রমজানের ৬ নিত্যপণ্যের মজুদ ‘পর্যাপ্ত’

আগামী রমজানকে সামনে রেখে ছয়টি নিত্যপণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে বলে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

আগামী ১৩ বা ১৪ এপ্রিল মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু সামনে রমজান, কতগুলো আইটেম রমজানের সময় জরুরি প্রয়োজন হয়- ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ ও আদা। এগুলো নিয়ে আজকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদকে আশ্বস্ত করেছে যে, আমাদের যে পরিমাণ চাহিদা, সেই তুলনায় মজুদ কমফোর্টেবল (পর্যাপ্ত) আছে।’

তিনি বলেন, ‘টিসিবি যেটা আমদানি করছে, সেটা রোজার অনেক আগেই দেশে চলে আসবে। যে ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রোজার সময় বিশেষ প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে অসুবিধা হবে না। এবার আমরা একটু কমফোর্টেবল অবস্থায় আছি।’

তাহলে এবার এসব পণ্যের দাম বাড়বে কিনা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দাম বাড়ার বিষয়টি অনেকটা মার্কেটের ওপর নির্ভর করে। আশা করা যাচ্ছে সাপ্লাইয়ের কোন ঘাটতি হবে না। সাপ্লাই বেশি হলে দাম এমনিতেই কন্ট্রোলে থাকবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরবর্তী সময়ে আপনাদের বিস্তারিত ব্রিফ করবে।’

গত ৭ মার্চ এক সংবাদসম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, রমজানে আমাদের বাজারে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা টিসিবির মাধ্যমে ২৫ হাজার মেট্রিকটন ভোজ্যতেল আমদানি করতে যাচ্ছি। যাতে করে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো যেতে পারে। সবরকম ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি। তবে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াটাই জরুরি অনেক খানি।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমাদের দেশে ৭৫ শতাংশ উৎপাদন হয়। বাকি ২৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এটা যদি কোন রকমে ৯০ শতাংশে যেতে পারতাম তাহলে কমে যেতো। তবে আমাদের পেঁয়াজের জন্য ভারতের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করাটা ঠিক হবে না। কারণ ওদের দেশেও পেঁয়াজ নিয়ে মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যার জন্য আমাদের বিকল্প বাজার থেকে ব্যবস্থা করতে হবে।

বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১ , ২৫ ফাল্গুন ১৪২৭ ২৫ রজব ১৪৪২

রমজানের ৬ নিত্যপণ্যের মজুদ ‘পর্যাপ্ত’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

আগামী রমজানকে সামনে রেখে ছয়টি নিত্যপণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে বলে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

আগামী ১৩ বা ১৪ এপ্রিল মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু সামনে রমজান, কতগুলো আইটেম রমজানের সময় জরুরি প্রয়োজন হয়- ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, খেজুর, পেঁয়াজ ও আদা। এগুলো নিয়ে আজকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদকে আশ্বস্ত করেছে যে, আমাদের যে পরিমাণ চাহিদা, সেই তুলনায় মজুদ কমফোর্টেবল (পর্যাপ্ত) আছে।’

তিনি বলেন, ‘টিসিবি যেটা আমদানি করছে, সেটা রোজার অনেক আগেই দেশে চলে আসবে। যে ছয়টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রোজার সময় বিশেষ প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে অসুবিধা হবে না। এবার আমরা একটু কমফোর্টেবল অবস্থায় আছি।’

তাহলে এবার এসব পণ্যের দাম বাড়বে কিনা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দাম বাড়ার বিষয়টি অনেকটা মার্কেটের ওপর নির্ভর করে। আশা করা যাচ্ছে সাপ্লাইয়ের কোন ঘাটতি হবে না। সাপ্লাই বেশি হলে দাম এমনিতেই কন্ট্রোলে থাকবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরবর্তী সময়ে আপনাদের বিস্তারিত ব্রিফ করবে।’

গত ৭ মার্চ এক সংবাদসম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, রমজানে আমাদের বাজারে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয় সেজন্য প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা টিসিবির মাধ্যমে ২৫ হাজার মেট্রিকটন ভোজ্যতেল আমদানি করতে যাচ্ছি। যাতে করে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সহজে পৌঁছানো যেতে পারে। সবরকম ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি। তবে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াটাই জরুরি অনেক খানি।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমাদের দেশে ৭৫ শতাংশ উৎপাদন হয়। বাকি ২৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এটা যদি কোন রকমে ৯০ শতাংশে যেতে পারতাম তাহলে কমে যেতো। তবে আমাদের পেঁয়াজের জন্য ভারতের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করাটা ঠিক হবে না। কারণ ওদের দেশেও পেঁয়াজ নিয়ে মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যার জন্য আমাদের বিকল্প বাজার থেকে ব্যবস্থা করতে হবে।