ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার অপসারণ চেয়েছেন পরিষদের ১২ জন সদস্য। গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নানা অভিযোগ তুলে ধরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থাও জ্ঞাপন করেন তারা।
অভিযোগ করা হয়, আসলাম মৃধা ২০১৭ সালের ১৩ই জুলাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত পরিষদের একটি সভাও করেননি। পরিষদের সদস্যরা সভা করার এবং যথানিয়মে পরিষদ পরিচালনা করার কথা বললে তাদেরকে উল্টো হুমকি দেয়া হয়। সকল উন্নয়ন বরাদ্দ আত্মসাত,জন্মমৃত্যু সনদের জন্যে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত চেয়ারম্যান আদায় করছেন বলেও অভিযোগ করেন সদস্যরা।
তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য লিলি বেগমকে জুতাপেটা করেন চেয়ারম্যান আসলাম। সাংবাদিক সম্মেলনে লিলি বেগম এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ৩ বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য। জন্ম নিবন্ধন সনদ আনতে গেলে তাদের কাছ থেকেও ২শ’ টাকা রাখা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নের ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডের সদস্য ও সংরক্ষিত ৩ নারী সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতবছরের ১লা ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে তার অপসারণের আবেদন করেন পরিষদের সদস্যরা।
শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম আসলাম মৃধার অপসারণ চেয়েছেন পরিষদের ১২ জন সদস্য। গত বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নানা অভিযোগ তুলে ধরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থাও জ্ঞাপন করেন তারা।
অভিযোগ করা হয়, আসলাম মৃধা ২০১৭ সালের ১৩ই জুলাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত পরিষদের একটি সভাও করেননি। পরিষদের সদস্যরা সভা করার এবং যথানিয়মে পরিষদ পরিচালনা করার কথা বললে তাদেরকে উল্টো হুমকি দেয়া হয়। সকল উন্নয়ন বরাদ্দ আত্মসাত,জন্মমৃত্যু সনদের জন্যে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত চেয়ারম্যান আদায় করছেন বলেও অভিযোগ করেন সদস্যরা।
তার অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলায় ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য লিলি বেগমকে জুতাপেটা করেন চেয়ারম্যান আসলাম। সাংবাদিক সম্মেলনে লিলি বেগম এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তার পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ৩ বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য। জন্ম নিবন্ধন সনদ আনতে গেলে তাদের কাছ থেকেও ২শ’ টাকা রাখা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়নের ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডের সদস্য ও সংরক্ষিত ৩ নারী সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতবছরের ১লা ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরে তার অপসারণের আবেদন করেন পরিষদের সদস্যরা।