কুষ্টিয়ায় তামাক চাষিদের অনশন

বিদেশি কোম্পানির আগ্রাসন থেকে দেশীয় তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষা ও চাষিদের সুরক্ষাসহ তামাকের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বরে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন জেলার তামাক চাষিরা। গতকাল সকাল ১০টায় দেশীয় তামাক চাষি কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি করে তারা।

অনশনে অংশ নেয়া তামাকচাষিরা জানান, আগে ২৫-৩০টি দেশীয় কোম্পানি তাদের কাছ থেকে তামাক ক্রয় করত। আর এ তামাক দেশীয় বিড়ি শিল্পে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু দুটি বিদেশি কোম্পানির আগ্রাসনে টিকতে না পেরে অধিকাংশ দেশীয় কোম্পানি পুঁজি হারিয়ে বাজার ছেড়েছে। এই সুযোগে বিদেশি কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমত দামে তামাক ক্রয় করছে। ফলে বিদেশি কোম্পানির সিগারেট বাজারে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে যা এক সময় দেশীয় বিড়ির সমান ছিল। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তামাক চাষিরা।

তারা আরও বলেন, দেশীয় বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত করারোপের ফলে বিড়ি মালিকরা টিকতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারখানা বন্ধ হওয়ায় চাষিরা তামাক বিক্রি করতে পারছে না। এতে একদিকে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে, অন্যদিকে তামাক চাষিরা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। পরে বিকেল ৩টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র ঘটনাস্থলে এসে চাষিদের দাবির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন এমন আশ্বাস দেন এবং জুস ও পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।

মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১ , ২৪ ফাল্গুন ১৪২৭ ২৪ রজব ১৪৪২

কুষ্টিয়ায় তামাক চাষিদের অনশন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বিদেশি কোম্পানির আগ্রাসন থেকে দেশীয় তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষা ও চাষিদের সুরক্ষাসহ তামাকের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে কুষ্টিয়া পৌরসভার বিজয় উল্লাস চত্বরে অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন জেলার তামাক চাষিরা। গতকাল সকাল ১০টায় দেশীয় তামাক চাষি কল্যাণ সমিতির ব্যানারে এ কর্মসূচি করে তারা।

অনশনে অংশ নেয়া তামাকচাষিরা জানান, আগে ২৫-৩০টি দেশীয় কোম্পানি তাদের কাছ থেকে তামাক ক্রয় করত। আর এ তামাক দেশীয় বিড়ি শিল্পে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু দুটি বিদেশি কোম্পানির আগ্রাসনে টিকতে না পেরে অধিকাংশ দেশীয় কোম্পানি পুঁজি হারিয়ে বাজার ছেড়েছে। এই সুযোগে বিদেশি কোম্পানিগুলো ইচ্ছেমত দামে তামাক ক্রয় করছে। ফলে বিদেশি কোম্পানির সিগারেট বাজারে বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে যা এক সময় দেশীয় বিড়ির সমান ছিল। এতে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তামাক চাষিরা।

তারা আরও বলেন, দেশীয় বিড়িতে মাত্রাতিরিক্ত করারোপের ফলে বিড়ি মালিকরা টিকতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। কারখানা বন্ধ হওয়ায় চাষিরা তামাক বিক্রি করতে পারছে না। এতে একদিকে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে, অন্যদিকে তামাক চাষিরা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। পরে বিকেল ৩টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র ঘটনাস্থলে এসে চাষিদের দাবির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবেন এমন আশ্বাস দেন এবং জুস ও পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।