস্ত্রসহ ওসিকে কাছে পেয়ে আনন্দিত অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।
তেঁতুলিয়া গ্রামের ভিক্ষুক আবিয়া বলেন, শীতে খুব কষ্ট। ওসি স্যার হামাক কম্বল দিছে; হামি খুশি। শুধু কম্বল বিতরণ নয়, উপজেলার কোন মানুষের ভোগান্তির কথা শুনলে ছুটে যান তিনি। পাশে বসে দেন শান্তনা; সাধ্যমতো করেন সহযোগিতা। তাছাড়া দুর্ঘটনা বা রোগাক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি থাকলে তার খোঁজখবর নেয়াসহ ভাল চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেন তিনি। কোন নেতাকর্মীর মৃত্যুর খবরে ছুটে যান স্বজনহারাদের কাছে। এসব গুণাগুণের কারণে মান্দা উপজেলার জনসাধারণের কাছে ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠেছেন ওসি শাহিনুর রহমান।
ওসি শাহিনুর রহমান মান্দা থানায় আসার আগে ছিলেন জেলার পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ। সেখানে করোনাকালীন সময়ে যখন জনপ্রতিনিধিরা ঘরের বাইরে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন তখন জীবনের মায়া ছেড়ে নিজ অর্থায়নে গৃহবন্দী মানুষের দ্বারে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। নিজ খরচে পোরশা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে করেছিলেন জীবাণুনাশক স্প্রে এবং দিয়েছেন বিনামূল্যে মাস্ক। আর এসব কাজের জন্য তিনি নিজেও এক সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
শাহিনুর রহমান বলেন, পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর দেশসেবা ও মানব সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছি। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবার জন্য সবসময় কিছু করার চিন্তা নিয়ে এগোতে থাকি।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রকিবুল আক্তার বলেন, মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিনুর রহমান আমাদের পুলিশের গর্ব। আমরা চাই পুলিশের সকল সদস্য মানবকল্যাণে কাজ করে যাক। একইসঙ্গে তিনি সমাজের বিত্তবানদের এ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ
বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতে যবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকদিনের প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় যখন দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিরা শীতে কষ্ট ভোগ করছে তখন নিজ বেতনের জমানো অর্থ দিয়ে কিছুটা উষ্ণতা দিতে শীতার্ত মানুষের পাশে কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিনুর রহমান।
তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি পুলিশের সরকারি গাড়িতে এসব কম্বল বহন করে বিতরণ করছেন। কাজের ফাঁকে পথে থাকা দুস্থদের গায়ে কম্বল তুলে দিচ্ছেন। শীতবস্ত্রসহ ওসিকে কাছে পেয়ে আনন্দিত অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা।
তেঁতুলিয়া গ্রামের ভিক্ষুক আবিয়া বলেন, শীতে খুব কষ্ট। ওসি স্যার হামাক কম্বল দিছে; হামি খুশি। শুধু কম্বল বিতরণ নয়, উপজেলার কোন মানুষের ভোগান্তির কথা শুনলে ছুটে যান তিনি। পাশে বসে দেন শান্তনা; সাধ্যমতো করেন সহযোগিতা। তাছাড়া দুর্ঘটনা বা রোগাক্রান্ত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি থাকলে তার খোঁজখবর নেয়াসহ ভাল চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেন তিনি। কোন নেতাকর্মীর মৃত্যুর খবরে ছুটে যান স্বজনহারাদের কাছে। এসব গুণাগুণের কারণে মান্দা উপজেলার জনসাধারণের কাছে ভীষণ প্রিয় হয়ে উঠেছেন ওসি শাহিনুর রহমান।
ওসি শাহিনুর রহমান মান্দা থানায় আসার আগে ছিলেন জেলার পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ। সেখানে করোনাকালীন সময়ে যখন জনপ্রতিনিধিরা ঘরের বাইরে আসতে ভয় পাচ্ছিলেন তখন জীবনের মায়া ছেড়ে নিজ অর্থায়নে গৃহবন্দী মানুষের দ্বারে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। নিজ খরচে পোরশা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে করেছিলেন জীবাণুনাশক স্প্রে এবং দিয়েছেন বিনামূল্যে মাস্ক। আর এসব কাজের জন্য তিনি নিজেও এক সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
শাহিনুর রহমান বলেন, পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর দেশসেবা ও মানব সেবার ব্রত নিয়ে এগিয়ে চলেছি। অসহায় ও দরিদ্র মানুষের সেবার জন্য সবসময় কিছু করার চিন্তা নিয়ে এগোতে থাকি।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রকিবুল আক্তার বলেন, মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিনুর রহমান আমাদের পুলিশের গর্ব। আমরা চাই পুলিশের সকল সদস্য মানবকল্যাণে কাজ করে যাক। একইসঙ্গে তিনি সমাজের বিত্তবানদের এ কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।