শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক উত্থান

লেনদেন ছাড়ালো ১৫শ কোটি টাকা

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় কার্যদিবসে গতকাল উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬.৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৪০.০৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৩০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৮৫.০৯ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৯৯.২৯ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ১১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৬৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪২টির বা ৩৮.৯০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৭৫টির বা ৪৭.৯৫ শতাংশের এবং বাকি ৪৮টির বা ১৩.১৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬০.৫০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯০৯.৬৯ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৩০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির আর ২৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে গতকাল ৩৮টি কোম্পানির সাড়ে ৪১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৮টি শেয়ার ৯০ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৪১ কোটি ৫৪ লাখ ৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকার প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৯০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের।

এছাড়া এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৬০ হাজার টাকার, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৫ লাখ টাকার, ডিবিএইচের ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকার, ডেল্টা স্পিনার্সের ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১২ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, ইজেনারেশনের ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ২৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, ইনটেকের ১ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকার, কেডিএস এক্সেসরিজের ৮ লাখ ৮ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ২২ লাখ ২৪ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকার, মীর আখতারের ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিকের ১০ লাখ টাকার, নিউ লাইন ক্লোথিংসের ১৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ২ কোটি ৯১ লাখ ৬২ হাজার টাকার, ন্যাশনার টিউবসের ৫ লাখ টাকার, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ টাকার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারটেকের ৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, সায়হাম কটনের ৬৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, সী পার্লের ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ২৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকার এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭৫টির বা ৪৭.৯৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে তশরিফার। গত রোববার তশরিফার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৪.৭০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৩০ টাকা বা ৮.১২ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে তশরিফা ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মীর আখতার হোসাইনের ৮.০১ শতাংশ, জাহিনটেক্সের ৭.৫৭ শতাংশ, ফারইস্ট নিটিংয়ের ৬.৮৩ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৬.৬৩ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ৬.৫২ শতাংশ, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিংয়ের ৫.৯৪ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৫.৪৩ শতাংশ, এপোলো ইস্পাতের ৫.৪০ শতাংশ এবং ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ার দর ৫.৩৪ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪২টির বা ৩৮.৯০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের। গত রোবাবর এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৫.৮০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১০৫.৩০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৫০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংকের ৯.৭৬ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৯.৭৬ শতাংশ, সুহৃদের ৯.৬৯ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭.৫৮ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ৭.২৬ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭.০১ শতাংশ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৬.৮৮ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৬.৮১ শতাংশ এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৬.৬৮ শতাংশ বেড়েছে।

মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১ , ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৫ শাওয়াল ১৪৪২

শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক উত্থান

লেনদেন ছাড়ালো ১৫শ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় কার্যদিবসে গতকাল উত্থান হয়েছে শেয়ারবাজারে। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬.৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৪০.০৮ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২.৩০ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৬৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৮৫.০৯ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৯৯.২৯ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে যা আগের দিন থেকে ১১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪১৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। ডিএসইতে গতকাল ৩৬৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ১৪২টির বা ৩৮.৯০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। শেয়ার দর কমেছে ১৭৫টির বা ৪৭.৯৫ শতাংশের এবং বাকি ৪৮টির বা ১৩.১৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬০.৫০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯০৯.৬৯ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৩০০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির আর ২৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১১৫ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে গতকাল ৩৮টি কোম্পানির সাড়ে ৪১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭১৮টি শেয়ার ৯০ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৪১ কোটি ৫৪ লাখ ৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকার প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৯০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এসকে ট্রিমসের।

এছাড়া এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৬০ হাজার টাকার, বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ৫৬ লাখ ১০ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৫ লাখ টাকার, ডিবিএইচের ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকার, ডেল্টা স্পিনার্সের ৫ লাখ ৯ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১২ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, ইজেনারেশনের ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ২৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৮৭ হাজার টাকার, ইনটেকের ১ কোটি ৫ লাখ ৬২ হাজার টাকার, কেডিএস এক্সেসরিজের ৮ লাখ ৮ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ২২ লাখ ২৪ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকার, মীর আখতারের ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিকের ১০ লাখ টাকার, নিউ লাইন ক্লোথিংসের ১৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলসের ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ২ কোটি ৯১ লাখ ৬২ হাজার টাকার, ন্যাশনার টিউবসের ৫ লাখ টাকার, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ টাকার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৩ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৩৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, সাইফ পাওয়ারটেকের ৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকার, সায়হাম কটনের ৬৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, সী পার্লের ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ২৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকার এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৭৫টির বা ৪৭.৯৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে তশরিফার। গত রোববার তশরিফার শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৬ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৪.৭০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ১.৩০ টাকা বা ৮.১২ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে তশরিফা ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মীর আখতার হোসাইনের ৮.০১ শতাংশ, জাহিনটেক্সের ৭.৫৭ শতাংশ, ফারইস্ট নিটিংয়ের ৬.৮৩ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৬.৬৩ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ৬.৫২ শতাংশ, মোজাফফর হোসাইন স্পিনিংয়ের ৫.৯৪ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৫.৪৩ শতাংশ, এপোলো ইস্পাতের ৫.৪০ শতাংশ এবং ড্রাগন সোয়েটারের শেয়ার দর ৫.৩৪ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪২টির বা ৩৮.৯০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের। গত রোবাবর এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৫.৮০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১০৫.৩০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৫০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এনআরবিসি ব্যাংকের ৯.৭৬ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংকের ৯.৭৬ শতাংশ, সুহৃদের ৯.৬৯ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭.৫৮ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ৭.২৬ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭.০১ শতাংশ, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৬.৮৮ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৬.৮১ শতাংশ এবং রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৬.৬৮ শতাংশ বেড়েছে।