১১ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৫২ শনাক্ত ১৪৯৬

রামেকে মৃত্যু

১৭, শনাক্ত ১২৪

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ৫ জনের করোনায় মৃত্যু হয় ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ১০ জন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছে আরও ২ জন। এ নিয়ে গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে করোনা ইউনিটে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছে রাজশাহীর একজন, নাটোরের একজন, বগুড়ার একজন এবং পাবনার। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহীতে দু’জন, নাটোরে দু’জন, নওগাঁয় একজন, পাবনায় তিনজন ও কুষ্টিয়ায় দু’জন মারা গেছেন। এছাড়া করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও আটজন নারী।

মৃতদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে দুইজন এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন।

এ নিয়ে চলতি মাসে (১ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৪০ জনে। এরমধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ১৭২ জন। আর শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩১ জন। বাকি ৩৭ জন মারা যান করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তি স্বাস্থ্য জটিলতায়।

শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৫২ জন। এরমধ্যে রাজশাহীর ২৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন, নাটোরের ১৫ জন, নওগাঁর চারজন, পাবনার পাঁচজন, কুষ্টিয়ার দুইজন ও মেহেরপুরের একজন।

হাসপাতাল পরিচালক জানান, বুধবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর আগেরদিন মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

ময়মনসিংহে মৃত্যু ১৬ শনাক্ত ৪৫৮

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যস্ত করোনা পজিটিভ হয়ে ৩ জনের মৃত্যু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১৩ জনসহ মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে ১৬৬০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা পজিটিভ হয়ে ৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনসহ মৃত ১৬ জনের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ৯ জন, নেত্রকোনার ২ জন, শেরপুর জেলায় ৩ ও টাঙ্গাইল জেলার ২ রয়েছেন।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ১৬৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরও ৪৫৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৭.৫৯ শতাংশ। মোট আক্রান্ত ১৪ হাজার ৮৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৭০৫ জন।

কুষ্টিয়ায় মৃত্যু

১১, শনাক্ত ১৪৯

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিন পর আবারও ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়ে ১১ হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন করোনা পজেটিভ ছিল বাকি ২ জন মারা যান করোনা উপসর্গ নিয়ে। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এদের মৃত্যু হয়। একই সময় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন।

এর আগেরদিন ২৪ ঘণ্টায় করোনা ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫১ জন, সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৮১ জন, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫৫০ জন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম এ তথ্য দেন। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে বুধবার ৫২২টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৪৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৮.৫৪ শতাংশ।

এদিকে হাসপাতালে কয়েকদিন পর করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ আবারও বেড়েছে। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন জানান, করোনা ডেডিকেডেট জেনারেল হাসপাতালের ২০০ শয্যায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছেন ২০১ জন রোগী। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় ১৫১ জন। বাকিরা করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। ৭০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।

কক্সবাজারে শনাক্ত ৩২৪

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জন রোহিঙ্গাসহ আরও ৩২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩২০ জন। এছাড়াও ৪ জনের ফলোআপ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ?এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান।

তিনি জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে ১২১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও জেলা সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে ১৮০ জনের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা ৮২ জন, রামুর বাসিন্দা ১৬ জন, উখিয়ার বাসিন্দা ৩০ জন, চকরিয়ার বাসিন্দা ২১ জন, টেকনাফের বাসিন্দা ৮০ জন, পেকুয়ার বাসিন্দা ১৪ জন, কুতুবদিয়ার বাসিন্দা ৭ ও মহেশখালীর বাসিন্দা ৪২ জন। এছাড়াও উখিয়ায় বসবাসরত ১৫ জন বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক এবং টেকনাফে বসবাসরত ৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

নোয়াখালীতে মৃত্যু ১, শনাক্ত ২২৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৭২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পনের হাজার ৩৩১ জন। মোট আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এই নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৯ জনে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ৩৪ জন, সুবর্ণচরে ৫ জন, বেগমগঞ্জে ৬০ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৩ জন, চাটখিলে ২০ জন, সেনবাগে ২০ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৪ জন, কবিরহাটে রয়েছে ২৩ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এসব তথ্য তাদের ফেসবুক এ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করে। ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৯ জন, বেগমগঞ্জ ১৫ জন, সুবর্ণচর ৭ জন, হাতিয়া ৬ জন, চাটখিলে ১৮ জন, সোনাইমুড়ী ১৫ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৪৭ জন, সেনবাগে ৪৬, কবিরহাটে ১৫ জন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৪৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬০ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

জগন্নাথপুরে শনাক্ত ৭

প্রতিনিধি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এতে জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। তবুও মানুষ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। যে কারণে দিনে দিনে বেড়েই চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। যদিও পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর চিকিৎসকগণ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করছে।

এরমধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নতুন করে আরও ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ৩ জন, পাটলি ইউনিয়নের ১ জন, মিরপুর ইউনিয়নের ১ জন ও কলকলিয়া ইউনিয়নের ২ জন। এ নিয়ে জগন্নাথপুরে করোনায় মোট আক্রান্ত হলেন ৪০১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৩৮ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৩ জন ও হাসপাতাল আইসোলেশনে আছেন ৪ জন। মোট আক্রান্তের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুধন ধর তা নিশ্চিত করেছেন।

পূর্বধলায় শনাক্ত ৪

প্রতিনিধি, পূর্বধলা (নেত্রকোনা)

ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতাল থেকে শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত করোনায় নতুন করে আরও ৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৩ জন এন্টিজেন পরীক্ষায়, ১ জন পিসিআর পরিক্ষায় আর এ পর্যন্ত মোট ২২৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৩৮ জন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে আছেন। এবং ৭৯ জন রোগী আমাদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায়ই দেখা যায় জ্বর সর্দি কাশি গলাব্যথা রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। বাজারেও কম মিলছে নাপা বা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ। ২৮ জুলাই মঙ্গলবার বিভিন্ন বাজারে ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায় খুব কম সংখ্যক এই প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ পাওয়া যায়। এদিকে গত বুধবার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় অনেক বাড়িতেই দেখা যায় সর্দি-জ্বর কাশি নিয়ে বসবাস করছে। কেউ করোনার ভয়ে পরীক্ষা করছেন না। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ও স্যানিটরি পরিদর্শক মো. হাসিম উদ্দিন খান জানান, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এমনিতেই স্বাভাবিকের চেয়ে জ্বর, সর্দি, রোগী কিছুটা বেড়েছে ।

কিশোরগঞ্জে মৃত্যু

৫, শনাক্ত ১৩২

জেলা বার্তা পরিশেক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের গত বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রকাশ করা গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলায় আরও ৫ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ১৩২ জন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাজিতপুরের ৮০ ও ৪০ বছরের, কুলিয়ারচরের ৮০ বছরের, কটিয়াদীর ৭০ বছরের চার পুরুষ, আর সদরের ৬৮ বছরের এক নারী মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৪৭ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। আর ৪৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩২ জনের করোনা ধরা পড়েছে। তবে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন, যাদের মধ্যে সদরে ৫৩ জন, আর তাড়াইলে ৩৩ জন। বুধবার রাতে জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১১৭।

ঝালকাঠিতে মৃত্যু

২, শনাক্ত ৮১

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু ও ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছে। ঝালকাঠিতে করোনার সংক্রমনে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সন্তানসম্ভবা সানিয়া আক্তার ও ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক লাভলি বেগম(৫৫) এর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৬২ জন জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৮৯১ জন আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ১১৯৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে নেগেটিভ হয়েছে ৭৮৩২ জন। সুস্থ হয়েছে ১৮৫৪ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ৫৩ জন ও হোম আইসোলেশনে ৯১২৬ জন রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গাইবান্ধায় শনাক্ত ৭০

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৭০ জন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ১৮ জন, সদরে ১৩ জন, ফুলছড়িতে ৬ জন, সুন্দরগঞ্জে ৩ জন, সাঘাটায় ৩ জন, পলাশবাড়ীতে ১৬ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ১১ জন।

এদিকে জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৭৬ জন। এরমধ্যে ৩৪ জন মারা গেছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যক্তি মোট ১ হাজার ৬ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাগেরহাটে শনাক্ত ৫১

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। গত বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবে মোট ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে ৫৭ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এ সময়ে জেলায় করোনা পজিটিভ কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। বাগেরহাট সদর ডেডিকেটেড হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৮ জন করোনা সংক্রমিত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বাগেরহাট জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ৫ হাজার ৮৫৭ জন।

শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১ , ১৪ শ্রাবন ১৪২৮ ১৮ জিলহজ ১৪৪২

১১ জেলায় করোনায় মৃত্যু ৫২ শনাক্ত ১৪৯৬

রামেকে মৃত্যু

১৭, শনাক্ত ১২৪

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনা ইউনিটে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে ৫ জনের করোনায় মৃত্যু হয় ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও ১০ জন। এছাড়াও করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতায় মারা গেছে আরও ২ জন। এ নিয়ে গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার মধ্যে করোনা ইউনিটে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছে রাজশাহীর একজন, নাটোরের একজন, বগুড়ার একজন এবং পাবনার। এছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহীতে দু’জন, নাটোরে দু’জন, নওগাঁয় একজন, পাবনায় তিনজন ও কুষ্টিয়ায় দু’জন মারা গেছেন। এছাড়া করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে নয়জন পুরুষ ও আটজন নারী।

মৃতদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে দুইজন এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন।

এ নিয়ে চলতি মাসে (১ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৪০ জনে। এরমধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মারা গেছেন ১৭২ জন। আর শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩১ জন। বাকি ৩৭ জন মারা যান করোনামুক্ত হয়েও পরবর্তি স্বাস্থ্য জটিলতায়।

শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ৫২ জন। এরমধ্যে রাজশাহীর ২৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন, নাটোরের ১৫ জন, নওগাঁর চারজন, পাবনার পাঁচজন, কুষ্টিয়ার দুইজন ও মেহেরপুরের একজন।

হাসপাতাল পরিচালক জানান, বুধবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৪২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর আগেরদিন মঙ্গলবার শনাক্তের হার ছিল ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

ময়মনসিংহে মৃত্যু ১৬ শনাক্ত ৪৫৮

জেলা বার্তা পরিবেশক, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যস্ত করোনা পজিটিভ হয়ে ৩ জনের মৃত্যু ও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ১৩ জনসহ মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ জেলায় নতুন করে ১৬৬০টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান জানান, করোনা পজিটিভ হয়ে ৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনসহ মৃত ১৬ জনের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ৯ জন, নেত্রকোনার ২ জন, শেরপুর জেলায় ৩ ও টাঙ্গাইল জেলার ২ রয়েছেন।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ জেলায় ১৬৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরও ৪৫৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৭.৫৯ শতাংশ। মোট আক্রান্ত ১৪ হাজার ৮৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৭০৫ জন।

কুষ্টিয়ায় মৃত্যু

১১, শনাক্ত ১৪৯

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একদিন পর আবারও ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়ে ১১ হয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন করোনা পজেটিভ ছিল বাকি ২ জন মারা যান করোনা উপসর্গ নিয়ে। গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় এদের মৃত্যু হয়। একই সময় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন।

এর আগেরদিন ২৪ ঘণ্টায় করোনা ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এ নিয়ে জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫১ জন, সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৮১ জন, এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫৫০ জন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম এ তথ্য দেন। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে বুধবার ৫২২টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৪৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৮.৫৪ শতাংশ।

এদিকে হাসপাতালে কয়েকদিন পর করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ আবারও বেড়েছে। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন জানান, করোনা ডেডিকেডেট জেনারেল হাসপাতালের ২০০ শয্যায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এখন ভর্তি আছেন ২০১ জন রোগী। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় ১৫১ জন। বাকিরা করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। ৭০ শতাংশ রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে।

কক্সবাজারে শনাক্ত ৩২৪

প্রতিনিধি, কক্সবাজার

কক্সবাজারে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জন রোহিঙ্গাসহ আরও ৩২৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৩২০ জন। এছাড়াও ৪ জনের ফলোআপ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ?এসব তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান।

তিনি জানান, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবে ১২১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও জেলা সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে ১৮০ জনের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা ৮২ জন, রামুর বাসিন্দা ১৬ জন, উখিয়ার বাসিন্দা ৩০ জন, চকরিয়ার বাসিন্দা ২১ জন, টেকনাফের বাসিন্দা ৮০ জন, পেকুয়ার বাসিন্দা ১৪ জন, কুতুবদিয়ার বাসিন্দা ৭ ও মহেশখালীর বাসিন্দা ৪২ জন। এছাড়াও উখিয়ায় বসবাসরত ১৫ জন বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক এবং টেকনাফে বসবাসরত ৬ জন মিয়ানমারের নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

নোয়াখালীতে মৃত্যু ১, শনাক্ত ২২৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৭২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পনের হাজার ৩৩১ জন। মোট আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এই নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৯ জনে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ৩৪ জন, সুবর্ণচরে ৫ জন, বেগমগঞ্জে ৬০ জন, সোনাইমুড়ীতে ১৩ জন, চাটখিলে ২০ জন, সেনবাগে ২০ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৪ জন, কবিরহাটে রয়েছে ২৩ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এর আগে বুধবার রাত ১১টার দিকে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এসব তথ্য তাদের ফেসবুক এ্যাকাউন্টেও প্রকাশ করে। ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৯ জন, বেগমগঞ্জ ১৫ জন, সুবর্ণচর ৭ জন, হাতিয়া ৬ জন, চাটখিলে ১৮ জন, সোনাইমুড়ী ১৫ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৪৭ জন, সেনবাগে ৪৬, কবিরহাটে ১৫ জন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৩৪৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬০ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

জগন্নাথপুরে শনাক্ত ৭

প্রতিনিধি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এতে জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। তবুও মানুষ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে চায় না। যে কারণে দিনে দিনে বেড়েই চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ক্রমান্বয়ে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে। যদিও পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর চিকিৎসকগণ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন কাজ করছে।

এরমধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের নতুন করে আরও ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ৩ জন, পাটলি ইউনিয়নের ১ জন, মিরপুর ইউনিয়নের ১ জন ও কলকলিয়া ইউনিয়নের ২ জন। এ নিয়ে জগন্নাথপুরে করোনায় মোট আক্রান্ত হলেন ৪০১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৩৮ জন। হোম আইসোলেশনে আছেন ৫৩ জন ও হাসপাতাল আইসোলেশনে আছেন ৪ জন। মোট আক্রান্তের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুধন ধর তা নিশ্চিত করেছেন।

পূর্বধলায় শনাক্ত ৪

প্রতিনিধি, পূর্বধলা (নেত্রকোনা)

ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতাল থেকে শেষ রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত করোনায় নতুন করে আরও ৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৩ জন এন্টিজেন পরীক্ষায়, ১ জন পিসিআর পরিক্ষায় আর এ পর্যন্ত মোট ২২৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৩৮ জন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে আছেন। এবং ৭৯ জন রোগী আমাদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

নেত্রকোনার পূর্বধলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায়ই দেখা যায় জ্বর সর্দি কাশি গলাব্যথা রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। বাজারেও কম মিলছে নাপা বা প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ। ২৮ জুলাই মঙ্গলবার বিভিন্ন বাজারে ফার্মেসি ঘুরে দেখা যায় খুব কম সংখ্যক এই প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ পাওয়া যায়। এদিকে গত বুধবার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় অনেক বাড়িতেই দেখা যায় সর্দি-জ্বর কাশি নিয়ে বসবাস করছে। কেউ করোনার ভয়ে পরীক্ষা করছেন না। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ও স্যানিটরি পরিদর্শক মো. হাসিম উদ্দিন খান জানান, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এমনিতেই স্বাভাবিকের চেয়ে জ্বর, সর্দি, রোগী কিছুটা বেড়েছে ।

কিশোরগঞ্জে মৃত্যু

৫, শনাক্ত ১৩২

জেলা বার্তা পরিশেক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের গত বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রকাশ করা গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলায় আরও ৫ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ১৩২ জন। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাজিতপুরের ৮০ ও ৪০ বছরের, কুলিয়ারচরের ৮০ বছরের, কটিয়াদীর ৭০ বছরের চার পুরুষ, আর সদরের ৬৮ বছরের এক নারী মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৪৭ জনের করোনায় মৃত্যু হলো। আর ৪৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩২ জনের করোনা ধরা পড়েছে। তবে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন, যাদের মধ্যে সদরে ৫৩ জন, আর তাড়াইলে ৩৩ জন। বুধবার রাতে জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১১৭।

ঝালকাঠিতে মৃত্যু

২, শনাক্ত ৮১

জেলা বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু ও ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছে। ঝালকাঠিতে করোনার সংক্রমনে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সন্তানসম্ভবা সানিয়া আক্তার ও ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক লাভলি বেগম(৫৫) এর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৬২ জন জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৮৯১ জন আক্রান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত ১১৯৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে নেগেটিভ হয়েছে ৭৮৩২ জন। সুস্থ হয়েছে ১৮৫৪ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ৫৩ জন ও হোম আইসোলেশনে ৯১২৬ জন রয়েছে। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী এ তথ্য জানিয়েছেন।

গাইবান্ধায় শনাক্ত ৭০

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৭০ জন। এরমধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ১৮ জন, সদরে ১৩ জন, ফুলছড়িতে ৬ জন, সুন্দরগঞ্জে ৩ জন, সাঘাটায় ৩ জন, পলাশবাড়ীতে ১৬ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ১১ জন।

এদিকে জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৭৬ জন। এরমধ্যে ৩৪ জন মারা গেছে। জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যক্তি মোট ১ হাজার ৬ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাগেরহাটে শনাক্ত ৫১

প্রতিনিধি, বাগেরহাট

বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। গত বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবে মোট ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে ৫৭ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এ সময়ে জেলায় করোনা পজিটিভ কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি। বাগেরহাট সদর ডেডিকেটেড হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৮ জন করোনা সংক্রমিত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বাগেরহাট জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ৫ হাজার ৮৫৭ জন।