গড়ভাঙ্গা-বাটবিলা ১ কিমি. বেহাল

ঘেরের উঁচু বাঁধে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ সড়ক

কেশবপুরে গড়ভাঙ্গা-বাটবিলা সড়কের দু’পাশে মাছের ঘের । ঘের মালিকরা সড়ক থেকে প্রায় ৩-৪ ফুট উঁচু করে নির্মাণ করেছেন ঘেরের বেড়িবাঁধ। বৃষ্টি হলেই সড়ক ডুবে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। ইটের সোলিংয়ের সড়কটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওযায় খানা-খন্দে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার গড়ভাঙ্গা বাজার থেকে মনিরামপুর উপজেলার বাটবিলা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এ

সড়কটি ২০০১ সালে ইটের সোলিং করা হয়। এই রাস্তা দিয়ে গড়ভাঙ্গা, বেলোকাটি, মাদারডাঙ্গা, মনিরামপুরের বাটবিলা, হরিনা, কোনাখোলা, দূর্বাডাঙ্গা ও নেহালপুরসহ কমপক্ষে ১৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই সড়ককে ঘিরে দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে গড়ে উঠেছে আত্মীয়র বন্ধন। বিশেষ করে মনিরামপুর উপজেলার ৮-১০ গ্রামের মানুষ কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যুগ যুগ ধরে সড়কটি ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু ঘেরের বেড়ির কারণে সড়কটি জলাবদ্ধ হওয়ায় বাধ্য হয়ে মনিরামপুর উপজেলার শত শত মানুষকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে কেশবপুরসহ অন্যান্য স্থানে যেতে হয়।

গড়ভাঙ্গা গ্রামের সাইফুর রহমান সানা বলেন, ২০১০ সালে মৎস্য ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ ও মিনার হোসেন গড়ভাঙ্গা ভায়া বাটবিলা সড়কের কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে দু’পাশের বিলে মাছের ঘের করেন। এ সময় তারা সড়ক ঘেরের ভেড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে বন্যার হাত থেকে ঘের রক্ষায় তারা সড়কের দু’পাশ ৩-৪ ফুট উঁচু করে ঘেরের ভেড়ি তৈরি করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১ যুগেও প্রশাসন ওই দুই ঘের মালিকের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তার ওপর ৩-৪ ফুট পানি জমে থাকে। বাধ্য হয়ে জনগণকে নৌকায় করে গবাদিপুশু পারাপার করতে হয়। মৎস্য ঘেরের কারণে ১ কিলোমিটার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় উভয় অঞ্চলের মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি পাকাকরণে কয়েকবার টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু সড়কের দু‘পাশে জায়গা না থাকায় কোন ঠিকাদার কাজ করতে রাজি হয়নি। তবে অচিরেই সড়কের কাজ শুরু হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন জানান, সরোজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। দু’পাশের ঘের মালিককে নোটিশ করা হয়েছে। ঘেরের বেড়িবাঁধের কারণে সড়কটি নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়টি যাতে দ্রুত হয় তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩১ রজব ১৪৪২

গড়ভাঙ্গা-বাটবিলা ১ কিমি. বেহাল

ঘেরের উঁচু বাঁধে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ সড়ক

শামসুর রহমান, কেশবপুর (যশোর)

image

কেশবপুরে গড়ভাঙ্গা-বাটবিলা সড়কের দু’পাশে মাছের ঘের । ঘের মালিকরা সড়ক থেকে প্রায় ৩-৪ ফুট উঁচু করে নির্মাণ করেছেন ঘেরের বেড়িবাঁধ। বৃষ্টি হলেই সড়ক ডুবে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। ইটের সোলিংয়ের সড়কটি দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওযায় খানা-খন্দে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার গড়ভাঙ্গা বাজার থেকে মনিরামপুর উপজেলার বাটবিলা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার এ

সড়কটি ২০০১ সালে ইটের সোলিং করা হয়। এই রাস্তা দিয়ে গড়ভাঙ্গা, বেলোকাটি, মাদারডাঙ্গা, মনিরামপুরের বাটবিলা, হরিনা, কোনাখোলা, দূর্বাডাঙ্গা ও নেহালপুরসহ কমপক্ষে ১৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই সড়ককে ঘিরে দুই উপজেলার মানুষের মধ্যে গড়ে উঠেছে আত্মীয়র বন্ধন। বিশেষ করে মনিরামপুর উপজেলার ৮-১০ গ্রামের মানুষ কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য যুগ যুগ ধরে সড়কটি ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু ঘেরের বেড়ির কারণে সড়কটি জলাবদ্ধ হওয়ায় বাধ্য হয়ে মনিরামপুর উপজেলার শত শত মানুষকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে কেশবপুরসহ অন্যান্য স্থানে যেতে হয়।

গড়ভাঙ্গা গ্রামের সাইফুর রহমান সানা বলেন, ২০১০ সালে মৎস্য ঘের মালিক সেলিমুজ্জামান আসাদ ও মিনার হোসেন গড়ভাঙ্গা ভায়া বাটবিলা সড়কের কালর্ভাটের মুখ বন্ধ করে দু’পাশের বিলে মাছের ঘের করেন। এ সময় তারা সড়ক ঘেরের ভেড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে বন্যার হাত থেকে ঘের রক্ষায় তারা সড়কের দু’পাশ ৩-৪ ফুট উঁচু করে ঘেরের ভেড়ি তৈরি করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১ যুগেও প্রশাসন ওই দুই ঘের মালিকের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তার ওপর ৩-৪ ফুট পানি জমে থাকে। বাধ্য হয়ে জনগণকে নৌকায় করে গবাদিপুশু পারাপার করতে হয়। মৎস্য ঘেরের কারণে ১ কিলোমিটার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় উভয় অঞ্চলের মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সড়কটি পাকাকরণে কয়েকবার টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু সড়কের দু‘পাশে জায়গা না থাকায় কোন ঠিকাদার কাজ করতে রাজি হয়নি। তবে অচিরেই সড়কের কাজ শুরু হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন জানান, সরোজমিনে সড়কটি পরিদর্শন করা হয়েছে। দু’পাশের ঘের মালিককে নোটিশ করা হয়েছে। ঘেরের বেড়িবাঁধের কারণে সড়কটি নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়টি যাতে দ্রুত হয় তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।