‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুঁজিবাজারের জন্য খুব জরুরি’

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজারে আস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়ে গেলে তাদের বাজারে ধরে রাখা খুবই কঠিন। তাই সবাইকে এমন দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীসহ কোন স্টেকহোল্ডারের আস্থা নষ্ট না হয়।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আয়োজিত ‘রোল অব ইস্যু ম্যানেজার্স ফর আইপিও এপ্লিকেশন’ শিরোনামের সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়শনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে ড. শেখ শামসুদ্দিন মার্চেন্ট ব্যাংকারদের বিনিয়োকারীদের চাহিদা ও আস্থার বিষয়ে মনোযোগী থাকার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, কোন কিছুর জন্য আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করতে রাজি না। আমরা বিনিয়োগকারীদের যা বলি তারা তাই বিশ্বাস করেন। আমরা উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করছি। আমরা ডিজিটাল বিভিন্ন দিকে নজর দিচ্ছি। আমাদের বিনিয়োগকারীদের চাহিদার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। বাজারেও আমরা ব্যাপক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। আমরা ছোট ছোট কাজ থেকে শুরু করে বড় বড় কাজও করছি।’

প্রতিষ্ঠানগুলোর বসে থাকার সুযোগ নেই উল্লেখ করে বিএসইসি কমিশনার বলেন, ‘কোন প্রতিষ্ঠান বসে থাকবে না। প্রতিষ্ঠান আসবে, কাজ করবে। তারা যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছে, আমাদের বিনিয়োগকারীরা যে উদ্দেশ্যে নিয়ে বিনিয়োগ করেছে তাতে তাদের সন্তুষ্ট করতে হবে। লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করে যেতে হবে। আমরা যেসব নতুন পণ্য আনার চেষ্টা করছি, সেগুলোর সঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে সংযুক্ত করার বিষয়টি ভাবছি।

ব্রোকারেজ ফার্মগুলোকে অনেক ক্যাম্পেইন করতে হবে। প্রচারের ফলেই ব্যবসায়ের প্রসার হবে। আমাদের দেশে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে, যোগ করেন কমিশনার শামসুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ছাড়া আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারব না। বিগত সময়ে আমরা এ বিষয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলাম। আমরা ধীরে ধীরে উঠে আসছি। আস্থা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। আপনাদের ওপর যেমন আস্থা রাখছি তেমনভাবে বিনিয়োগকারীরাও যাতে আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে তেমন পরিবেশ তৈরি করবেন।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মার্চেন্ট ব্যাংকের কারও সমস্যা হলে তা আমারও সমস্যার অংশ। যেহেতু আমি এর প্রতিনিধিত্ব করছি। কোন বিষয়ে দ্রবীভূত থাকলে আমাদের সমস্যাটা খুঁজে বের করতে হবে। প্রথমদিন থেকেই কিভাবে সাপ্লাই বাড়ানো যায় তা সংশ্লিষ্টরা ভাবতে পারেন। মার্চেন্ট ব্যাংকারদের কাজের পরিমাণ এমনি কম। মার্চেন্ট ব্যাংকের রুলটা বাধ্যতামূলক করা হোক যাতে আমরা শক্তিশালী হতে পারি। মার্চেন্ট ব্যাংকার যাদের মূলধন কম, তাদেরও মূলধন বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। দেশে মার্চেন্ট ব্যাংক আছে মাত্র ৬৩টি। আমাদের ফান্ড কম আর দুর্বলতা আছে।’

মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১ , ২৪ ফাল্গুন ১৪২৭ ২৪ রজব ১৪৪২

‘বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুঁজিবাজারের জন্য খুব জরুরি’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুঁজিবাজারে আস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হয়ে গেলে তাদের বাজারে ধরে রাখা খুবই কঠিন। তাই সবাইকে এমন দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে, যাতে বিনিয়োগকারীসহ কোন স্টেকহোল্ডারের আস্থা নষ্ট না হয়।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আয়োজিত ‘রোল অব ইস্যু ম্যানেজার্স ফর আইপিও এপ্লিকেশন’ শিরোনামের সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়শনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারে ড. শেখ শামসুদ্দিন মার্চেন্ট ব্যাংকারদের বিনিয়োকারীদের চাহিদা ও আস্থার বিষয়ে মনোযোগী থাকার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, কোন কিছুর জন্য আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করতে রাজি না। আমরা বিনিয়োগকারীদের যা বলি তারা তাই বিশ্বাস করেন। আমরা উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করছি। আমরা ডিজিটাল বিভিন্ন দিকে নজর দিচ্ছি। আমাদের বিনিয়োগকারীদের চাহিদার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। বাজারেও আমরা ব্যাপক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। আমরা ছোট ছোট কাজ থেকে শুরু করে বড় বড় কাজও করছি।’

প্রতিষ্ঠানগুলোর বসে থাকার সুযোগ নেই উল্লেখ করে বিএসইসি কমিশনার বলেন, ‘কোন প্রতিষ্ঠান বসে থাকবে না। প্রতিষ্ঠান আসবে, কাজ করবে। তারা যে লক্ষ্য নিয়ে এসেছে, আমাদের বিনিয়োগকারীরা যে উদ্দেশ্যে নিয়ে বিনিয়োগ করেছে তাতে তাদের সন্তুষ্ট করতে হবে। লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করে যেতে হবে। আমরা যেসব নতুন পণ্য আনার চেষ্টা করছি, সেগুলোর সঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে সংযুক্ত করার বিষয়টি ভাবছি।

ব্রোকারেজ ফার্মগুলোকে অনেক ক্যাম্পেইন করতে হবে। প্রচারের ফলেই ব্যবসায়ের প্রসার হবে। আমাদের দেশে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে, যোগ করেন কমিশনার শামসুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ছাড়া আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে পারব না। বিগত সময়ে আমরা এ বিষয়ে অনেক পিছিয়ে ছিলাম। আমরা ধীরে ধীরে উঠে আসছি। আস্থা অর্জনের কোন বিকল্প নেই। আপনাদের ওপর যেমন আস্থা রাখছি তেমনভাবে বিনিয়োগকারীরাও যাতে আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে তেমন পরিবেশ তৈরি করবেন।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মার্চেন্ট ব্যাংকের কারও সমস্যা হলে তা আমারও সমস্যার অংশ। যেহেতু আমি এর প্রতিনিধিত্ব করছি। কোন বিষয়ে দ্রবীভূত থাকলে আমাদের সমস্যাটা খুঁজে বের করতে হবে। প্রথমদিন থেকেই কিভাবে সাপ্লাই বাড়ানো যায় তা সংশ্লিষ্টরা ভাবতে পারেন। মার্চেন্ট ব্যাংকারদের কাজের পরিমাণ এমনি কম। মার্চেন্ট ব্যাংকের রুলটা বাধ্যতামূলক করা হোক যাতে আমরা শক্তিশালী হতে পারি। মার্চেন্ট ব্যাংকার যাদের মূলধন কম, তাদেরও মূলধন বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। দেশে মার্চেন্ট ব্যাংক আছে মাত্র ৬৩টি। আমাদের ফান্ড কম আর দুর্বলতা আছে।’