অর্থ পাচারে সরকারি দলের এমপির ক্ষোভ

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার পরও দেশের ‘অর্থ পাচার হওয়ায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করে সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য (কুমিল্লা-৭) অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেছেন, ‘লড়াই করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই দেশ আজকে ঘৃণা, লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়। এত বড় বড় কিছু চোর, যাদের নাম ওঠে। এসবের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ শক্ত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’ গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘বাজেটতো দিচ্ছি আমরা। কিন্তু বাস্তবায়নের জন্য সদিচ্ছা থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কর প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের মুহিত সাহেব যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, ২০১০ সালে তিনি বলেছিলেন, দেশে ২৫ লাখ লোক কর দেয়। এটা গৌরবের কথা। ট্যাক্সের নেট আরও বাড়াতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর প্রশাসনের সামর্থ্য আছে। কর প্রশাসনের দক্ষতা, স্বচ্ছতা, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা যদি আমরা না বাড়াতে পারি তাহলে বাজেটে ইপ্সিত লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারব না।’

মহামারী মোকাবিলায় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রশংসা করে সংসদ সদস্য আলী আশরাফ বলেন, ‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যদি আসে, আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘তাক লাগিয়ে’ দিয়েছে। এটা নিশ্চয়ই সফলতা। তৃণমূলে প্রণোদনা পৌঁছেছে। সততা থাকলে এটা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সেই সততা আছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ভালো বাজেট। সম্ভাবনার বাজেট।

সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৫ শাওয়াল ১৪৪২

অর্থ পাচারে সরকারি দলের এমপির ক্ষোভ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণার পরও দেশের ‘অর্থ পাচার হওয়ায়’ ক্ষোভ প্রকাশ করে সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য (কুমিল্লা-৭) অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেছেন, ‘লড়াই করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। সেই দেশ আজকে ঘৃণা, লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়। এত বড় বড় কিছু চোর, যাদের নাম ওঠে। এসবের বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ শক্ত পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’ গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘বাজেটতো দিচ্ছি আমরা। কিন্তু বাস্তবায়নের জন্য সদিচ্ছা থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কর প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের মুহিত সাহেব যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, ২০১০ সালে তিনি বলেছিলেন, দেশে ২৫ লাখ লোক কর দেয়। এটা গৌরবের কথা। ট্যাক্সের নেট আরও বাড়াতে হবে। দক্ষতা বাড়াতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর প্রশাসনের সামর্থ্য আছে। কর প্রশাসনের দক্ষতা, স্বচ্ছতা, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা যদি আমরা না বাড়াতে পারি তাহলে বাজেটে ইপ্সিত লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারব না।’

মহামারী মোকাবিলায় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রশংসা করে সংসদ সদস্য আলী আশরাফ বলেন, ‘কোভিডের তৃতীয় ঢেউ যদি আসে, আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘তাক লাগিয়ে’ দিয়েছে। এটা নিশ্চয়ই সফলতা। তৃণমূলে প্রণোদনা পৌঁছেছে। সততা থাকলে এটা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সেই সততা আছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা ভালো বাজেট। সম্ভাবনার বাজেট।