অনলাইনে পশু কেনাবেচা করতে অনুরোধ সরকারের

করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য গতকাল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার দেশে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। তাই খামারি ও ক্রেতাদের কোরবানির পশু অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনলাইনে করোনার ঝুঁকি এড়িয়ে কোরবানির পশু কেনা সহজ হবে। এতে নিরাপদ থাকবে দেশের মানুষ।’

গত বছর করোনার মধ্যে ঈদে অনলাইনে বিক্রি হয়েছিল ২৭ হাজার পশু। তবে এবার এক লাখ পশু বিক্রি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি জুম প্ল্যাটফর্মে ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল গরু হাট ২০২১’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার লোকজন থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গরু কিনতে পারবেন ঢাকার গ্রাহকরা। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে গরু কিনতে কেউ হাটে ভিড় করবে না। আর এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে বলে আশাবাদী সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার ভয়াবহতার কারণে এ বছর পশু কেনাবেচায় আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’

ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন হওয়ার কারণে অর্থনীতি এখনও সচল আছে বলে মনে করেন তিনি। গত ২৮ জুন ডিজিটাল কোরবানি হাট ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসির সঙ্গে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) চুক্তি হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ, সংরক্ষণ, নিরাপত্তা প্রদান, পর্যাপ্ত পানি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পশুস্বাস্থ্য পরীক্ষায় পশু চিকিৎসক নিয়োগের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হবে। ডিএনসিসি, ই-ক্যাব, বিডিএফএর যৌথ ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআইয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল পশুর হাট বসবে।

সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১ , ২৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১ জিলহজ্জ ১৪৪২

অনলাইনে পশু কেনাবেচা করতে অনুরোধ সরকারের

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

করোনা ভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচার অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য গতকাল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার দেশে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে। তাই খামারি ও ক্রেতাদের কোরবানির পশু অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অনলাইনে করোনার ঝুঁকি এড়িয়ে কোরবানির পশু কেনা সহজ হবে। এতে নিরাপদ থাকবে দেশের মানুষ।’

গত বছর করোনার মধ্যে ঈদে অনলাইনে বিক্রি হয়েছিল ২৭ হাজার পশু। তবে এবার এক লাখ পশু বিক্রি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি জুম প্ল্যাটফর্মে ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল গরু হাট ২০২১’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার লোকজন থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গরু কিনতে পারবেন ঢাকার গ্রাহকরা। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে গরু কিনতে কেউ হাটে ভিড় করবে না। আর এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে বলে আশাবাদী সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার ভয়াবহতার কারণে এ বছর পশু কেনাবেচায় আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’

ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন হওয়ার কারণে অর্থনীতি এখনও সচল আছে বলে মনে করেন তিনি। গত ২৮ জুন ডিজিটাল কোরবানি হাট ব্যবস্থাপনায় ডিএনসিসির সঙ্গে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) চুক্তি হয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ, সংরক্ষণ, নিরাপত্তা প্রদান, পর্যাপ্ত পানি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পশুস্বাস্থ্য পরীক্ষায় পশু চিকিৎসক নিয়োগের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হবে। ডিএনসিসি, ই-ক্যাব, বিডিএফএর যৌথ ব্যবস্থাপনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআইয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল পশুর হাট বসবে।