হিলিতে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হ্রাস পেয়েছে। দেশের বাজারে পণ্যটির চাহিদা কম। লোকসানের আশঙ্কায় আমদানিকারকরা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে দেশীয় বাজারে সরবরাহ নিম্নমুখী। এ কারণে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ২-৩ টাকা করে বেড়েছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম হ্রাস-বৃদ্ধিকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছেন পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।

হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন আমদানিকারকদের গুদাম ঘুরে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় আমদানি কম। এ কারণে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। একদিন আগে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে এ জাতের দাম বেড়ে ২৭-২৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২৮ টাকায় নেমেছিল। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা রংপুরের মেহেদুল ইসলাম বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তারপরও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ যে দামে হিলি স্থলবন্দর থেকে ক্রয় করে মোকামে পাঠিয়েছি, তারপর শুক্রবার এসে দেখি তা কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বাড়তি।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এ সময় বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে না, এমন গুঞ্জনে দাম বাড়ার আশঙ্কায় মজুদ করে রাখার জন্য বাড়তি পেঁয়াজ ক্রয় শুরু করেন।

সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১ জিলহজ্জ ১৪৪২

হিলিতে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হ্রাস পেয়েছে। দেশের বাজারে পণ্যটির চাহিদা কম। লোকসানের আশঙ্কায় আমদানিকারকরা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে দেশীয় বাজারে সরবরাহ নিম্নমুখী। এ কারণে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের পাইকারি দাম কেজিতে ২-৩ টাকা করে বেড়েছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম হ্রাস-বৃদ্ধিকে ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে মনে করছেন পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।

হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন আমদানিকারকদের গুদাম ঘুরে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের তুলনায় আমদানি কম। এ কারণে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। একদিন আগে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে এ জাতের দাম বেড়ে ২৭-২৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে নাসিক জাতের পেঁয়াজ ২৮ টাকায় নেমেছিল। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা রংপুরের মেহেদুল ইসলাম বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তারপরও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার পেঁয়াজ যে দামে হিলি স্থলবন্দর থেকে ক্রয় করে মোকামে পাঠিয়েছি, তারপর শুক্রবার এসে দেখি তা কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা বাড়তি।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে ১ জুলাই থেকে দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এ সময় বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে না, এমন গুঞ্জনে দাম বাড়ার আশঙ্কায় মজুদ করে রাখার জন্য বাড়তি পেঁয়াজ ক্রয় শুরু করেন।