সিএমপির ৬ কনস্টেবল গ্রেপ্তার

এক ব্যক্তির কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় সদস্য। তারা সবাই পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ এলাকায় আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির করা মামলায় তাদের গত রোববার সিএমপির সহযোগিতায় দামপাড়া পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার করে আনোয়ারা থানা পুলিশ। পরে গতকাল চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) এসএএফ শাখায় কর্মরত কনস্টেবল মো. মাসুদ, মো. আবদুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. শাকিল খান ও মোর্শেদ বিল্লাহ।

তাদের মধ্যে মোর্শেদ বিল্লাহ সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের বডিগার্ড হিসেবে কর্মরত আছেন বলে স্বীকার করেছেন পুলিশ কমিশনার।

আনোয়ারা থানায় করা আবদুল মান্নানের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৮ জন ব্যক্তি বাড়িতে গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়। এরপর পটিয়ার ভেল্লাপাড়া সেতুর পূর্ব পাশে কৈয়গ্রাম রাস্তার মাথার একটি দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আবদুল মান্নানকে জানান, তার নামে ডিবিতে অভিযোগ আছে। অভিযোগ থেকে নাম কাটাতে হলে ১০ লাখ টাকা লাগবে। এ সময় আত্মীয়স্বজনকে ফোন দিয়ে টাকা এনে দিতে বলা হয় মান্নানকে। দর কষাকষির পর অবশেষে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা এনে দিলে ভোর ৫টার দিকে মান্নানকে ছেড়ে দিয়ে পটিয়ার দিকে চলে যায় অভিযুক্তরা। উক্ত আটজনের মধ্যে একজনের জ্যাকেটে ডিবি লেখা ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ?আনোয়ারায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন পুলিশ পরিচয়ে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকজন চাঁদা নিয়েছিল। তিনি আনোয়ারা থানায় এরকম একটি অভিযোগ করলে আনোয়ারা থানা পুলিশের তদন্তে পুলিশ লাইন্সের ৬ সদস্যের নাম ?উঠে আসে। বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাই। পরে আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করি। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আনোয়ারা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, আকাম করে পার পাবে না।

মঙ্গলবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৬ মাঘ ১৪২৭, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চাঁদাবাজির মামলা

সিএমপির ৬ কনস্টেবল গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম ব্যুরো

এক ব্যক্তির কাছ থেকে ডিবি পরিচয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ছয় সদস্য। তারা সবাই পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ এলাকায় আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির করা মামলায় তাদের গত রোববার সিএমপির সহযোগিতায় দামপাড়া পুলিশ লাইন্স থেকে গ্রেপ্তার করে আনোয়ারা থানা পুলিশ। পরে গতকাল চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) এসএএফ শাখায় কর্মরত কনস্টেবল মো. মাসুদ, মো. আবদুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. শাকিল খান ও মোর্শেদ বিল্লাহ।

তাদের মধ্যে মোর্শেদ বিল্লাহ সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের বডিগার্ড হিসেবে কর্মরত আছেন বলে স্বীকার করেছেন পুলিশ কমিশনার।

আনোয়ারা থানায় করা আবদুল মান্নানের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৮ জন ব্যক্তি বাড়িতে গিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়। এরপর পটিয়ার ভেল্লাপাড়া সেতুর পূর্ব পাশে কৈয়গ্রাম রাস্তার মাথার একটি দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আবদুল মান্নানকে জানান, তার নামে ডিবিতে অভিযোগ আছে। অভিযোগ থেকে নাম কাটাতে হলে ১০ লাখ টাকা লাগবে। এ সময় আত্মীয়স্বজনকে ফোন দিয়ে টাকা এনে দিতে বলা হয় মান্নানকে। দর কষাকষির পর অবশেষে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫০০ টাকা এনে দিলে ভোর ৫টার দিকে মান্নানকে ছেড়ে দিয়ে পটিয়ার দিকে চলে যায় অভিযুক্তরা। উক্ত আটজনের মধ্যে একজনের জ্যাকেটে ডিবি লেখা ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, ?আনোয়ারায় এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন পুলিশ পরিচয়ে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকজন চাঁদা নিয়েছিল। তিনি আনোয়ারা থানায় এরকম একটি অভিযোগ করলে আনোয়ারা থানা পুলিশের তদন্তে পুলিশ লাইন্সের ৬ সদস্যের নাম ?উঠে আসে। বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাই। পরে আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করি। পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, আনোয়ারা থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক, আকাম করে পার পাবে না।